শেষ পর্যন্ত আমার আগ্নেয়াস্ত্র টা মনে হয় কেনাই হলো। বেরেটা পিস্তল। খুব সুন্দর। হাতের তালুতেই রাখা যায়। বব নামের একটি দোকান থেকে কিনতে গেলাম। কেনার আগে অনেকগুলি অস্ত্র দেখালো আমাকে। দোকানদারকে আগেই সমস্ত কাগজপত্র ফ্যাক্স করে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ভাইয়া। ফলে এই দুইদিন দোকানদার সমস্ত কাগজ ভেরিফাই করে আজকে আমি যেটা কিনতে চাই সেতা কিনতে পারবো বলে দোকানে গিয়েছিলাম। দোকানীদের ছোট একটা এসি করা ফায়ারিং রেঞ্জ আছে। ওখানে টেষ্ট ফায়ার করা যায়। তবে সর্বোচ্চ ৫ রাউন্ড পর্জন্ত ফায়ার করতে পারবেন। আমি টেষ্ট করলাম। মাত্র ২০০ ডলার। খুবই সস্তা। বাংলাদেশ থেকে আমি যে আগ্নেয়াস্ত্রলাইসেন্স পেয়েছিলাম, সেটা করমুক্ত লাইসেন্স। ফলে আমাকে কোনো কর দিতে হবে না। যদি কর দিতে হতো, তাহলে আমাকে ৩৫০% ট্যাক্স দিয়ে এই অস্ত্র কিনতে হতো। তখন এর দাম পড়তো (২০০+ ৭০০)= ৯৫০ ডলার। কিন্তু আমার পড়ছে মোট ২০০ ডলার।
দোকানদার এই মর্মে জানালেন যে, আমি এখনই এই অস্ত্র সাথে করে নিয়ে যেতে পারবো না। ওনারা উক্ত অস্ত্র বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবেন, আমাকে বাংলাদেশ থেকে রিসিভ করতে হবে। কিছুই করার নাই কারন আমেরিকায় আমাই অস্ত্র সহ ঘুড়তে পারবো না, সেই অনুমতি আমার নাই। আবার আমি আমেরিকা থেকে হাইতিতেও অস্ত্র বিশেষ করে ব্যক্তিগত অস্ত্র নিয়ে যেতে পারবো না, হাইতির আইনেও আমি অনুমতি প্রাপ্ত নই। ফলে কবে নাগাদ দোকানদার এই অস্ত্র বাংলাদেশে পাঠাবে, সেই তারিখতা আমাকে বলে দিতে হবে যাতে বাংলাদেশে পৌছার পরেই যেনো বেশি দেরী না করে আমি এয়ারপোর্ট থেকে অস্ত্রটি তুলে নিতে পারি।
আমি তাতক্ষনিকভাবে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারলাম না। তবে ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে কনফার্ম তারিখ বলতে পারবো এতা জানালাম। দোকানদার তাতেই মন্তব্য লিখে আমাদেরকে একটা চালান কপি দিয়ে দিলেন।
খুব ভালো লাগছে যে, অনেকদিনের আমার একটা শখের জিনিষ কেনা হলো। এতা দিয়ে আসলেই আমার কোনো উপকার হবে কিনা আমি জানি না কিন্তু শখ বলে কথা। মাসুদ সাথে গিয়েছিলো। ওর হাজার রকমের প্রশ্ন। ও নিজে একটা কিনতে পারবে কিনা, কিনলে কিভাবে এতা চালাইতে হয়। ইত্যাদি।
----------------------------------------------