০৩/০৯/১৯৯৫- ২য় দিন হাইতি

Categories

সকালে উঠেই অফিসে যেতে হলো। অনেক ফরমালিটিজ। জাতিসংঘের নিয়ম অনুসারে মেডিক্যাল কার্ড, নিহের ফর্ম পুরন করা, আইডি কার্ডের জন্য আরেক অফিসে যাওয়া, ভ্যাকসিন নেওয়া, অরিয়েন্টেশন ক্লাশ করা ইত্যাদির ভারে সারাটি দিন বেশ ভালই চাপের মধ্যে গেলো। আমরা হাইতির ভাষা বুঝি না, তাই দোভাষী এলো। একজনের নাম নাতাশা। প্রায় ৪০ বছরের মতো হবে। এখানকার সবাই ব্ল্যাক। প্রায় ৯৫% মানুষ ব্ল্যাক। আমি কখনো ব্ল্যাক মানুষ এতো কাছ থেকে দেখিনাই।

এদের দেখলে কোনো অবস্থাতেই ভালো লাগে না। নোংরা নোংরা মনে হয়। মেয়েগুলির নিতম্ব এতো বড় আর বুক পেট এতো উচু তাঁর সাথে মুখের চেহারা এতো বিদ্গুটে যে, এদের আমার ভালোই লাগছিলো না। কিন্তু আমি পজিটিভ মানুষ। তাদেরকে আমার ভালো লাগতে হবে এটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমি এদের সাথে এদের জন্য এদের দেশে কাজ করবো অথচ আমি এদের কে পছন্দ করবো না, এটা অন্যায়, এবং করা উচিত না।

আমরা কে কোথায় কি ডিউটি করবো এটা এখনো কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ভাগ করে দেন নাই বিধায় আমরা সবাই আপাতত বেস ক্যাম্পেই থাকছি, আর ক্যারাবানে ঘুমাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *