যারা এখনো মনে করছেন যে, লক ডাউনটাই হচ্ছে সমাধান, সেটা সম্ভবত সঠিক নয়। এ বিশ্ব অচিরেই করোনা মুক্ত হবে না। কোথাও না কোথাও এর পরিব্যপ্তি থাকবেই। ফলে বছরের পর বছর লক ডাউন ভাবা যায় না। কোথাও না কোথাও হয় আক্রান্ত, আক্রান্তের পর সুস্থ্য, আবার আক্রান্ত, আবার কেউ ক্যারিয়ার, কেউ আবার উপসর্গ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত ইত্যাদি নিয়েই ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠিতে মানুষ বিচরন করবেই। আর একজন মানুষই যথেষ্ঠ পুনরায় এই মহামারীর জন্ম দেওয়ার।
যে দেশই বলুক তারা লক ডাউনের মাধ্যমে দেশ করোনা মুক্ত করে ফেলেছে, তারা এখন সেফ। এটাও ঠিক নয়। তারা কি বিশ্ব বানিজ্য, বিশ্ব গনমানুষের আন্তরদেশীয় আনাগোনা বন্ধ করতে পারবে? পারবে না, আর পারবে না বলেই তারাও মুক্ত হয়েও আবার মুক্ত নয়। কারন যতোই চেকিং করে মানুষদেরকে নিজ দেশে ঢোকানো হোক না কেনো, উপসর্গবিহীন বহু মানুষ করোনা নিয়েও ঘুরে বেরাবেন যা সহজেই ধরা যাবে না। বছরের পর বছর লক ডাউন কার্যকরী করে রাখা সম্ভব নয়। ফলে, আজ হোক কাল হোক, লক ডাউন সবাইকে তুলে দিতেই হবে। কোনো না কোনো দেশ কোনো না কোনো কিছুর জন্যে এক দেশের না হয় আরেক দেশের উপর অবশ্যই নির্ভরশীল। ফলে অর্থিনীতির চাহিদার জন্যই সব উম্মুক্ত করতেই হবে।
লক ডাউনে যা ক্ষতি হয়েছে সেটা হচ্ছে অর্থনীতি। ক্ষতি হয়েছে সঞ্চিত সম্পদের ব্যয় এবং তা প্রায় নিঃশেষ। অর্থনীতি বিপর্যয় হচ্ছে সমস্ত বিপর্যয়ের জননী। আমি প্রথম থেকেই লক ডাউনের ফর্মুলায় বিশ্বাস করতে চাইনি। আমাদের ইসলামীক ইতিহাসও লক ডাউন করার ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয় না। কিন্তু মহামারীতে আক্রান্ত জায়গা সমুহে অবাধ যাতায়তে নিষেধের আদেশ ছিলো। লক ডাউনে হার্ড ইম্মিউনিটি তৈরী হয় না। বরং সংক্রমন দীর্ঘায়িত হয় বছরের পর বছর। লক ডাউন একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
করোনার পরে যেটা মহামারী হয়ে আসবে তা হচ্ছে দুর্ভিক্ষ। আর এই দুর্ভিক্ষের একমাত্র মেডিসিন, অর্থনীত সবলতা। অর্থনীতি সবল হলে ঘরে চাল আসবে, ডাল আসবে, সব আসবে, সাথে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেটেরিয়ালও আসবে। আর এটাই বাস্তবতা। সচেতনতা এখানে বড় ব্যাপার। অসচেতন হলে ভালো রাস্তায়ও মানুষ দূর্ঘটনায় মারা যায়।