Categories
আজ ছুটির দিন। বেশ দেরী করে ঘুম থেকে উঠেছি। ক্যাঃ মুনীর সারাক্ষন গান বাজিয়ে ক্যাম্পটাকে মাতিয়ে রাখে। একটু চটপটেই সে। দেশে ফোন করার একতাই নিয়ম, ট্রেসকম টেলিকোম্পনি থেকে প্রি-পেইড কার্ড কিনতে হয়। খুবই এক্সপেন্সিভ। তাই সব সময় কথা বলা যায় না। এখানে আরেকটা সমস্যা হলো, আমরা এখানে মাত্র ২৫% সেলারী পাই। দুপুরের পর আমার নিজের পেট্রোলিং আছে।
জাতিসংঘের আইডি কার্ড এখনো হাতে পাই নাই। ইউ এন হেড কোয়ার্টার আমাদের বেস ক্যাম্প থেকে বেশী দূরে নয়। ওখানে যেতে হবে আইডি কার্ড করার জন্য। অনেকেই করে ফেলেছে কিন্তু আমার এখনো যাওয়া হয় নাই। যদিও আজ বন্ধ্যের দিন কিন্তু আই ডি কার্ডের অফিসটা খোলা। ভাবছি, আজ পেট্রোলিং এ যাওয়ার পথে ইউ এন হেড অফিসে গিয়ে কাজগুলি শেষ করে ফেল্বো। আজ ভীড় একটু কম থাকবে। ড্রাইভার জাহাঙ্গীর আমাদের ড্রাইভার। কুজো হয়ে গাড়ি চালায় কিন্তু ভালো গাড়ি চালায়। ওকে আসতে বলেছি বিকাল তিনটায়। প্রায় তিন ঘন্তার পেট্রোলিং।
এই পেট্রোলিং এ আমাদের কাজ আসলে খুব সীমিত। আমরা গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যায়। কোথাকার কি পরিস্থিতিসেতা অবলোকন করি। কোনো অঘটন দেখা হলে আমরা সেখানে থামি। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলি। ব্যাপারতা কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা করি। কোনো বেগতিক দেখলে আমরা সেটা তাতক্ষনিক আমাদের বেস ক্যাম্পে রিপোর্ট করি, সে মোতাবেক আমরা পরবর্তী কাজ গুলি করি।