মানুষ সৃষ্টিগতভাবে কিছু গুনাবলী নিয়েই এই পৃথিবীতে আসে। কেউ খুবই অস্থির প্রকৃতির, কেউ দোদুল্যমান, কেউ অতীব চঞ্চল, কেউ আবার সেই ছোটবেলা থেকেই চুপচাপ আবার কেউ তার বয়সী মানুষের থেকে চালাক। বয়স বাড়ে আর মানুষের অভিজ্ঞতার কারনে এসব জন্মগত গুনাবলীর এক্সপাংশনের সাথে সাথে আরো কিছু গুনাবলির সংযোজন ঘটে। তারমধ্যে হিংসা, পরোপোকারী, লোভ অথবা অবিশ্বাসী অথবা উদার মনের গুনাবলীগুলি অন্যতম। পরিস্থিতি অবশ্য এসব বাহ্যিক গুনাবলীর বড় একটা কারন।
কিন্তু সব কিছুর পরেও সবার একটা ইন্ডিভিজুয়াল পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন থাকে যেখান থেকে যতো কিছুই হোক, যতো খারাপ বা ভালো পরিস্থিতিই হোক সে আর ব্যাক করতে পারেনা। কোনো ব্যক্তি তার এই ইন্ডিভিজুয়াল পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন সম্পর্কে সে নিজেও বেশিরভাগ সময়ে জানে না। এটা হটাত করেই তার ব্যক্তি মনে এমনভাবে উদয় হয় যখন সে তার আশেপাশের কোনো পরিস্থিতিই আর আমলে নেয় না এবং হতাত করেই তার মধ্যে এই কঠিন মনোভাবটায় সে একেবারে এমনভাবে পতিত হয় যে, সে নিজেও সেই পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন থেকে বেরিয়ে আসতে চায় না। সেটা সে এক্সিকিউট করেই ফেলে।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এ কারনেই মানুষ আত্মহত্যা, ডিভোর্স, ব্যবসায় থেকে বিচ্ছিন্ন, সম্পর্ক থেকে আলাদা ইত্যাদিতে নিপতিত হয়। ক্ষেত্র বিশেষে কারো কারো এই পয়েন্ট অফ নো রিটার্নে বিশাল জনবহুল গোষ্টি, কর্পোরেট সংস্থা, পারিবারিক জীবন এতোটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয় যে, তার নিজের সাথে অন্যান্য সবাই আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কাউকে সেই পরিস্থিতিতে কখনোই ঠেলে দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আমারো সম্ভবত ব্যবসায়িক লাইনে এমন একটা পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন চলে এসছে।