অবসেসন বা অন্যঅর্থে কোনো কিছুর উপর কারো একাগ্রচিত্তের মতো একটা এক তরফা ভাবনা বা বাতিক। এই অবশেসন একটা শাখের করাতের মতো। যদি অবসেসন কোনো ভালো জিনিষের উপর হয় তাহলে সেটা মানুষকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দেয়ার রাস্তা তৈরী করে দেয় কিন্তু নেগেটিভ অবসেসন ভীষন বিপদ। বিপদ যেমন তার আশেপাশের মানুষদের জন্যে, তেমনি বিপদ সমাজের জন্য। আর এই অবশেসন সবচেয়ে বেশী বিপদ সেই মানুষটির জন্য যে ভুল জিনিষ নিয়ে অবসেসিস হচ্ছেন।
অনেক কারনে মানুষ এই অবশেসনে ভোগে। কখনো প্রেমের কারনে, কখনো অর্থের কারনে, কখনো নিজের অপারগতায় অন্যের উপর হিংসার কারনে, কখনো আবার এমনি এমনি। শেষেরটা হতে পারে নিছক কোনো পারিবারিক বা পরিবেশগত কারনে। যারা অবশেসিসড, তারা কিন্তু অবুঝ নন, তারা অশিক্ষিতও নন, তারা যুক্তি মানেন, তারাও আশেপাশের সবার ব্যাপারে জ্ঞান রাখেন। কিন্তু তারা অবসেসিসড হয়ে গেছেন, এটা তার আশেপাশের অনেকেই জানেন না। ফলে, এসব মানুষগুলি থেকে অন্যরা যে বিপদের আশংকা আছে, সেটা হয়তো বুঝেই উঠতে পারেন না। এই নেগেটিভ অবসেসিসড মানুষ গুলিই ক্রমাগত মস্তিষ্ক বিকাসের কারনে এক সময় হয়ে উঠে সিরিয়াল কিলার, কিংবা জাগ্রত অদৃশ্য ধ্বংসাত্মক কোনো শ্রেনীর প্রতিনিধি। ফলে যখন আপনি কাউকে এমন দেখবেন যে, কোনো একটা কাজে তার নাছোরবান্দার মতো এটিচিউড, বা যুক্তির বাইরে গিয়েও কন কিছু না মেনে এক তরফা তার পিছনে লেগেই রয়েছে, সাবধান হোন। হতে পারে, আপনিই তার প্রথম টার্গেট। আর যদি পজিটিভ মনোভাব ওয়ালা কোন অবসেসিড এর সাথে আপনার সাক্কাহত হয়, তাকে ধরে রাখতে পারেন, কিন্তু এটা সব সময় মনে রাখা দরকার, সে জেনো তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে ব্যবহার না করে। তাহলে বুঝবেন, সেখানেও আপনি বলীর পাঠা।
তাই এরুপ কোন অবসেসিডের কাছ থেকে হোক সে নেগেতিভ বা পজিটিভ, একটু আলাদা থাকুন। হয়তো ফলাফল খারাপ হবে না।