০২/০৭/২০২৪-নিজের বল বাহুবল (নিখিল এম পি)

আমার স্ত্রী মিটুল চৌধুরী সরমারি বাঙলা কলেজে বহুবছর যাবত কর্মরত আছে। এখানে সে বিভাগীয় প্রধান, পর পর দুইবার শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক, পরবর্তীতে ভাইস প্রিন্সিপ্যাল হিসাবে কাজ করছে। গত ১২ জুন ২০২৪ তারিখে প্রিন্সিপ্যালের পোষ্ট খালি হওয়ায় আমরা স্বাভাবিক কারনেই মিটুল যেনো এখানকার প্রিন্সিপ্যালই হোক চেয়েছিলাম। এর জন্য ঢাকার মেয়র আতিক ভাইয়ের একটা ডিও লেটার নেয়া হয়েছে, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের পিএসও লেঃ জেনারেল শামিম শিক্ষা সচীব (যিনি ওর ক্লাসমেট) কে ফোন করেছে, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী চাপা আপাও মিটুলের পক্ষে সায় দিয়েছে। আমাদের লোকাল এমপি মাইনুল হোসেন খান নিখিল ডিও লেটার দিতে চায়নি। অনেকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তাকে শেষ মুহুর্তে এসে ডিও লেটারটা দেয় নাই। অথচ আমরা তার ভোটার, স্থায়ী বাসিন্দা এই এলাকার। এর মধ্যে সে অনেকগুলি শর্ত দিয়েছিলো যেমন (১) মিটুল মাইনিকগঞ্জের মেয়ে হওয়াতে দুর্জয়কে দিয়ে ফোন করাইতে বলেছিলো, দূর্জয় ফোন করেছিলো (২) ঈদুল ফাতেহার সময় যাকাতের জন্য প্রায় ৭০ হাজার টাকার একটা ডোনেশন চেয়েছিলো, তাও দিয়েছি, শীতকাল থাকায় আমি আমার ফ্যাক্টরি থেকে তাকে প্রায় ২০০ সুয়েটার্স দিয়েছি।

এই এমপির সাথে আমাদের আগেও কোনো ব্যক্তিগত পরিচয় ছিলো না। যখন সে এমপি হলো, তখন তার কাছে আমি শুধুমাত্র একটা ডিও লেটার চেয়েছিলাম যা সে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলো। কিন্তু কি এমন হলো জানি না, হটাত করে সে যেনো আর আমাদেরকে চিনেই না। জানি সে ঘুষ খায়, দূর্নীতি করে সেটা আমার দেখার ব্যাপার না। সে আওয়ামী যুব লীগের নাকি সভাপতি। ইন্টার পাশ একটা মানুষ। এদেশে সেই সব ইন্টার পাশ মানুষ গুলিই ডক্টরেট ওয়ালা মানুষদেরকে নিয়ন্ত্রন করে কারন খারাপ রাজনিতি। কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই।

যাই হোক যেটা বলছিলাম, নিখিলের সাথে আমাদের কোনো প্রকার পূর্ব পরিচয় কিংবা ঘনিষ্ঠতাও ছিলো না। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নিজেও আমার স্ত্রীকে নিখিলের কাছ থেকে একটা ডিও লেতার আনার কথা বলেছিলো এই বলে যে, ঢাকার মেয়র (আতিক সাহেবের ডিও অবশ্যই অনেক শক্ত একটা রিকম্নডেশন কিন্তু সেটা ঢাকার মধ্যে, কিন্তু নিখল এম পি সারা বাংলাদেশের যুব লীগের সভাপতি হওয়ায় তার প্রভাব রাজনীতিতে অনেক বেশী। এর মানে হলো আমার কাছে মনে হয়েছে যে, নিখিলকে শিক্ষামন্ত্রী ভয় পায়, কিংবা নিজের মন্ত্রনালয়ে একটা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে সে পারেনা। এটা লিডার বলে না।

যাইহোক, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার আপা, শিক্ষা সচীব, ডিজি সবাই মিটুলকে সাপোর্ট করলেও এবং তার একক নামে প্রিন্সিপ্যালের পোষ্টিং ফাইল সর্ব উচুতে উঠলেও এক রাতের মধ্যে আমিরুল ইসলাম পলাশকে সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী নিখিলের আদেশে বাঙলা কলেজের প্রিন্সিপ্যাল করা হয়।

পলাশ সম্পর্কে আমার যা ধারনা ছিল, সে প্রিন্সিপ্যাল হবার পর, তার কথাবার্তা, আচরন এহং ব্যভার দেখে আমি কিছুতেই আগের পলাশ আর প্রিন্সিপ্যাল পলাশকে চিনতে পারছিলাম না। তার একটা ছত উদাহরন দেই-শিক্ষক্মন্ডলির একতা মিটিং এ পলাশ প্রকাশ্যে একটা মন্তব্য করেছিল- এই মীরপুর এলাকায় দুইজন সন্ত্রাসি আছে, এক নিখিল আর ২য়টা আমি পলাশ। ফলে কেউ যদি কোনো কিছু করতে চায় যা আমি চাই না, তাহলে তাকে ফায়ার করে দেবো।

এগুলি প্রিন্সিপ্যালসুলভ কোনো কথাবার্তা নয়।একজন সরকারি কর্মকর্তাকে আরেকজন কর্মকর্তা এভাবে ফায়ার করার হুমকি কিংবা নিজে ডিক্লেয়ারড সন্ত্রাসি এগুলি কোন সভ্য মানুষের কথা নয়।