ইদানিং রোল কলে প্রায়ই দেখা যায় যে, যশোর সিএমএইচ এর রাস্তা দিয়ে আমাদের ইউনিটের ভিতর দিয়ে ঠিক রোল কলের সময় কিছু কিছু রিক্সা ঢোকে। যা অনেক বিব্রতকর। রোলকল শুরু হয় সাড়ে সাতটায়। ভাবছি, সাতটার মধ্যে আটটা পর্যন্ত এই গেট দিয়ে কোনো রিক্সা প্রবেশ নিষেধ করে দেবো। দরকার হলে আটটার পরে আবার চলবে। কিন্তু দেখা যায় আউট পাশ থেকে সব সৈনিকেরা ছয়টার মধ্যেই ইউনিট লাইনে ঢোকে যায়। তখন তো আর কেউ সেনানীবাসে ঢোকার কোনো লোকও থাকেনা। যারা ঢোকে তারা গুটিকতক সৈনিক যারা ফ্যামিল্যম্যান হিসাবে ইউনিটের বাইরে থাকে অথবা ছুটি থেকে আগমন করে অথবা কেউ সিএমএইচ থেকে বের হয়। এরজন্য বিকল্প রাস্তাও আছে। আমি ইচ্ছে করলে আমাদের আভ্যান্তরীন এই রাস্তাটা বন্ধ করেও দিতে পারি রাত সাতটার পর। অধিনায়ককে বললে আবার হরেক রকমের ব্যাখ্যা দিতে হবে, দরকার নাই। আগামীকাল এসএম সাহেব কে দিয়েই আদেশটা দিয়ে দেবো।
এই আর্মীতে একটা জিনিষ লক্ষ্য করেছি। একবার যদি কেউ কোনো আদেশ দিয়ে ফেলে, আর সেটা যদি একজিকিউট করা হয়ে যায়, সেটা রদবদল করতে অনেক সময় লাগে। হয়ত দেখা যাবে, আজকে আমার একটা উদাসীন আদেশ বলে হয়তো কাল থেকে রিক্সা আসলেই বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু এটাকে পুনরায় বহাল করার জন্য আমাকেই হয়ত ইউনিটের সিও সাহেবের অথবা ব্রিগেডের আদেশ নিতে হতে পারে। আর্মীর অফিসারগন কোনো রিস্ক নেন না। কিন্তু বাইরের বেসামরীক লোকজন কিন্তু আর্মীকে অনেক সাহসী কিছু মনে করে। তারা আর্মীকে ভয় পায়, কিন্তু আর্মী ভয় পায় নিজেদের। ১৯৭১ এর আর্মী আর ১৯৮৭ র আর্মী এক নয়। যতো দিন যাবে, এই আর্মী একদিন প্রোফেশনাল হবে ঠিকই কিন্তু এর যে অলিখিত বীরত্ব, অলিখিত সৌন্দর্য আর সাহসীকতার প্রতীক, এটা হারিয়ে যাবে। এর ব্যাখ্যা আমি এখন দিতে পারবো না। কিন্তু আমার কাছে এতাই মনে হচ্ছে।