ফকফকা ভবিষ্যৎ দেখেন এমন সব মানুষের আবির্ভাবে ইদানিং ফেসবুকে অনেক বাইড়া গেছে। কেউ কেউ নিশ্চিত দিয়া কইতাছে, বাংলাদেশে নাকি আগামি ১৫ দিনের মধ্যে ৫ লাখ লোক করোনা ভাইরাসে মইরা যাইবো। আবার কেউ কেউ খালি মরার কথা না, সাথে রাস্তায় রাস্তায় নাকি লাশও স্তুপ হইয় পইড়া থাকবো, এমন কথা কইতাছে। অনেকে আবার এইটা বলেও আমাদের মতো আমজনতাকে সাবধান কইরা দিতাছে যে, সরকার বাহাদুর মার্কেট মুর্কেট যাহাই খুইল্লা দিক, যাইয়েন না, গেলে নাকি ওখানেই মরমু, আর যদি ওখানে না মরি, তাহলে নাকি ঘরের মধ্যে আসার পর বাল-বাচ্চা লইয়া একসাথে মইরা যামু। আবার অনেকে এইটাও কইতাছে, সাবধান, সরকার গার্মেন্টস খুইল্লা দিছে, সব করোনার উৎস নাকি ওই হালার গার্মেন্টসের শ্রমিকের গায়ে। এরা যেই পথ দিয়া হাটে, সেখানেই নাকি করোনার মহামারির সৃষ্টি হইয়া যায়, তয় পরিবহন সেক্টরের কোটি কোটি শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা, কুলি কিংবা অন্য সেক্টরের হাজার হাজার শ্রমিক, কিংবা কন্সট্রাকশন সেক্টর, মৎস্য সেক্টরের অসংখ্য শ্রমিক, হাউড়ে ধান কাটার জন্য লক্ষ লক্ষ দিন মুজুর কিংবা কোটি কোটি বস্তিবাসী মানুষের ঢলে কোনো করোনা নাই, এটা সিউর, গার্মেন্টস ছাড়া অন্য কোন জনতার ঢলে করোনা নাই। খালি গার্মেন্টস শ্রমিক একসাথে না হইলেই রক্ষা। অবশ্য অন্যসব সেক্টরে কোনো শ্রমিকও নাই, তারা সব ডাইরেক্টর। যতো শ্রমিক দেখবেন রাস্তায়, সব গার্মেন্টেসের। এমন কি জানাজা মানাজায়ও যাগোরে দেখবেন, তারাও গার্মেন্টেসের। খালি ওইসময় টুপি পড়ছিলো। এই আর কি। এরজন্য কিছু মানুষের আবার দুশ্চিন্তায় একেবারে ঘুম আসতেছে না। আমজনতার পাশাপাশি সরকার বাহাদুরকেও রীতিমত ফ্রিতে দেশ-বিদেশ যেখানেই থাকুক না কেন, উপদেশ দিয়া যাইতেছে।
মাগার একটা জিনিষ খুব ভালো কইরা খেয়াল করবার চেষ্টা করতাছি যে, হালার এই ফকফকা ভবিষ্যত দেখে এই গোষ্ঠিটা কারা? বা এদের পাওয়া যায় কোথায়?
এরা হইলো, হয় বিদেশে থাকে কোনো মাইয়া মানুষ বা মাইয়া মানুষের মতো কিছু পোলা মানুষ, যাদের খাওয়া দাওয়ার কোনো চিন্তা নাই, আজাইরা বইসা বইসা বাপের বা জামাইয়ের কামাই খাইতাছে, বাসার বাইরে না গেলেও চলে, কেউ কেউ আছে সরকারী বা প্রাইভেট চাকুরী করে, খাবারের চিন্তা নাই, টাকা আসবেই, এই শ্রেনীর কিছু সাদা মনের লোক, কেউ আবার আছে সরকারী চাকুরী করতো কিন্তু মাগার ভালো করতে পারে নাই, তাই চাকুরী থেকে হয় ভাগছে বা ইস্তফা দিয়া প্রাইভেট চাকুরিতে ঢোকছে, কিন্তু ওইখানেও মারা খাইতেছে, বেশী একটা ভালো করতে পারতেছেনা, কিন্তু মনে মনে ভাবে "আমি না জানি কি হনু রে" টাইপের, আবার কিছু আছে হতাশাগ্রস্ত বেকার শিক্ষিত ডিজিটাল যুবক যারা নিমিষেই একটা ইস্যুকে খবর বানাইয়া ফেলতে পারে, আবার কিছু আছে সব কিছুতেই বিশ্বাস করে এমন সহজ সরল আমার মতো নাদান আম-জনতা, আর কিছু আছে সমাজে আতংক সৃষ্টি করার কিছু ব্ল্যাক শীটস। আর এই গ্রুপটা সবচেয়ে বেশী রেফারেন্স দেয় কিছু রাজনীতিবাজ দেশী বিদেশী আমলা বা সংস্থার কিছু উঠকো মন্তব্য। ভাবখানা এই রকম, দেখছেন? আমি যাহা ভাবি, আমার মতো অইসব রাগোব বোয়ালেরাও আমার মতো ভাবে। আরে হালার পুত হমুন্দিরা, ওই শালারা তো করে রাজনীতি, তুই হালার ওদের রাজনীতি কি বুঝুস?
(যাক গে, ভাই আমার এই আদর কইরা ডাকা "হালার পুত", কিংবা হমুন্দির ভাই ইত্যাদি ডাকে মাইন্ড খাইয়েন না। হালার পুরান ঢাকার মানুষ তো আমরা, কথায় কথায় হালার ভাই, হমুন্দির পুত কিংবা এই জাতীয় মুখরোচক কিছু কথা প্রায়ই কইয়া থাকি। এটা আমরা আদর কইরাই কই। গালি না।)
আসেন এবার করোনার ভবিষ্যৎবানী গুলি কিছু দেখি।
অনেক বড় বড় হোমড়া চোমড়া বিদেশী সংস্থা আজ থেকে প্রায় দুই মাস আগে কইছিলো, বাংলাদেশ নাকি ২০ লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হইবো, আর ৫ লাখের বেশি লোক মারা যাইবো। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ অসচেতন, তাই সংখ্যাটা আরো বাড়বো। বিদেশীরা ইস্পেশাল উড়োজাহাজ ভারা কইরা নিজেগো দেশে চইলা গেলো। কারন কয়দিন পর রাস্তায় লাশের গন্ধে নাকি অসুস্থ হইয়া যাইবো। আবার নিজেরাও মইরা যাইতে পারে।
আমিও ডরাইছিলাম। হালায় কয় কি? আমার মতো অনেকেরই মাথায় হাত। পরিবার আর বউ ঝির মুখ দেহি আর ভাবি, ওগো লক্ষি, কি শুনতাছি গো!! আমি অথবা তুমি যে কেউ যখন তখন মইরা যাইতে পারি। আবার দুইজনেই আগে পিছে মইরা যাইতে পারি। কেম্নে কি গো? তুমি মইরা গেলে আমার কি হইবো, আর আমি মইরা গেলে আবার তুমি আমার বাল বাচ্চা গো ফালাইয়া অন্যখানে বিয়া করবা নাতো? কি যে, অবস্থা।
মহব্বত বাইরা গেলো, ঘরে থেকে আর বাইর হৈ না। সরকারও না করছে বাইর হইবার। বউ এর সব কাজে অতি মহব্বতের সহিত সাহাজ্য করি। ঘর মুইছা দেই, তরকারী কুইট্টা দেই, আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। খাই-দাই-ঘুমাই, আর ফেসবুক করি। কিন্তু হালার ডর আর যায় না। ডরে ডরে প্রতিদিন ভাবি, এই বুঝি মিডিয়া কইবো, আজ গাবতলীর বাস স্ট্যান্ডের পাশে পাচ হাজার লাশ পাওয়া গেছে, হয়তো কাল হুনুম, ওই মতিঝিল এলাকায় আরো ২ হাজার লাশের স্তুপ পাওয়া গেছে, আর গত রাইতে করোনায় মরা এই সব মানুষের লাশ। দুই মাস পার হইয়া গেলো। কিন্তু হালার মাত্র মরার খবর আইলো দেড় শ? আর আক্রান্ত হইলো মাত্র সাত আট হাজার?
এবার আমার ওইসব ভাইজানেরা আবার মন্তব্য করলেন, সরকার বাহাদুর সঠিক তথ্য লুকাইতেছে। আক্রান্ত আরো লক্ষগুন বেশী। টেষ্ট করতাছে না, তাই ধরা পড়তাছে না। বুঝলাম যে, করোনা টেষ্ট না করার কারনে কয়জন আক্রান্ত হইছে এইডা না হয় সরকার বাহাদুর গোপন করতাছে কিন্তু হালার মরার খবর তো আর আটকাইয়া রাখতে পারার কথা না যেখানে প্রতিটা মানুষের হাতে একটা কইরা মোবাইল ক্যামেরা আর সবাই সাংবাদিক। আমি তো হালার সারা ফেসবুকের মরার খবর যোগ কইরাও ৫০০ অতিক্রম করাইতে পারলাম না। তাইলে ওই হালার বিদেশি সংস্থাগুলি কি ছিড়ার কথা কইলো? আর ফকফকা ভবিষ্যৎ দেখা আমাগো ওই ফেসবুক এস্ট্রোলোজারগুলি কি কয় এখন? নাকি আরো কিছু টাইম বাড়াইয়া লইবেন যে, আরো ২ মাস যাক? কোনটা? এদিকে কিন্তু ঘরের মজুত খাবার শেষ, আবার অনেকের চাকুরী আছে কি নাই এইটা নিয়াও দন্দে আছে। তবে এখনো বাপের বা জামাইয়ের বা সরকারের তহবিল থেকে যাদের খাবারের ব্যবস্থা আছে, তারা হালার বিজ্ঞের মতো মন্তব্য করা ছাড়ে নাই।
আমি অংকে কাচা, সাইন্সেও হালায় মাথা বেশী ভালো না। তয় যেটা বুঝতাছি, সেটা হইলো গিয়া, এমনো তো হইতে পারে যে, ঘরে ঘরে এখন অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হইয়া আছে। কিন্তু তারা এমন কইরা শান্তিতে বাস করতাছে যে, কোনো উপসর্গ প্রকাশ করতাছে না। কে জানে যে, যারা বিজ্ঞের মতো ভবিষ্যৎ বানী করতাছে, তাদের মধ্যেই হয়তো সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হইয়া বইসা আছে, জানেই না। আবার এমনো হইতে পারে, সারাদিন টো টো কইরা বাইরে ঘুরতাছে, তার কোনো করোনাই নাই, কিন্তু ফার্মের মুরগীর মতো ঘরে মাসের পর মাস বন্দি হইয়া উপসর্গবিহীন করোনা লইয়া বইসা আছে। কেম্নে বুঝবেন? পরীক্ষা তো করান নাই। আবার ডরের ঠেলায় করাইবেনও না।
শোনেন ফেসবুক এস্ট্রোলজারগন, এই পৃথিবীতে করোনাই একমাত্র নতুন কোনো মহামারী প্রথম আগমন করে নাই। এর আগেও এর থেকেও অনেক বড় বড় মহামারী এসেছিলো। আর ওইসব মহামারীর তান্ডব কিন্তু এখনো প্রিথিবী থেকে শেষ হইয়া যায় নাই। কিন্তু সেগুলি নিয়া আমরা ডরাই না কেন?
উদাহরন দেই, ডায়েরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ম্যালেরিয়া, টিউবারকিউলুসিস, রুবিওলা, ইবোলা, স্মল পক্স, প্লেগ এই সবই মহামারীর মতো কইরাই এই দুনিয়ায় কোনো না কোনো সময় তান্ডব চালাইছিলো। আর এগুলি কোনো না কনোভাবে ছোয়াছেই। একটা পরিসংখ্যান বলে যে, খালি ২০১২ সালেই নিউমোনিয়ায় মারা গেছে এক কোটি দশ লক্ষ লোক, আর প্রতি বছর মারা যায় প্রায় ১ থেকে ২ মিলিয়ন লোক (মানে সোয়া এক কোটি থেকে দুই কোটি), টিবি রোগেই মারা যায় প্রায় দেড় কোটি লোক, ইবোলা, ইনফেকসাস ডায়েরিয়া বা ম্যালেরিয়া এইডস ইত্যাদি রোগেও কম নয় সংখ্যাটা। আর করোনায় এই সংখ্যার কাছে কিছুই না। তাহলে ওইসব ছোয়াছে রোগ নিয়ে আমরা একেবারে ঘরের মধ্যে রুদ্ধ হইয়া বইসা রই না ক্যান? কারন, আমাদের শরীর, মন, এবং সচেতনতা এই সব রোগের ব্যাপারে এখন এক্টিভ। নতুন কইরা ডরের কিছু নাই। এইসব রোগের ব্যাপারে আমাদের বাসর হইয়া গেছে। আমরা এখন তারে চিনি। আর জানি কিভাবে সামলাইতে হয়।
কিন্তু এইসব রোগে এতো সংখা মরার খবর জেনেও নিউ ফেসবুক এস্ট্রোলজাররা সবাইকে আবার নতুন কইরা সতর্ক করতাছে না ক্যান?
ব্যাপারটা খুব সোজা। সবাই সবার থেকে এক ডিগ্রী চ্যাম্পিয়ান হইতে চায়। কে কার আগে কতো তাড়াতাড়ি নতুন নতুন সংবাদ প্রচার কইরা ক্রেডিট লইবো। সত্যই হোক আর মিথ্যাই হোক, কিছুই যায় আসে না, সংবাদটাতো নতুন। আরে হমুন্দির ভাই, এইটাই তো সবচেয়ে বড় সাইবার হাতিয়ার মানুষকে আতংকিত করার আর এই হাতিয়ারটাই তো বড়বড় রাগোব বোয়ালরা ব্যবহার করেছে। একেকটা উঠতি জাতীয় শিল্পকে ধংশ করার মোক্ষম অস্ত্র তো এগুলাই।
কোনো একটা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী যখন নতুন কোনো উঠতি ব্যবসায়ীকে আজীবনের জন্য শেষ করে দিতে চায়, তখন সেই প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী একই প্রোডাক্ট কমমুল্যে এমন কি খরচের থেকে কম মুল্যে নিজের হোগা মাইরা হইলেও বাজারে ছাইরা দেয়। কম্পিটিশনে টিকতে না পাইরা ওই উঠতি ব্যবসায়ী নাকে খত দিয়া ব্যবসা থেকে চিরতরে আউট। এটাই তো চায় ওইসব প্রতিষ্ঠিত জাতীগুলি। আর আমরা না বুঝেই বাইল্লা মাছের মতো অনেক্ষন বর্শীর দিকে তাকাইয়া থেকেও বুঝতে পারি না যে, এটা একটা ফাদ। এক সময় গিল্লা ফালাই আর মরি।
শোনেন ভাইজানেরা, আল্লাহ মানুষের শরীরের মধ্যেই একটা কইরা ল্যাব এইড বা এপেলো হস্পিটালের মতো মেডিক্যাল স্টোর দিয়া দিছে যার নাম "ইম্মিউন সিস্টেম"। নতুন ভাইরাস করোনা। এটার সম্পর্কে আমাদের শরীর আগে থেকে সতর্ক না। তাই শরীরের ইম্মিউন সিস্টেমের ইনভেন্টরীতে এই রোগের ইম্মিউন সিষ্টেম তৈরী করা ছিলো না। কিন্তু গত দুই মাসে আমাদের দেশে লাখ লাখ মানুষের শরীরে এই এন্টি বডি তৈরী সম্ভবত হইয়া গেছে। যদি টেষ্ট করা হয়, হয়তো দেখা যাবে ঘরে ঘরে বহুত মানুষের করোনার ভাইরাস আছে, বা আক্রান্ত কিন্তু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না, বা মরতাছে না কারন আল্লাহর দেয়া এই ইম্মিউন সিষ্টেম ইতিমধ্যে করোনার বিপরীতে ডিফেন্স সিষ্টেম তৈরী করে ফেলেছে। ফলে লোকজন মারা যাচ্ছে কম। আবার সুস্থই আছেন তারা।
ডরাইয়েন না। আর মানুষকে ডর দেহাইয়েন না। ডর মানুষের মানসিক শক্তিকে দূর্বল করে দেয়। সচেতন হইলেই হবে। রোগের থেকে আমাদের শরীরের ইম্মিউন সিষ্টেম অনেক বেশী শক্তিশালী। কাজে যান, রোজগার করেন, যতো টুকু সম্ভব ভালো ভালো খাবার খান, ইম্মিউন সিষ্টেমকে আরো শক্তিশালী করুন। আজাইরা ঘরের মধ্যে বইসা থেকে ইম্মিউন সিষ্টেমকে অকেজো কইরা দিয়েন না। আর অযথা গুজব টাইপের তথ্য শেয়ার কইরা পন্ডিত সাইজেন না।
একটা কথা বলি, যতোক্ষন না পর্যন্ত জানতে পারতাছেন যে, আপনার ঘরের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয় নাই, ততোক্ষন তো মনের আনন্দে একে অন্যের সাথে মনের সুখে হাসি তামাশা করতাছেন, কিন্তু যেই মুহুর্তে জানলেন যে, ওইরে ভাই, আমাদের ঘরেই তো দাদীটা বা দাদাটা কিংবা বোনটা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হইয়াই আছে, তাহলে কি সব শেষ? কেনো? তার তো করোনা হইয়াই ছিলো, তাও তো ভালই ছিলো, তার ইম্মিউন সিষ্টেম হয়তো অনেক স্ট্রং থাকায় দ্রুত এন্টি বডি তৈরী করে করোনাকে পরাস্ত করে তাকে সুস্থই রেখেছে, কোনো উপসর্গই সে দেখায় নাই। অথচ এই আক্রান্ত হইবার তথ্য জানার পর অর্ধেক মরা হইয়া গেলেন? এইটা কোনো কথা?
ভয়ের কিছু নাই ভাই। এই করোনা থেকেও অনেক অনেক বেশি মানুষ মরে যায় নরম্যাল নিউমোনিয়া, ডেংগু কিংবা হার্ট/লিভার ডিজিসে। এটা মহামারি কারন একসাথে সবখানে হয়েছে বলে। ভরষা রাখেন নিজের উপর, আল্লাহর উপর। আর একটু সচেতন থাকুন। এটা অনেক বড় রোগ নয়। এর মর্টালিটি হার আসলেই কম। আশেপাশের মানুষ, মিডিয়া, সব দেশে এক সাথে হওয়ায় আর অতিরিক্ত এটেশন দেওয়ার কারনেই আমরা বেশি ভয় পাচ্ছি। অনেকেই হয়ত জানেই না যে, নিজের ঘরের অনেক সদস্যরা ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এন্টিবডি তইরী করে সুস্থই আছেন।
জানি, নতুন সব কিছুই আতংকের ব্যাপার। নববধুর কাছেও তো শুনি বাসরঘর নাকি আতংকের। তাই বলে কি...।। থাক কইলাম না। আমি আশাবাদি মানুষ।