Categories
আকাশে আগুন লাগে না। কিন্তু আকাশে যখন আগুন লাগে, সেই আগুনে জ্বলে পড়ে ছাড়খাড় হয় মাটি আর শুকিয়ে যায় নদীর জল। আকাশের হয়তো কিছুই পূড়ে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো যে, লোভের আগুনে হাত সেকলে হোক সেটা আকাশে বা জমিনে, সেই আগুন হাতকেই পুড়িয়ে দিতে পারে এটা কোনো লোভী মানুষের প্রায়ই মনে থাকে না। লোভের চুলা যখন অপরাধের ফায়ার প্লেস হয়ে যায়, যে কোনো মুহুর্তে সেই ফায়ার প্লেস এক সময় লোভিসহ আশেপাশে যারাই তার সাথে থাকে সবাইকে জালিয়েই মারে। তখন কেউ আকাশের উপরেই থাকুক আর জমিনে। আকাশের মেঘ কিংবা বাতাস সেই আগুনকে নিভাতে পারে না। যখন এই আগুনটা লাগে, তখন জমিনে থাকা মানুষ গুলি দেখে আকাশে বিস্ফোরন হয়েছে। আর সেই বিস্ফোরন ধীরে ধীরে ছাই হয়ে এই জমিনেই পড়ে। তখন তার নাম হয়, অপবাদ। এর থেকে মুক্তির একটাই পথ- এই আগুনকে আটকাতে হয়। যদি আটকানো না যায় তাহলে নেভাতেই হয়। আগুন নিয়ে খেলা উচিত না কখনোই। এতে পড়ে যাবার ভয় থাকে সারাক্ষন। আর সেটাই হয়েছে খেলার চিতা। তাহলেই সাফল্য আসবে। একটা জিনিষ প্রতিটা মুহুর্তে মনে রাখতে হবে যে, সাফল্যের প্রতিটি ধাপে কখনো আপনজন, কখনো অন্য কেউ হাত বাড়াতেই পারে কিন্তু কোন হাত কি কারনে বাড়ায় সেটা বুঝবার ক্ষমতা থাকা খুব জরুরী। কেউ মিথ্যার হাত বাড়ায়, আর তারা মিথ্যাকে লুকায় বহু পরিশ্রমের দ্বারা। আর সেই মিথ্যা পরিশ্রম কখনোই কাজে দেয় না। কারন সত্যের একটাই চেষ্টা থাকে- বাইরে এসে আলোয় দারানো। মিথ্যের রাত যতো লম্বাই হোক না কেনো, সত্যের সুর্জ ঠিক উঠবেই। আমি তোমাকে সব সময় এতাই বুঝাতে চাই যে, আমি মিথ্যা নই আর যারা তোমার পাশে আছে বা থাকার আশ্বাস দেয়, তারা সবাই মিথ্যা। কিছু আপন জন আছে, তারা হয়তো মিথ্যার আশ্বাস দেয় না, কিন্তু তারা কোনো আশ্বাসও দেয় না। হয়তো তারা কোনো ক্ষতিও করবে না। যেমন ওরা যারা ইতিমধ্যে তোমার আর আমার ব্যাপারটা জানে। সাফল্যের একটা মুল্য থাকে যেতা কাছের মানুষকেই জোগাতে হয়। সাফল্যের এ উন্নতি হচ্ছে শাখের করাত, একদিকে সে পৃথিবীর সমস্ত খুসী নিজের কাছে পেতে পারে, কিন্তু ততোক্ষন পর্যন্ত যতোক্ষন পর্যন্ত তার পা মাটিতে থাকবে এবং সেই সাথে সঠিক দিকে। সফলতা সাব্ধানতাকেও নিয়ে আসে, যে সেটা বুঝতে পারে না, সে ভুল জায়গায় গিয়ে ভুল রাস্তায় চলে যায়, যার নাম 'পতন'। অন্যদিকে রাগ কিংবা সন্দেহ একটা বিষাক্ত ফল, এটা মনজমিনে পোতা উচিতই না। এটা সবার আগে নিজের অস্তিত্বকেই শেষ করে দেয়। তারপর পথে যাইই পায় সেটাকে পায়ে ঠেলতে থাকে, ধ্বংস করতে থাকে। রাগ হচ্ছে একটা রাক্ষস, যে সররোনাশ করে। আর সন্দেহ হচ্ছে একটা শক্তি যা বিশ্বাস কে খুন করে। আর বিশ্বাসের খুন যখন হয়, তখন শারীরিক খুনের কোনো প্রয়োজন পড়ে না।
নিজদের মধ্যে বিশ্বাস আর ভরষা প্রত্যেকটি সম্পর্কের প্রয়োজন। এই বিশ্বাস আর আস্থা একটি ভিত্তি তৈরী করে যার উপর তাদের ভালোবাসা, তাদের বুঝাপরার ইমারত দাঁড়িয়ে থাকে। বিসশসাস ভাজন হবার জন্য দরকার সেক্রেফাইস, দরকার একনিষ্টতা। আর দরকার নিজের সাথে নিজের সৎ হওয়া। কিন্তু বিশ্বাস আর অন্ধ বিশ্বাস এক জিনিষ নয়। অন্ধ বিশ্বাস এমন এক চোরাবালী, যার না আছে একুল, না আছে ওকুল। সেখানে না কোনো জ্ঞানের আলো পৌছতে পারে না সেখানে তর্কের কোনো জায়গা আছে। মানুষের জীবনের বিজ্ঞান, তর্ক আর মনুষত্যের রাস্তাতেই চলে। জীবিনকে তর্ক, জ্ঞান আর বিবেকের মাধ্যমেই চালানো উচিত, অন্ধ বিশ্বাসে না। এই বিশ্বাস আর অন্ধ বিশ্বাসের মধ্যে আমাদের মাঝে অনেক প্রকারের মানুষের সাথে দেখা হয়, পরিচয় হয়। তার মধ্যে একজন হয় বন্ধু। বন্ধুত্ব আমাদের জীবনের একটা গুরুত্তপুর্ন অংশ। আমরা আমাদের ভাল বা খারাপ সময়ের সময় আমরা এই বন্ধুগুলির মাঝেই থাকি। কিন্তু এই বন্দধুত্ত যদি কোনো ভুল মানুষের সাথে হয়ে যায়, তাহলে আমরা বিপদে মধ্যেও পড়তে পারি। কারন খারাপ সঙ্গের ফল খারাপই হয়। কেউ যখন কোনো খারাপ সংস্পর্শে চলে আসে, তখন তার শোধরানোটা এতো কঠিন হয়ে যায় যে, যখন আসলটা উম্মোচিত হয় তখন দেখা যায় কত ভয়ংকর সেটা। তখন নিজের কাছে নিজকে বড় বোকা মনে হয়। কারন মিথ্যে ভরসায় ভর করে কেউ যখন নিজের ইচ্ছায় সেই জায়গায় চলে আসে যেখান থেকে আর কেউ ফিরে না, তখন, বাকী ইতিহাস শুধু নীরব ইতিহাসই হয়ে থাকে। কখনো তা বাইরে আসে না। মিথ্যে চোখের জল একটা সময় আর কাজে লাগে না।
মেয়েরা আজো আমাদের সমাজে বোঝা। যাকে অন্যের বাড়িতে পাঠানোর জন্য আমরা অনেক কিছু করতে পারি। একটা বাবা মা যখন সন্তানের জন্য কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ এটা বুঝতে না পারে, তাহলে সেই পরিবারে সেই সন্তান একটা অসুস্থ্য পরিবেশেই বড় হতে থাকে। আর অসুস্থ্য পরিবেশ শুধু সাস্থ্যইকেই ক্ষতি করে না, মনকেও। এ ক্ষেত্রে মেয়েদের নিজের মনের আওয়াজ শোনা খুব জরুরী। তারা আসলে কি শুনতে পায় নিজের ভিতর থেকে? যদি সেই আওয়াজ মনের সাথে চিন্তার মিল না হয়, তাহলে সব সময়ই জন্ম হতে থাকবে একটা ভয়, একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যত।কারো ফিলিংস আর দায়িত্ববোধ দুটু যখন আলাদা আলাদা হয়, যদিও ব্যাপারটা আসলেই আলাদা, কিন্তু যখন এক মনে হবে, তখন সেতাই হচ্ছে কোনো মেয়ের জন্য সঠিক স্থান যেখানে সে পেতে পারে নিখাদ ভরষা। তখনই আসে একটা সরল জীবন। সরল জীবন আর উন্নত জীবন সবচেয়ে সুখের।
মানুষ যখন সব দিক থেকে সমস্যার সুম্মুখিন হয়, তখন সে মসজিদ মন্দিরে যায়। সব ধর্মস্থানেই মানুষ বিশ্বাস আর শ্রদ্ধা নিয়ে যায়, কোনো রকম ভয় বা সন্দেহ ছাড়াই। ধর্ম সেটা যাইই হোক না কেনো, ধর্মস্থান যেটাই হোক না কেনো, শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস মানুষকে ঠিক সেখানে টেনে আনে। ধ্বনি বা গরীব প্রত্যেকের একটা কথাই মনে হয় যে তার সমস্ত সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র ঈশ্বর বা ভগবান করতে পারেন। তাদের যা কিছু চাই, ভগবান তা নিসচয় দেবেন। আর এই বিশ্বাস নিয়ে রোজ লক্ষ লক্ষ মানুষ, মন্দির, গির্জা আর মসজিদে যান, তাদের দুঃখ আর সমস্যা নিয়ে। প্রত্যেকেই তাদের ভগবানের কাছে কিছু না কিছু চান। কারো মনের শান্তি চাই, কারো টাকা পয়সা, কারো বা ভালোবাসা। আমি সব সময় চাই, তুমি ভালো থাকো, তুমি সুখী হও। আমি এই দোয়া সব সময় আমার ঈশ্বরের কাছেও করি, কারন তুমি সব কিছু ছেড়েই অতি ভরষা নিয়েই এই বয়সে সব ছেড়ে আমার কাছে এসেছো। আর আমিও এটাই বিশ্বাস করি যে, তুমি যা আমাকে দিয়েছো বা আমি যা দেখি তা নিখাদ। মানুষের জীবনে জীবনের অনেক কাহিনী থাকতে পারে যা রহস্যে ঘেরা থাকে। যখন কেউ এই রহস্য ঘেড়া চাদর সরাতে যান, তখন এমন এমন কিছু প্রশ্নের উদয় হতে পারে যা সাভাবিক জীবনের ভিত নড়ে যেতে পারে। কিন্তু আমি তোমার জীবনে কোন রহস্য ঘেরা অধ্যায় দেখতেও চাই না, রাখতেও চাই না। আর যদি কোনো রহস্য ঘেরা অধ্যায় থেকেও থাকে, আমি সেই অধ্যায় উম্মোচিত করতেও চাই না। আমার সে সময়টা আর নাই। কারন তোমার লাইফ নিয়ে আমি কোনোদিন রাজনীতি বা লীলাখেলা করতে চাই না। তোমার লাইফটা আমার কাছে অতোটাই ইম্পর্ট্যান্ট যতোটা ইম্পর্ট্যান্ট আমার পরিবারের সদস্যদের। আমি এখানে জোয়ার আর ভাটার কথা ভাবি না যে, আমি ভাটায় আর তুমি জোয়ারে, কিংবা আমি পূর্নিমায় আর তুমি অমাবশ্যায়। আমি তোমার জীবন থেকে চলে যাবার জন্যে আসি নাই। আর আমি এটাও ভাবি না যে, তুমি চলে যাবার জন্যই আবার নতুন করে ফিরে এসেছো। তুমি এটাতো ওই ২৪ দিনে অন্তত বুঝেছো যে, কেউ চলে যাবার পর কি পরিবর্তন নজরে আসে। আর এই পরিবর্তন সবার জন্য সব সময় সুখের না।