১৪/০২/২০২৫-জলিল মামা মারা গেলেন

আমার মায়ের পক্ষের এই জলিল মামা মারা গেলেন গত সপ্তাহে। অনেক ভালো একটা মানুষ ছিলেন উনি। আমি যখন সে ছোট বেলেয়ায় গ্রামে থাকতাম, তখন বেশীর ভাগ সময় আমি এই জলিল মামার বাসাতেই দিনটা পার করতাম। কারন তার এক ছেলে মোতালেব আমার দোস্ত ছিলো। মোতালেব শেষ পর্যন্ত লেখাপরায় আর আগায় নাই, এখন সে মুদি দোকান করে। তারই মেয়েরা হচ্ছে এই সনি, হ্যাপি যারা আমার পরবর্তী জীবনেও ভিন্নভাবে এসেছিলো। মোতালেবের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগমও আমার জীবনে একটা প্রভাব রেখে গেছে। যাই হোক, জলিল মামা মারা যাওয়ার পর একবার ভেবেছিলাম, জানাজায় যাই। সময়ও ছিল কিন্তু যাওয়া হয় নাই। উনার স্ত্রী তাহেরা মামি এখনো জীবিত। ভীষন সুন্দুরী একটা মহিলা ছিলেন। এখনো প্রায় ৮০ বছরের মহিলাকে দেখলে মনে হয়, প্রচন্ড সুন্দুরী। অত্যান্ত ভাল একজন মানুষ বটে। উনি মোট ১৭ জন বাচ্চার মা হয়েছিলেন। কিন্তু দুক্ষের বিষয় হচ্ছে-এই ১৭ জন বাচ্চা তাদের কোনো সুখের কারন হয় নাই তাদের বুড়া বয়সে । তারা যেনো বাচ্চাদের কাধে একটা বোঝা হয়েই ছিলো।

জলিল মামার সবচেয়ে ভালো গুন ছিলো যে, উনি গ্রামের সব অনুষ্ঠানে যেতেন হোক সেটা সাল্লিশী, হোক সেটা কোনো বিচার আচার কিংবা গ্রামের কোনো উৎসব। কারো প্রতি তার কোনো রাগ ছিলো না। আমার খুব ভক্ত ছিলেন তিনি। কোথাও যদি জানতেন আমি সেখানে যাবো, জলীল মামা সেখানে যেতেনই। ওনার সাথে আমার সর্বশেষ সাক্কাহত হয়েছিলো বাক্তার চর একটা মাদ্রাসায় যখন আমি ভিজিট করতে গিয়েছিলাম তকন, সেটাও প্রায় ১ বছরের উপরে হয়ে গিয়েছিলো। 

শুনেছি, শীতের সময় নাকি তিনি শুধু আমার দেয়া সুয়েটার গুলিই পড়তেন আর বলতেন সবাইকে যে, এটা আখতার দিয়েছে। মরার সময় নাকি তিনি আমার দেয়া সুয়েতার গুলি গায়ে দিয়েই ম্রত্যু বরন করেছিলেন। জীবদ্দশায় আমার যাওয়া উচিত ছিলো একবার তাকে দেখতে। এতা আমার পক্ষ থেকে খুবই অন্যায় হয়েছে।