১৭/০৩/২০১২-সেন্ট পিটার্সবার্গ

উচ্ছিষ্ঠ সময়ের রাজত্ব 

মার্চ 

১৭ 

গত কয়েকদিন খুব ব্যস্ত ছিলাম এই সেন্ট পিটার্সবার্গে ফ্যাশন মেলায় আসার জন্য। 39th International Exhibition of Textile and Light Industry এর মেলাটার সময়কাল ১৫ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত।  কোনো পরিকল্পনা ছিলো না আগে থেকে। হটাত করেই মূর্তজা ভাই বললেন, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে একটা মেলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অনেকেই যাবে, আমরা যাবো কিনা?

সেন্ট পিটারসসবার্গের কথা অনেক পড়েছিলাম আমাদের বই পুস্তকে সেই ছোট বেলা। যখন ছাত্র ছিলাম তখন আবার রাজপুটিনের গল্প শুনতে শুনতে এই সেন্ট পিটার্সবার্গের ব্যাপারে অনেক বাসনা ছিলো মনে। আমাদের ক্লাস এইটের একটা বইয়ের মধ্যে একটা ছোট বালকের গল্প পড়েছিলাম যে, তাঁর বাবাকে রাশিয়ার কোনো এক রাজা শাস্তিসরুপ এই সেন্ট পিটার্সবার্গে পাঠিয়েছিলো। কারন সাইবেরিয়ার মতো নাকি এখানে প্রায় সারা বছর বরফ থাকে আর যাতায়তের তেমন কোনো ভালো ব্যবস্থা নাই। তারপর সেই বাবাকে দেখার জন্য তাঁর ছোট ছেলে একাই পরিকল্পনা করে যতো বরফই থাকুক আর যতো খারাপ রাস্তাই হোক, সে তাঁর বাবার সাথে দেখ করবেই। যখন গল্পটা পড়েছিলাম, তখন আমারও একবার এই সাইবেরিয়া অথবা সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার খুব শখ হয়েছিল।

মূর্তজা ভাই যখন আমাকে ব্যাপারটা বললেন, আমি যতোটা না ব্যবসার প্রসার হবে তাঁর থেকে বেশী আগ্রহী ছিলাম এই সেন্ট পিটার্সবার্গ দেখার ব্যাপারে। খরচ কত হবে সেটা জিজ্ঞেস করতেই পুরু প্যাকেজের দাম পড়বে প্রায় লাখ বিশেক টাকা ভেন্যু ভাড়া, এয়ার টিকেট, হোটেল ভাড়া, অন্যান্য সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখের মত। কম না। তারপরেও আমরা আমাদের ফ্যাক্টরীর বাজেট পর্যালোচনা করে দেখলাম, সম্ভব প্ল্যান করা। ব্যবসা কতটুকু পাবো জানি না, কিন্তু যাওয়া যেতেই পারে।

গতকাল আমরা সেন্ট পিটার্সবার্গে অনেক স্যাম্পল নিয়ে এসেছি। সারাদিন বুথ সাজানোর কাজে ছিলাম। প্রুচুর ঠান্ডা। তবে দেশটা এতো সুন্দর, সেটা আমার কল্পনায়ও ছিলো না। সারাদিন কাজের শেষে আমি আর মুর্তজা ভাই সাথে বাংলাদেশের আরেকজন সজীব ভাই, একসাথে বের হলাম। আমরা বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এখানে এসেছি। কেউ জ্যাকেটের ব্যবসা, কারো শার্ট প্যান্টের ব্যবসা, কারো আমাদের মতো সুয়েটার্স এর ব্যবসা।

সারাদিনই গুড়ি গুড়ি বরফ পড়ছে বাইরে। এটা অনেকটা গুড়িগুড়ি বরফ পরার বৃষ্টির মতো। রাস্তাঘাট সারাক্ষনই ভিজা, গাছের পাতাগুলি ঝরে পড়ে পড়ে গাছের নীচে একটু একটু পচন ধরায় কেমন জানি একটা গন্ধ আসে। রাস্তায় সবাই গাড়ি, কিংবা বাইক বা স্কুটি নিয়ে চলে। সবার হাতেই ছাতা আছে। রাশিয়ান মেয়েরা অনেক সুন্দর হয়, সেন্ট পিটার্সবার্গ সে রকম।অনেক লম্বা হয় এদেশের মেয়েরা।

এসেই একটা মোবাইল ফোন কিনেছিলাম। খুব ছোট একটা মোবাইল ফোন, দেখতে অদ্ভুত সুন্দর। আসলে আমার কেনার দরকার ছিলো না, কনিকা ছোট ছোট জিনিষ পছন্দ করে, তাই এটা কেনা। রাতের সেন্ট পিটার্সবার্গ দেখতে গিয়ে যা চোখে পড়লো, সেটা অভাবনীয়। প্রতিটি রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমানে লাইট। মানুষজন খুব কম কিন্তু যারা বাইরে বেরিয়েছেন, তাদের বেশীরভাগ মানুষই পর্যটক। লোকাল লোকজন বেশ কম। প্রচন্ড বাতাস। সন্ধ্যা হলেই সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু সবগুলি বিল্ডিং এর বাইরের দিকে এমনভাবে আলোকিত যে, মনে হয় অভিনব রকমের সুন্দর। যেখানেই তাকাই, সবকিছুই এতো চোখ জুরানো সুন্দর, ভাবাই যায় না। যেসব জায়গায় পার্ক আছে সে গুলিতে গাছে গাছেও বেশ চমৎকার করে আলোকিত করা। গাড়ির তেমন ভীড় নাই, আবার কিছু কিছু ট্যাক্সি ক্যাব আছে, যারা ছোট ছোট ট্রিপ দেয়।

আমরা একটা নদীর ধারে দাড়ালাম। নদীর দূর প্রান্তের ওপারে যে ছোট শহরের মতো দেখা যায়, মনে হচ্ছে একটা ছবি। আমরা গুড়ি গুড়ি বরফের কুচিতে ভিজে যাচ্ছিলাম বটে কিন্তু আশ্রয় নিতে ইচ্ছে করছিলো না। সিগারেট ধরিয়েছি, খুব সাবধানে টানছি যাতে সিগারেট ভিজে না যায়। সজীব ভাই আর মূর্তজা ভাই একের পর এক ছবি তুলে যাচ্ছেন। আমিও মাঝে মাঝে তাদের সাথে জয়েন হচ্ছি কিছু ছবি তোলার জন্যে। বেশ ভালো সময় যাচ্ছে।

রাত প্রায় বারোটা বাজে। সাথে আমাদের গাড়ি নাই। যখন বেরিয়েছিলাম, সাথে গাড়ি ছিলো, ভারা করা গাড়ি। এবার হোটেলে ফিরে যাবো, এমন সময় একটা ট্যাক্সী ক্যাব আমাদের সামনে এসে দাড়ালো। যুবক একটা ছেলে। ভালো ইংরেজি বলে। জিজ্ঞেস করলাম, সে ভাড়ায় যাবে কিনা। সে বেসিক্যালি ভাড়ায় যায় না, এমনিতেই সে ঘুরতে বেড়িয়েছিলো। আমাদের এতো রাতে এই নির্জন জায়গায় দেখে গাড়ি থামিয়েছে। সে একজন আইটি বিভাগের লোক। ব্যক্তিগত একটা ছোট ফার্ম আছে। সে বল্লো যে, সেন্ট পিটার্সবার্গে অধিক রাত নিরাপদ নয়। আমাদের হোটেলে ফিরে যাওয়া উচিত। কারন এখানে অনেক খারাপ লোক রাতে বিচরন করে। আমরা সবাই একটু ভয় পেয়ে গেলেও যেহেতু সবাই একসাথে আছি, ফলে মনে সাহস ছিলো।

বললাম, কি নাম তোমার?

সে তাঁর নাম আলেক্স বল্লো।

আমরা বললাম, আলেক্স, তুমি কি আমাদেরকে আমাদের হোটেলে নামিয়ে দিতে পারবা? আমরা তোমাকে যা ভাড়া আসে সেটাই দিয়ে দেবো। সে একটু হেসে দিয়ে বল্লো, তাঁর ভাড়া লাগবে না, কিন্তু সে যে ইংরেজীতে আমাদের সাথে কথা বলতে পারছে এটাই তাঁর লাভ। কারন এখানে সে কারো সাথে ইংরেজিতে কথা বলার মানুষ পায় না। অথচ সে ভালই ইংরেজী বলতে পারে। আমরা তাঁর গাড়িতে উঠে গেলাম, অনেক ফান করলাম তাঁর সাথে, সেও খুব মজা পেলো বলে মনে হলো। সে আমাদের হোটেলে নামিয়ে দিয়ে বল্লো যে, যদি তারা আগামীকাল আরো সুন্দর সুন্দর জায়গায় যেতে চায়, তাহলে তাঁর নাম্বারে ফোন দিলে বিনে পয়সায়ই সে আমাদের ঘুরিয়ে দেখাবে। আলেক্স ছেলেটাকে ভালো লাগলো। বললাম, ঠিক আছে, আগামীকাল বিকাল পাচতার পর আমরা ফ্রি হবো, আলেক্স যদি ফ্রি থাকে সে যেনো আমাদেরকে আবার এইখান থেকেই পিক করে নিয়ে যায়। কথামতো সে রাজী হলো।

পরেরদিন ঠিক সময়েই আলেক্স চলে এলো। আমরা আলেক্সকে বললাম, কোথায় কোথায় যাওয়া যায় সে যেনো আমাদেরকে নিয়ে যায়। আলেক্স বল্লো, বেশি জায়গা হয়তো সে ঘুরিয়ে দেখাতে পারবে না, তাহলে অনেক রাত হয়ে যাবে তবে দিনের আলোয় যে কয়টা দর্শনীয় স্থান দেখা সম্ভব সেটা সে প্ল্যান করে রেখেছে, আর রাতে একটা ব্রিজ দেখাতে নিয়ে যাবে যা দেখার জন্য অনেক মানুষ এখানে আসে। ব্রিজটা রাত দেড়টার পরে খোলা শুরু হয় আর ভোর পাচটার আগেই আবার বন্ধ করে দেয়া হয় যাতে স্বাভাবিক গাড়ি ঘোড়া আবার চলতে পারে। মানে ব্রিজটা দিখন্ডিত হয়ে যায় রাত দেড়টার পর। আমি কখনো এই ধরনের ব্রিজ দেখি নাই। ব্রিজটি নেভা রিভারে।

আলেক্স আমাদেরকে প্রথমেই নিয়ে গেলো, সেন্ট আইজাক ক্যাথেড্রালে, ভীষন সুন্দর দেখতে। তারপর গেলাম চার্চ অফ দি সাভিউর অন স্পিল্ড ব্লাড এ, তারপর নিয়ে গেলো আলেক্সজান্ডার কলাম ইন পেলেস স্কোয়ারে। প্রতিটি জায়গা সুন্দর। এর মধ্যেই রাত প্রায় আটটা বেজে গিয়েছিলো।

সেন্ট আইজাক ক্যাথেড্রালঃ 

আলেক্সজেন্ডার-১ এর আমলে, সেন্ট আইজাক ডালমাটিয়ার নামে উতসর্গকৃত এই ক্যাথেড্রালটি 'পিটার দি গ্রেট' এর চীফ পেট্রোন 'সেন্ট আইজাক' এর নামে করা। এটা বর্তমানে মিউজিয়ামে রুপান্তরীত করা হয়েছে। ১৮৫৮ সালে তৈয়ারি করা এই ক্যাথেড্রালটি সন্ধ্যার পরে বন্ধ হয়ে যায় বিধায় আমরা এর ভিতরে ঢোকতে পারি নাই কিন্তু বাইরেও বহু দর্শানার্থির জন্য দেখার বেশ কিছু আছে। আমরা বেশীক্ষন এখানে থাকতে পারি নাই কারন আমরা এমনিতেই বেশ দেরী করে বের হয়ে আরো বেশ কিছু জিনিষ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। আর আমরা এই সেন্ট পিটার্সবার্গে দিনের বেলায় বের হবার সম্ভাবনা নাই কারন আমাদের মেলায় আমাদের সারাক্ষন থাকতে হয়। কিছু ছবি তুলে বেরিয়ে গেলাম আলেক্সজেন্ডার পেলেসের উদ্দেশ্যে। কারন ওখানে আবার বেশী রাতে ঢোকার অনুমতি নাই।

আলেক্সজেন্ডার কলাম ইন প্যালেস স্কোয়ার দর্শনঃ

ফ্রান্সের নেপোলিয়ানের সাথে যুদ্ধবিজয়ের পর আলেক্সজেন্ডার-১, এটা তৈরী করেন। প্রায় ১৫০ ফুট উচু এই কলামের উচ্চতা। এতো বিশাল খালি জায়গা এর সামনে, দাড়ালেই মন ভরে যায়। খুব পরিষ্কার করে রাখা জায়গাটি। একদম উপরে একটা এঞ্জেল একটা ক্রস ধরে আছে। কেনো এই ক্রস কিংবা কিসের কারনে এই সিম্বল দেয়া, সেতা আমাদের গাইড আলেক্স ভালো বলতে পারলো না। তবে একটা কথা আলেক্স বল্লো যে, এঞ্জেলের মুখখানা আলেক জেন্ডার-১ এর মুখের আকৃতি স্বরূপ করা। কিছুক্ষন থাকার পর আমরা আরেকটি দর্শনীয় জায়গার জন্য র ওয়ানা হয়ে গেলাম। আসলে কোনো স্থানই আমাদের ভালো করে দেখা হচ্ছিলো না কারন এমনিতেই রাত হয়ে যাচ্ছিলো আবার আমাদের হাতে দিনের বেলাতেও সময় নাই। অন্যদিকে আর এখানে এসেছি মাত্র ৪/৫ দিনের জন্য।

চার্চ অফ দি সেভিউর অন স্পিল্ড ব্লাডঃ প্রকৃত পক্ষে এটা একটা ইমোশনাল জায়গা রাশিয়ানদের জন্য। আলেক্সজেন্ডার-২ কে হত্যা করা হয়েছিলো তারই কোনো প্রতিপক্ষের মানুষ। 'নিহিলিস্ট' মুভমেন্টের সময় আলেকজান্ডার-২ কে হত্যা করা হয় যার কোনো বেসিক ভিত্তি ছিলো না। এই সেই একই জায়গায় রুমানভ ইম্পেরিয়াল পরিবার আলেকজান্ডার-২ এর স্মৃতি রক্ষায় একটি মনুমেন্ট তৈরী করেন যা এখন চার্চে পরিনত হয়েছে।

নেভা রিভার ব্রিজঃ

এই নদীতে একটা ব্রিজ রয়েছে যা গভীর রাতে বড় বড় শিপ, একপাশ থেকে আরেক পাশে যাওয়ার জন্য খুলে দেয়া হয়। স্বয়ংক্রিয় ভাবে এটা খুলে যায় দুইধারে। আবার ভোর পাচটার আগেই পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয় যাতে দিনের বেলায় স্বাভাবিক গাড়ি ঘোড়া চলতে পারে। আমরা যখন এই নেভা নদীর তোরে এলাম, দেখালম, প্রচুর লোকজন এই ব্রিজ কখন খুলবে সেটা দেখার জন্য বেশ ভীড়। আমরা প্রচন্ড বাতাসের মধ্যে দাড়িয়েছিলাম। কিন্তু কোনো বৃষ্টি বা গুড়ি গুড়ি বরফের কোনো কুচি ছিলো না। অনেক শীত। প্রায় রাত দুটুর দিকে একটা বেশ বড় সড় সাইরেন বাজলো। বুঝলাম এখন হয়তো ব্রিজ খুলবে। ব্রিজ খোলার আগে তারা একতা জিনিষ নিশ্চিত করেন যে, দুই পারের কোনো গাড়ি আছে কিনা বা ব্রিজের উপরে কোনো গাড়ি আটকা পড়লো কিনা। ব্রিজ খোলার আগে তারা সমস্ত এন্ট্রি বন্ধ করে দেয় এবং একটা সাইরেন বাজানো হয়। যদি কোনো গাড়ি খুব কাছাকাছি থাকে যাদের পার হবার জন্য ব্রিজের দিকে আসবে, তারা ওই সাইরেন বাজার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে এসে গেলে পার হবার সুযোগ পাবে আর এর পরে ভোর পর্যন্ত গাড়ি পারাপারের কোনো সুযোগ নাই। এই টাইম টেবিলটা এখানকার মানুষজন জানে বিধায় সেভাবেই চলাফেরা করেন। দেখলাম, ব্রিজটা খুব ধীরে ধীরে তাঁর মধ্যস্থল থেকে দিখন্ডিত হয়ে দুই পাশে একদম প্রায় ৬০/৭০ ডিগ্রী খারা হয়ে যায়। ফলে যে কোনো বড় বড় শীপ ও এই দুই ফাক দিয়ে ক্যানাল্টায় প্রবেশ করতে পারে। অদ্ভুদ টেকনোলোজি। আমরা বন্ধ্যের ব্যাপারটা আর দেখতে চাই নাই কারন তাতে প্রায় রাত পার হয়ে যাবে। সেখান থেকে হোটেলে ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় তিনটা বেজে গেলো।

পুটিনের বাবার বাড়ি পরিদর্শনঃ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্লাদিমির পুতিন আসলে এই সেন্ট পিটার্সবার্গের ছেলে। সেন্ট পিটার্সবারকে বলা হতো এক সময় লেনিনগ্রাড। এটাই এখন সেন্ট পিটার্সবার্গ। ব্লাদিমির পুতিনের বাড়িতা খুব সাধারন গোছের একতা বাড়ি। চারিদিকে বেশ গাছপালা, পাশেই নদী। ভাবছিলাম, দুই পরাশক্তির একজন এই ব্লাদিমির পুতিনের আজ থেকে প্রায় ৪০/৪৫ বছর আগেও এই এলাকার অনেকেই ভাবেন নাই যে, পুতিন একটা সদাহারন বালক এই রকমের পরাশক্তির চেয়ারে বসে দুনিয়া কাপিয়ে তুলবেন। অনেক কিছুর সাক্ষি এই সব জায়গার মানুষ গুলি। ব্লাদিমির পুতিনের বাবা ছিলেন একজন অতি সাধার ফোরম্যান, আর মা ছিলেন গৃহিণী। ভাবাই যায় না এই রকমের একটা পরিবার থেকে ব্লাদিমির পুতিনের মতো এতো বড় পরাশক্তির হেড হয়। তারপরেও ইতিহাস বলে কথা। আর এটাই বাস্তবতা। পুতিন এখানে থাকেন না, তিনি এখন মস্কোর বাসিন্দা।