ম্যাগনা কার্টা

ম্যাগনা কার্টা বেসিক্যালি একটা চুক্তিপত্র যার মাধ্যমে দেশের সমস্ত লোকজনের বেসিক রাইটসকে সমুন্নত রাখবে এবং অক্ষুন্ন রাখবে। আর এটা করা হয়েছিল রাজা জনের আমলে রুন্নিমেড এলাকায় জুনের ১২১৫ সালে।  এই চুক্তিটা আসলে যুক্তরাজ্যের অধিবাসিদের জন্য এক ধরনের ব্যাক্তি স্বাধীনতার দলিল। যার প্রধান উদ্দেশ্য হল, King is not above the Law and its like a Bill of Rights for Mediaval England. প্রকৃত দৃশ্য ছিল যে, The King often lived above the law, violating both feudal and common law, and was heavily criticized for his foreign policy and actions within England. আর এই কারনেই যুক্ত রাজ্যের মানুষ গুলো ছিল রাজাদের উপর খুব বিরক্ত। বিশেষ করে ব্যারনরা। এটার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের অধিনে যে সব কলোনিগুলো ছিল প্রায় সব দেশেই অবশেষে এই দলিলটি একটি মহামান্নিত দলিল হিসাবে গৃহীত হয় এবং অনেক দেশের লিগ্যাল সিস্টেম এর উপরই বেজ করে তৈরি করা হয়।

  গল্পটা এই রকমঃ

 ১২০৯ থেকে ১২১২ সাল পর্যন্ত তখনকার রাজা জন এর আমলে যুক্তরাজ্যের কিছু অধিবাসীগণ যাদেরকে ব্যারন (member of a specific rank of nobility, esp the lowest rank in the British Isles) নামে ডাকা হত সেই সব সিটিজেনের জন্য এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য এই দলিলটি রাজা জন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১২১৫ সালে অনেক ব্যারনরা এবং চার্চের লোকেরা রাজার এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কন্সপিরেসি শুরু করে।  তারা রাজা জনকে সিংহাসন থেকে বিতারিত করতে চাইছিলেন না কারন রাজা জনের পরে অন্য কেউ যে রাজা হবেন সেই লোকটি ছিল না। কেন ছিল না, বা কে হতে পারত এটা আরেক গল্প। ঐ গল্পে গুম আছে, ডিপ্লোম্যাটিক রাজনীতি আছে, ধর্ম আছে, সে গল্পে এখন যাচ্ছি না। এই ম্যাগনা কার্টার প্রথম নাম ছিল  'The Unknown Charter of Liberties',  later appeared as 'Articles of the Barons' and the Runnymede Charter.

 মীরজাফর এর মত লোক সবসময় সবখানেই ছিল এবং এই রাজা জনও এমন একজন লোক ছিলেন। যেই না 'The Unknown Charter of Liberties', অথবা 'Articles of the Barons' ব্যারনরা পেল এবং ব্যারনরা সানন্দে আবার রাজা জনকে অভিসিক্ত করলেন, অভিষিক্ত হয়েই এই রাজা মশাই ঐ দলিল খানা বাতিল করে দেন। আবারো শুরু হল যুদ্ধ। শেষ অবধি এই রাজা মারা গেলেন ১২১৬ সালে এবং তাঁর পুত্রধন হেনরি-৩য় রাজার স্থলে অভিষিক্ত হলেন। কিন্তু পুত্রটি ছিল বাপের থেকে একটু চালাক। তিনি বাপের বাতিল করা আর্টিকেলটি পুনরায় বহাল করেন এবং তখনই এর সংস্কারকৃৎ নতুন নামটি হয় ম্যাগনা কার্টা ।

 এখন তাহলে এই মুল্যবান দলিল দিয়ে কি হয় আসলে তা বুঝার ব্যাপার। যেহেতু এই দলিলটি অনেক দেশেই চলমান, ফলে অনেক দেশ একচুয়ালি একই কন্সটিটিউসন ব্যবহার করে বলে লিগ্যাল সিস্টেমগুলো প্রায় এক।

 দ্বিতীয়তঃ এই দলিলের বলে "ব্যালেন্স অব পাওয়ার" যদি বলি অনেকটা "ব্যালেন্স" করে। কার কার মধ্যে ব্যালেন্স করে? দেশ থেকে দেশে এবং পাবলিক ও জনগনের মধ্যে।

 তৃতীয়তঃ কোন রাজাই এখন আর প্রশ্নের উর্ধে নয়, সবার জন্য আইন সমান সে রাজাই হোক আর প্রজাই হোক। সে ক্ষমতায় থাকুক আর ক্ষমতায় নাই বা থাকুক। আসলে এটা হওয়া দরকার ছিল বাংলাদেশে। এটা থাকলে আর কেয়ার টেকার সরকারের দরকার পরত না।

 ৪র্থ হল যে, এই ম্যাগনা কার্টার মাধ্যমে চার্চকে একেবারে স্বাধীন করে দেয়া হয়েছে। চার্চ তাঁর নিজস্ব পলিসি বানাতে পারবে রাজার কোন ভুমিকা নেই। মোদ্দা কথা হচ্ছে এই উপরের আইন বা স্বাধীনতাগুলো ছাড়া বা সহকারে আমি যদি নিম্নআকারে লিখি তাহলেও ম্যাগনা কার্টা ভালভাবে বুঝা যাবে।

       ক। Shifted the power from the monarchs to the people in Britain

       খ। Required British royalty to obey the same laws as other English people.

       গ। Limited the power of the people in the British government.

       ঘ. Gave the power in the British government to members of Parlia

 এখন অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের রুলস অব বিজনেজকেও অনেক সময় ম্যাগনা কার্টা বলে অভিহিত করে। অর্থাৎ মালিক এবং কর্মচারী একই আইনের অধিনে। সবার অধিকার সমান তাদের যোগ্যতার বলে। এবং সেই সংস্থায় ধর্ম বলে কোন কিছুই ফিক্সড করে দেয়া নাই। যে যার ধর্মকে পালন করতে পারবে। কোন বৈষম্য নাই। আর এটাই হচ্ছে ম্যাগনা কার্টা।