১৭০৫ সালে এডমন্ড হেলি নিউটনের "ল অব মোশন" এর ভিত্তিতে এই ধূমকেতুর আবির্ভাব নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছিলেন যাতে বলা হয়েছিল যে, এতা ১৫৩১, ১৬০৭, ১৬৮২ এবং ১৭৫৮ সালে এতা দেখা যাবে। তার বক্তব্যের সত্যতা তার জীবদ্দশায় ১৫৩১ এবং ১৬৮২ ঠিক ছিল কিন্তু ১৬৮২ সাল ঠিক থাকবে কিনা এটা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, সত্যি যে ঐ ধুমকেতুটি তার মৃত্যুর পর ১৭৫৮ সালে দেখা গিয়েছিল এবং তার পর থেকেই তার সম্মানে এই ধুকেতুর নাম রাখা হত হ্যালি।
প্রতি ৭৬ বছর পর পর এই ধুকেতুটি আসে কিন্তু সময়ের হের ফেরে বা ধুমকেতুটির নিঃসরণের কারনে তার গতির কিছু হেরফের হয় বলে বলা হয় যে এটা ৭৬ থেকে ৮০ বছর এই দুই অংকের মদ্ধে থাকে। এটার দাইমেন সন হচ্ছে প্রায় ১৬ বায় ৮ বায় ৮ মাইল।
যদি কোন কারনে এই ধুমকেতুটি কখন পৃথিবীর সাথে হটাত আকর্ষিক ধাক্কা লেগে যায়, তাহলে এর বিপর্যয় হবে এক মারাত্মক। এতে পুরু পৃথিবী ধ্বংস অ হয়ে যেতে পারে কারন এর স্পীড এবং সাইজের জন্য। তাই মাঝে মাঝে বৈজ্ঞানিক গন একে "এটম বম্ব ফর নাগাসাকি" না বলে বলে থাকেন "এটম বম্ব ফর ওয়ার্ল্ড"। তাই হ্যালির ধূমকেতুর আবির্ভাবে খুব বেশি খুশি হবার কোন কারন নাই বরং এতা পৃথিবীর জন্য অত্যান্ত বিপদজনক। কিন্তু যেহেতু স্রষ্টা আছেন, তিনি এর গতিপথ নির্ধারণ করে দেন কখন এটা কার সুবিধা অ সুবিধা হবে সেটা। যেমন ধরুন, বলা হয় যে, হ্যালির ধূমকেতুর আগমনের কারনে ব্যাটল অফ হেস্টিংস হয়েছিল যেখানে ১০৬৬ সালে কিং হ্যারল্ড কে উতখাত করে উইলিয়াম হয়েছিলেন রাজা। ১৪৫৬ সালে তুরুস্কের সেনাবাহিনি বেল্গ্রেডে পরাজিত হয়েছিল ইত্যাদি।
হ্যালির ধুমকেতুটি আবার দেখা যাবে আবার ২০৬২ সালে। তখন শুধু বেচে থাকবে জুনিয়র