যখন আমার বান্দা ইবাদতের মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভ করে, তখন আমি তাকে বন্ধু বলে জানি। যখন বন্ধু বলে জানি, তখন আমি তার কান হই যা দ্বারা সে শোনে, আমি তার চোখ হই যা দ্বারা সে দেখে, আমি তার হাত হই যা দ্বারা সে কিছু ধরে, আমি তার পদযুগল হই যা দ্বারা সে হাটে (হাদিসে কুদসি)।
ফলে, নৈকট্য লাভের উপায় অনুসব্ধান করো (সুরা মায়িদা ৫ঃ৩৫)। আল্লাহর ইবাদতে তুমি এমনভাবে মশগুল হও যেনো তুমি তাকে দেখতে পাচ্ছো। আর যদি দেখতে না পাও, তবে মনে রেখো, তিনি অবশ্যই তোমাকে দেখতে পাচ্ছেন। যা আমি বলেছি, তা শরিয়ত, যা করেছি তা তরিকত, যা দেখেছি তা হাকিকত আর যা চিনেছি ও জেনেছি তা মারেফাত। (আল হাদিস)। পৃথিবীতে সফর করো ও দেখো অপরাধীদের কি পরিনাম হয়েছিলো (সুরা নমল-২৭ঃ৬৯) এবং দেখো, জানো এবং মানো আর লক্ষ্য করো পরিনতি-যারা করেছে আর যারা করেনি এবং (এক ধরনের হুমকী দিয়ে বলেছেনঃ) আমি কি এমনি এমনি ছেড়ে দেবো? (সুরা কিয়ামা-৭৫ঃ৩৬)
মন্তব্যঃ- সৃষ্টি তার, সার্বভৌমত্ব তার, তিনিই একমাত্র অধিপতি। আমরা তার দাস। যে দাস, সে রায় দিতে পারেন না। এখানে ন্যয্য কিংবা অন্যায্য কি সেটা বলার কোনো ইখতিয়ারও নাই। গায়ের জোর দিয়ে কিছুই বলা যাবে না কিংবা স্রিষ্টির সব রহস্য যেহেতু আমাদের জানা নাই, তাই আমাদের জ্ঞানের কোনো বিশ্লেষনও নাই। আমরা তো এটাও জানি না, কিয়ামতের পরে কি স্রিষ্টিকারী সব শেষ করে দিয়ে আবার চুপ করে থাকবেন নাকি পুনরায় আবার কোনো জগত তৈরী করে নতুন কোনো রহস্যা সৃষ্টি করবেন? সবই তো রহস্যা। জ্ঞানের স্তর অনেক। আমাদের যার যার জ্ঞানের পরিধিতে একই জিনিষ পরিমাপ করতে পারি না। জ্ঞান নিজেও একটা রহস্য।