আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আমি লিখতে চাচ্ছি- সেটার নাম প্যারাডাইম শিফট। এই প্যারাডাইম শিফটের সাথে ইউক্রেন, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের একটা সম্পর্ক আমি দেখতে পাই। তাহলে সংক্ষিপ্তভাবে জানা দরকার, এই প্যারাডাইম শিফটটা কি।
যখন সাভাবিক কোনো চিন্তাচেতনা কিংবা কার্যক্রম অন্য কোনো নতুন নিয়ম বা চিন্তা চেতনা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে দেখা যায়, তখন এই প্রতিস্থাপিত নতুন পরিবর্তিত চিন্তা চেতনাকেই প্যারাডাইম শিফট বলা হয়। অন্যঅর্থে যদি বলি-এটা হচ্ছে একটা মডেল, তত্ত্ব, বা দ্রিষ্টিভঙ্গি, ধারনা, কিংবা দৃষ্টান্ত যা প্রকৃত তত্ত্ব, দৃষ্টিভঙ্গি, কিংবা মডেল থেকে ১৮০ ডিগ্রী উলটা। প্যারাডাইমটা আসলেই আসল জিনিষ না, এটা একটা মানষিক ভাবনার সাথে প্রকৃত সত্যের একটা শুধু কাল্পনিক ছবি। কোনো একটা জিনিষের ব্যাপারে আমরা যা ভাবছি, বা দেখছি এর সাথে সেই জিনিষটার যে রকম প্রকৃত বৈশিষ্ট , এই দুয়ের মাঝেই থাকে প্যারাডাইম তত্তটি। এই প্যারাডাইম দিয়ে মানুষ কোনো একটা ধারনা, চিন্তা চেতনা, কিংবা কোনো একটি জিনিষের ব্যাপারে একটা ধারনা পায়। যার প্যারাডাইম শিফট যত কম, সে ততো অরিজিনাল জিনিষের কাল্পনিক রুপ দেখতে পায়।
একটা উদাহরণ দেই- ধরুন আপনি একটা লোকের চেহাড়া দেখে ভাবলেন যে, সে একটা নিশ্চয় ভয়ংকর সন্ত্রাসী। আপনার মন তাকে সেভাবেই ট্রিট করছে, সেভাবেই আপনি তাকে ওই খারাপ মানুষদের মধ্যে লিষ্ট করে ফেলেছেন। অনেকপরে যখন জানলেন যে, লোকটা ছিলো খুবই ভদ্র, ভালো ও খুবই অমায়িক এবং পরোপকারী। তখন আপনি অনেক মনোকষ্টে ভোগবেন। আফসোস হবে এই কারনে যে, আহ, সব কিছু না জেনে, না বুঝে কেনো আমি এমন একটা ভালো মানুষকে খুবই খারাপ ভেবেছি? এই যে নতুন ভাবনা আপনাকে আগের চিন্তাচেতনা থেকে হটাত করে ১৮০ ডিগ্রী উলটে গিয়ে আরেক নতুন ভাবনায় নিয়ে এলো, সেটাই প্যারাডাইম শিফট। থমাস কুন তার বিখ্যাত-“দি স্রাইাকচার অফ সায়েন্টিক রেভ্যুলেশন” বই এ প্রথম প্যারাডাইম শিফট শব্দটি চালু করেন। প্যারাডাইম যার যতো বেশি নিখুত, তার প্যারাডাইম শিফট ততো কম। আর যাদের এই প্যারাডাইম কোনো কিছুর ব্যাপারে প্রায় কাছাকাছি থাকে, তারা আসলেই জ্ঞানী এবং বাস্তববাদী। বর্তমান জগতে মানুষের প্যারাডাইম অনেক অনেক সত্যের থেকে বেশী দূরে বিধায়, আমাদের সমাজে ভুল সিদ্ধান্তে গন্ডোগোল বাড়ছে।
তাহলে এর সাথে ফিনল্যান্ড অথবা সুইডেনের বা ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগের সম্পর্ক কি?
কিছু খন্ড খন্ড ঘটনাকে খাতায় কষে বিশ্লেষন করলে দেখা যাবেঃ
(১) ইউক্রেন CIS এর এসোসিয়েট মেম্বার। তারা প্রথম ইউরোপিয়ান দেশের সদস্য হবার জন্য অনুরোধ করে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বির মাসে। কিন্তু তাদের সেই অনুরোধ রক্ষা করা হয় নাই বিভিন্ন রাজনৈতিক বিবেচনায়, বিশেষ করে রাশিয়ার নাবোধক জবাবের কারনে। শুধু তাইই নয়, এই আমেরিকাই ইউক্রেনে অবস্থিত নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডসহ পুরু নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করতে সাহাজ্য করেছিলো। তখন কিন্তু আমেরিকা বা পশ্চিমারা ইউক্রেনের প্রতি ততোটা ভালোবাসা প্রকাশ করে নাই। কারন তখন ইউক্রেনকে তাদের প্রয়োজন ছিলো না, প্রয়োজন ছিলো ওয়ার্শ জোট ভাংগার নিমিত্তে রাশিয়াকে খুশী করা। তাতে ইউক্রেনের পারমানিক ক্ষমতা বিলুপ্ত হলেও পশ্চিমাদের লোকসান নাই।
(২) ইউক্রেন একটি সমৃদ্ধ শালী দেশ বিশেষ করে ভোজ্য তেল, খাদ্য কমোডিটি, স্টীল, সিরিয়াল, গম ভুট্টা, নিকেল, আয়রন ইত্যাদি। দিনে দিনে রাশিয়া তার ৯০ শতকের ধ্বস থেকে কাটিয়ে উঠে আবার আগের শক্তিতে ফিরে আসছে যা পশ্চিমাদের জন্য সুখকর নয়। তাই তাঁকে চেপে ধরার একটা এজেন্দা দরকার। ইউক্রেন একটা ভালো অপ্সন। কারন এটা রাশিয়ার একেবারেই গোড় দোরায়।
(৩) আমি, আপনি হয়তো এতো গভীর স্তরে ভাবি না কিন্তু যারা আন্তর্জাতিক খেলোয়ার তারা ঠিকই খবর রাখে কোথায় কি হচ্ছে আর কেনো হচ্ছে। খেয়াল করে দেখলে দেখা যায়, ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করলো, প্রো-ওয়েশটার্ন প্রেসিডেন্ট প্রোসেংকুকে আউট করে দিলো, জর্জয়ায় রাশিয়ার আগ্রাসন কে ঠেকালো না, ওসেটিয়ায়র অবস্থাও একই। চেচনিয়াও তাই। আমেরিকা কিছুই বল্লো না, না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। একটা অতি জনপ্রিয় কমেডিয়ান এর আবির্ভাব হলো। প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলো যার কনো প্রকার পলিটিক্যাল অভিজ্ঞতাও নাই। কিন্তু সাহস ছিল। হটাত করেই জেলেনেস্কীর আগমন ঘটে নাই সিন গুলিতে। প্রোসেংকুকে আউট করার সময়ই এই আঘাতটা আসার কথা ছিলো কিন্তু তখন ব্যাপারটা ঘটে নাই কারন গ্লোবাল রিসেশনে পসচিমারাও কোন্ঠাসা। ইউরোপ তো আরো কোন্ঠাসা। They take time.
(৪) ইউক্রেনকে ভালোবেসে পশ্চিমারা গদগদ হয়ে এতো সাপোর্ট করছে এটা ভাওব্লে ভুল হবে। নিজদের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন লোন মাথায় রেখে কোনো দেশ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অন্য কোথাও ইনভেষ্ট করতে যায় না। এর পিছনে লাভ অবশ্যই থাকা দরকার। আর সেটার নাম জিরো-সাম গেম। Zero-sum games occur whenever the aggregate gain between winners and losers totals zero. আরেকটু পরিষ্কার করে বলি- জিরো-সাম গেমের সংগা হচ্ছে-নেট জিরো। আমি ধনী কারন আপনি গরীব, আমি গরীব কারন আপনি ধনী। আমি জিতেছি কারন আপনি হেরেছেন, আমি হেরেছি কারন আপনি জিতেছেন, ব্যাপারটা ঠিক এই রকমের। এরমানে এই যে, কোনো একটা ১০০% ভান্ডার থেকে আমি যখন ৫০% নিয়ে নেবো, আপনি আর কখনোই ওই ভান্ডার থেকে ইচ্ছে করলেও ১০০% নিতে পারবেন না। আমি যদি ওই ভান্ডার থেকে পুরু ১০০% নিয়ে নিতে পারি, আপনি পুরু ১০০% ই লস করবেন। আর এই কন্সেপ্টের কারনে পশ্চিমারা কখনো গনতন্ত্রের নামে, কখনো মানবাধীরকার নামে, কখনো বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসাবে, কখনো কাউকে আগ্রাসীর বদনামে নিজেরা পাশে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু মুল লক্ষ্য থাকে সেই সাহাজ্যার্থীর টোটাল ধন সম্পদের উপর অথবা তাঁকে সাহাজ্য করার নামে নিজেদের চিহ্নিত শত্রুকে নিঃশেষ করে দেয়া। ফলে যদি দেখেন ইরাক, আফগানিস্থান, বা লিবিয়া, প্যালেষ্টাইন, ইত্যাদির ঘটনাগুলি, সেখানে নিরাপত্তার নামে, সুষ্ঠ গন্তন্ত্রের নামে কিংবা সাধীন জীবনের প্রতিশ্রুতির নামে তাদের জীবনমান, সোস্যাল ফেব্রিক্স, লিভিং স্ট্যান্ডার্ড সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। তাদের ধন সম্পদ লুট করা হয়েছে, এসেট বলতে সব কিছুই লুট করা হয়েছে। লাভ হয়েছে একজনের, সম পরিমান লস হয়েছে ওই দেশ গুলির। ওদের মেরুদন্ড ভেংগে দেয়া হয়েছে, কমান্ড ভেংগে দেয়া হয়েছে। ওখানে এখন কোনো কিছুই আর আগের মতো নাই। এটাই লাভ। আর ততটাই লসে হয়েছে সে সব দেশের যারা জিরো সাম গেমটা বুঝে নাই।
(৫) একবার খেয়াল করে দেখলে দেখা যাবে যে, যে পরিমান হাই লেবেলের রাষ্ট্র প্রধান, সিনেটর, ফার্ষ্ট লেডি, স্পিকার, মিনিষ্টার, সেক্রেটারি এত ঘন ঘন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে বিপদজনক এক্টিভ যুদ্ধক্ষেত্রে শশরীরে দেখা করেছেন, এর কারন কি? এর কারন একটাই, তাঁকে বারবার মনে করিয়ে দেয়া বা তাঁকে বলা যুদ্ধের জন্য শান্তিচুক্তি করা যাবে না। আমরা আছি তোমার পাশে। কোনো সমঝোতা করা যাবে না। তাই না কনো জাতিসংঘের কেউ, না কোনো ডিপ্লোমেট, না কোন পশ্চিমা নায়ক যুদ্ধ বন্ধের কোনো উদ্যোগ নিলেন। তারা যুদ্ধে কোনো সমঝোতা না করার পরামর্শ দিতেই এতো রিস্ক নিয়ে শশরীরে সেই যুদ্ধ ক্ষেত্রে এসেছেন।
(৬) বোকা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেই ফাদেই পা দিয়ে নিজের দেশের বেশ ক্ষতি করা শুরু করলেন। যত নিষেধাজ্ঞাই দিক, যত মিষ্টি কথাই বলুক, যত মহড়াই আশেপাশের দেশে কসরত করুক, কেউ কিন্তু ইউক্রেনের মাঠে নামলেন না। ৩০ টা দেশ, ৩০ টা আর্মি, ৩০ টা দেশের প্রধান সব মিলিয়ে তো একটা শক্তি অবশ্যই। যেখানে ন্যাটো তার আন্তর্জাতিক নিয়ম ভেংগে তার সদস্য সংগ্রহ করতে পারে, যেখানে কোনো আইন মানার ব্যাপারে তাদের কোনো পরোয়া নাই, এতো এতো মিউনিস্ক চুক্তি, এতো এতো শান্তি চুক্তি থাকা সত্তেও ন্যাটো বা ইউরোপিয়ানরা তাদের নিজেদের কাজ করে যাচ্ছে, অথচ ইউক্রেনের যুদ্ধকে কেউ সহজ করে দিলো না। কেউ মাঠে নামলো না। দুনিয়া এদিক সেদিক করে ফেলবে এমন কথাও বললেন তারা, অস্ত্র দিলেন, টাকার পর টাকা দিলেন, আশ্বাস আর শান্তনার বানীর কোনো কমতি নাই। যে কোনো পরিস্থিতিতেই তারা ইউক্রেনের পাশে থাকবেই। কিন্তু একটা ‘নো ফ্লাই জোন করতে পারলেন না, না যুদ্ধ বিমান দিয়ে ইউক্রেনকে সাহাজ্য করা হলো। দিন তারিখ ফিক্সড করে দুনিয়ার সব রিকুয়েষ্ট অগ্রাহ্য করে আফগানিস্থান এটাক করা যায়, ইরাকে বোমার পর বোমা ফেলা যায় অথচ আধুনিক কিছু মিজাইল আর ভাড়াটিয়া এক্সপার্ট দিয়া ইউক্রেনকে সাপোর্ট দিয়ে রাশিয়ার ভিতরে কিংবা রাশিয়ার ইন্টারেষ্টেড স্থানে এটাক করা গেল না। যুদ্ধ যুদ্ধই। করতে পারতো। কিন্তু করা হয় নাই। জেলেনেস্কী বারবার আশাহত হয়েছে। তার ভাবনার সাথে সত্যিটা মিলছিলো না, এখনো মিলছে না। জেলেনেস্কীর জন্য- কি ভেবেছি আর কি হইলো? এটাই প্যারাডাইম শিফট।
(৭) আমি একটা লেখায় লিখেছিলাম যে, তেল গ্যাসের উপর ইউরোপিয়ানরা নিষেধাজ্ঞা দিলো বটে অথচ সেই নিষেধাজ্ঞার সময়ে ইউক্রেন তো ইচ্ছে করলে ১ম দিন থেকে তাদের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গ্যাস বা তেলের পাইপ নিজেরাই বন্ধ করে দিতে পারতো। কিন্তু সেটা কিন্তু করে নাই। না ইউক্রেন করেছে, না ইউরোপিয়ানরা ইউক্রেনকে করতে বলেছে। ইউরোপিয়ানরা সেটা বন্ধ করতে বলে নাই কারন সেটা তাদের দরকার। নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিন্তু তারা সেটা নিবেন। তাহলে নিষেধাজ্ঞা কিসের? প্রেসিডেন্ট কি এতো বোকা যে সে তার দেশের উপর দিয়ে যাওয়া পাইপ লাইন বন্ধ করতে পারতো না? তাঁকে আসলে সেটা করতে দেয়া হয় নাই। যুদ্ধের প্রায় ৫৬ দিন পর ইউক্রেন নিজের থেকে তাদের ডোনেস্ক এর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পাইপ লাইন বন্ধ করেছে। তাও আবার কাউকে না বলেই। অনেকটা জিদ্দে। কেউ কি মনে করেন তাতে ইউরোপিয়ানরা জেলেনেস্কীর উপরে খুব খুশী হয়েছে? একেবারেই নয়।
(৮) তাহলে জেলেনেস্কী এটা করলো কেনো? সে না প্রকাশ্যে বলতে পারছে অনেক গোপন কথা, না সে স্বাধীনভাবে নিতে পারছে নিজের সিদ্ধান্ত। ফলে সে একটা জিনিষ খুব ভালো করে বুঝে গেছে যে, যুদ্ধ যতোদিন বেশী চলবে, এই যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজের দেশের জন্য তার কি করার ছিলো এটা যুদ্ধ শেষে তর্জমা হবেই। আর তখন বেরিয়ে আসবে কেনো সে বা তার কেবিনেট একক সিদ্ধান্ত নিতে পারে নাই, অন্তত সেই সব সাধারন নাগরিকদের জীবনের কথা চিন্তা করে যে, অনেক আগেই একটা আপোষের মাধ্যমে দেশটাকে পুরুপুরী ধংশের হাত থেকে বাচানো যেতো। তাই মাঝে মাঝে দেখা যায়, জেলেনেস্কী ইচ্ছামত জাতী সংঘকে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে তাদের অপারগতার কথা বর্ননা করে গালাগালীও করছে। এটাই আসলে প্যারাডাইম শিফট। কিন্তু তার এই প্যারাডিম শিফট আসতে সময় লেগেছে প্রায় দুই মাসের বেশী যে, সে যা ভেবেছিলো, আসলে সেটা সত্যি ছিলো না।
এখন যেটা সুইডেন আর ফিনল্যান্ড ভাবছে, যে, তারা ন্যাটোতে জয়েন করলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। তাদেরকে কেউ আঘাত করলে ন্যাটো ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সব অস্ত্রপাতী নিয়া সুইডেন আর ফিন ল্যান্ডের জন্য ঝাপাইয়া পড়বে ইত্যাদি কিন্তু যেদিন ওরা দেখবে যে, আইনের মার প্যাচে, আর্টিকেল ৫, আর আর্টিক্যাল ১০ এর দোহাই দিয়ে ন্যাটো বলবে, এই আর্টিক্যাল গুলির বাধ্যবাধকতায় তো তারা বাধা, কিভাবে এটম বোম্ব দিয়ে রাশিয়াকে ঘায়েল করবে? তার থেকে নাও ১০০ বিলিয়ন ডলার লোন, কিংবা এই নাও সফিশটিকেটেড রাশিয়ার এন্টি ট্যাংক মিজাইল, মারো রাশিয়াকে, আমরা পাশের দেশে আমাদের আধুনিক যত্রপাতি লইয়া কসরত করিতেছি যেনো রাশিয়া ভয় পায়, কিন্তু রাশিয়া যেহেতু অস্তিত্ব সংকটে আছে, ফলে Do or Die ফর্মুলায় এই দুইদেশকে ক্রমাগত অনেকভাবে বিরক্ত করতেই থাকবে। তখন এই দুইটা দেশের মনে হবে, নাহ নিউট্রাল থাকাই সবচেয়ে ভালো ছিলো। ন্যাটোতে যোগ দেয়া ঠিক হয় নাই। মাঝখান দিয়ে একটা ডেস্পারেট রাশিয়ার রোষানলে নিজের সাজানো দেশটার শুধু ক্ষতিই করলাম। সময় মতো ঐ সব প্রতিশ্রুতদেওয়া দলগুলি একই কাজ করবে যেটা তারা করেছে ইউক্রেনের জন্য। এটাই হবে সুইডেন আর ফিন ল্যান্দের জন্য প্যারাডাইম শিফট।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বা ন্যাটোর এই আন্তরীক আহবানে অভিভুত হয়ে তাদের নিজস্ব চিন্তাধারা থেকে এতোটাই দূরে সরে গিয়েছে যে, মনে হয়েছে ওরাই ঠিক। আর এই ডমিনো ইফেক্টই সুইডেন আর ফিনল্যান্ড এখন ন্যাটোতে যোগদানের করে একটা বিপদের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে।
রাশিয়া হয়তো এই মুহুর্তে সরাসরি তাদেরকে আক্রমন নাও করতে পারে কিন্তু পারষ্পরিক বাই লেটারাল সহযোগীতা, তেক গ্যাস, ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই, কমোডিটি, পোর্ট ফ্যাসিলিটি, ইত্যাদি তো নষ্ট হবেই, ২৬০০ কিলোমিটার কমন বর্ডার কখনোই শান্ত থাকবে না।