সময় সব সময় সবার কাছেই দামী। কেউ সময়টাকে পয়সার সাথে তুলনা করে আর কেউ তুলনা করে সুখ দিয়ে। একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে-সবার কাছে কম বেশী পয়সা থাকেই। যে কোন কাজ করে না, যার কোনো সোর্স অফ ইনকাম নাই, তার কাছেও কিছু না কিছু পয়সা থাকে। পয়সা আসার এই ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত। কিভাবে আসে, কার কাছ থেকে কখন আসে, যার কাছে আসে, সেও মাঝে মাঝে বুঝতে পারে না, কিভাবে এলো। কিন্তু আসে। দিন চলে যায়, আবার আরেকটা নতুন দিন আসে। এক সময় জীবনটাই চলে যায়, তখন আর পয়সার কোন প্রয়োজন পড়ে না। তখন মনে হয়, সময়টা থাকলেই হতো, আরো কিছুদিন এই পৃথিবীর আরো কিছু সুন্দর জিনিষ উপভোগ করা যেত।
মানুষের সবচেয়ে বড় দূর্ভাগ্য হচ্ছে-সে জানে না তার সময়ের লিমিটটা কথায়। এই লিমিটটা না জানার কারনে জীবনের শেষ দিনতক মানুষ শুধু এটার পিছনেই ঘুরে। একে একে পাহাড় সমান পয়সা জমা করে ফেলে, ভাবে এইতো আর কিছুদিন পর থেকে শুধু ভোগ করবো। অন্যদিকে, পয়সা উপার্জনের জন্য সে তার লিমিটেড সময়টাকে এমন প্রান্তে নিয়ে যায় যে, সঞ্চিত পয়সা ভোগ করার জন্য যে সময়টা দরকার, সেটা তার কাছে থাকেই না। জীবনের লিমিটেড সময়টাকে সে ভাবতেই চায় না যে, কখন কতটুকু পয়সার প্রয়োজন তার সেই লিমিটেড পয়সাটাকে ব্যবহারের জন্য। ফলে যে বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে সেটা হচ্ছে, হাতে জমা অনেক পয়সা রেখেই মানুষ ছেড়ে যায় তার সব সাম্রাজ্য আর সঞ্চয় করা পয়সাগুলি। তখন এগুলি অন্য কেউ ভোগ করে যা করার সপ্ন ছিলো যিনি পয়সা উপার্জনের জন্য এতোটা সময় নষ্ট করেছেন। এই যে চক্রটা, এটা সবাই জানেন, সবাই মানেন, কিন্তু কেউ এটাকে ফলো করেন না, করতেও চান না।
অদ্ভুত না ব্যাপারটা?
কিন্তু এটা অন্য কোনো পশু পাখীদের বেলায় হয় না। অথচ তাদের জীবনের মধ্যেও ভালোবাসা আছে, কষ্ট আছে, দুঃখ আছে, আছে আরো অনেক কিছু।