০৯/০৪/২০১৮- থানচি ভ্রমন

Categories

আবারো চলে এলাম থানচিতে। এবার পরিবার নিয়ে নয়, আমি আর মুর্তজা ভাই। জানজটের শহরের ভ্রমনের সময় যেভাবে জানজটের কারনে সময় নষ্ট হয়, সেটা এবার হয় নাই। বিকেল সাড়ে চারতায় বাংলাদেশ বিমানে সোজা চলে এলাম শাহ আমানত ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। মাত্র ৩০/৩৫ মিনিট লাগলো। সন্ধ্যার আগেই চট্টগ্রাম।

আমাদের সাথে আরেক বন্ধু যোগ হয়েছিলো এয়ারপোরট থেকে। এই তিনজনে মিলে একটা প্রাইভেট কার ভাড়া করে সোজা চলে এলাম বান্দরবান। পথে হোটেল হিল ভিউ ম্যানেজারকে ফোন করে একটা রুম নিয়ে নিলাম। মোটামূটি রাত নটার আগেই হোটেলে ঢোকে গেলাম। তিনজন মিলে খাওয়া দাওয়া করে পায়ে হেটে আশেপাশের জায়গা গুলি দেখলাম। বড্ড সুন্দর রাতে বান্দরবান।

পরদিন আমরা সবাই আরেকটা প্রাইভেট কার নিয়ে সোজা চলে গেলাম নীলগিরিতে। এবার আমার দেখার সাধ ছিলো থানচি আর বড় পাথর এলাকা। নীলগিড়িতে আমরা সবাই মোটামুটি কয়েকঘন্টা সময় কাটালাম। মুর্তজা ভাইয়ের এটাই প্রথম আসা নীলগিড়িতে। ঊনিও খুব পছন্দ করছিলেন জায়গাগুলি। যেহেতু আমাদের গন্তব্য স্থান ছিলো থানচি, তাই বেশীক্ষন দেরী করার অবকাশ ছিলো না। দুপুরের আগেই আমরা রওয়ানা হয়ে গেলাম থানচির উদ্দেশ্যে।

পথে বলিপাড়া ক্যাম্প বা জোন যেটাই বলি না কেন, সেখানে কর্নেল হাবীবের সাথে একসাথে নাস্তা করলাম। শুক্রবার ছিলো বিধায় হাবীবের ব্যাতালিয়ানে জুম্মার নামাজটা পড়লাম। অতপর আবার থানচির উদ্ধেস্য যাত্রা।

থানচি পৌঁছলাম প্রায় বিকালের দিকে। বিজিবি অবকাশ রিসোর্ট। খুব সুন্দর। আমাদের জন্য কর্নেল হাবীব আগে থেকেই তার অধিনে বিজিবি অবকাশে আমাদের জন্য রুম রেখে দিয়েছিলো। অনেকদিন পর মেসে থাকা। বেশী দেরি করলাম না। ওখানকার হেডম্যান, কারবারিকে সাথে নিলাম। আশ্রাফ ভাই সাথে ছিলেন। সবাইকে ঊনি চিনেন এবং সবাইও ঊনাকে চিনে। দারুন মানুষ আশ্রাফ ভাই। চলে গেলাম ডিম পাহাড়ে, মুন পাহাড়ে। ভীসন উচু একটা পাহাড়। গাড়ি উঠতে বুঝা যায় কি পরিমান শক্তির দরকার এইসব ডিম পাহাড়ে উঠার জন্য।  প্রায় সন্ধ্যার দিকে ফিরে এলাম। অনেক বৃষ্টি হলো। থানচিতে এই বছরে নাকি এটাই প্রথম বৃষ্টি।

পরের দিন খুব ভোরে আমরা সবাই বড় পাথর এলাকায় রওয়ানা হলাম। বিজিবির সৈনিকগন সাথে ছিলো। আমার জীবনে এতো বড় বড় পাথর আর কখনো দেখি নাই। কোনো কোনো পাথরকে আদিবাসিরা রাজা পাথর, কোনো কোনো পাথরকে তারা রানী পাথর হিসাবেও পুজা করে। বড় পাথর এলাকায় গিয়ে ওখানে এক আদিবাসির দোকানে গরম গরম ভাত, আর সাঙ্গু নদীর তাজা মাছের ঝোল দিয়ে নাস্তা করলাম।