০২/০৩/২০২৩-স্বাধীনতার নতুন ব্যাকরন

এত বছর পর অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সেই স্বাধীনতার গুরুত্ব কি বুঝতে পারছি? আমাদের দেশের ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার লড়াইয়ের সেই বীরত্ব গাথা অধ্যায় হয়তো শুধু ইতিহাসের পাতায়ই থাকবে। কিন্তু এখন সম্ভবত আরেকটি সময় এসে গেছে নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন ইতিহাস লেখার। স্বাধীনতার নতুন ব্যকরন বুঝার। আর সেটা হচ্ছে- এটা বুঝা যে, আমাদের যতোটা বিপদ বাইরের শত্রুর ক্ষমতার থেকে তার থেকে অনেক বেশী বিপদ আমাদের ভিতরের ক্ষমতায়। আজকের স্বাধীনতা ইংরেজ বা পাকবাহিনীর শিকল থেকে মুক্তির জন্য হয়তো নয়, বরং সেই শিকল থেকে মুক্তি যা আমদের বাড়িতে, আমাদের ঘরে, সমাজে বেড়ে উঠছে আইডোলজিহীনভাবে অথবা আতঙ্ক ড্রপিং পয়েন্ট হিসাবে।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হচ্ছে-এই শিকল তাদের হাতে যাদের না আছে কোনো আইডিয়োলজি না আছে আতংক ছড়ানোর কারন। ওরা আমাদের বাড়ীর দিকে নজর দেয়, পর্যবেক্ষন করে আর বিশ্লেষন করে যাতে এমন কি কেউ আছে যাকে উষ্কানো যায়? আর তারপর কোনো এক সুযোগে আমাদের এই যুবসমাজকে তাদের কোনো দূর্বল ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে ব্রেন ওয়াশের মাধ্যমে এমন এক দুধর্ষ অভিযানে চালান দেয়া হয় যেখানে সাধীন নাগরকেরা এই যুব সমাজের মেধা, শক্তির শুভ কাজের বিনিময়ে সুফল তো দূরের কথা এর পরিবর্তে সামাজিক এবং দৈনন্দিন জীবনে জিম্মি হয়ে আতংকিত থাকে।

তাই নতুন প্রজন্মের জন্য সুশাসন, সুকর্ম ব্যবস্থা আর সুবিচার যতোক্ষন নিশ্চিত না করা হবে, এই প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ব্যকরন অন্য রকমের অর্থই হয়ে থাকবে যেখানে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ই একমাত্র অস্ত্র। এখানে আর কোনো আইডোলোজি কাজ করেনা। এই যুদ্ধটা বাইরের শক্তিকে দমনের চেয়েও অধিক কঠিন। কিন্তু অসম্ভব নয়।