উম্মিকার ডাক্তার হওয়ার পারিবারিক অভিষেক অনুস্টানের পর্বটি একটা আনন্দঘন দিনে পরিনত হয়েছিলো। চৌধুরী বাড়ির লোক সংখ্যা এমনিতেই এতো যে, ডাক দিলেই হাতের কাছে গোটা ১০ জন পাওয়া যায়। তারমধ্যে আবার দাওয়াত, তাও আবার আমার বাসায়। এ যেনো মহা যজ্ঞ। সবাই নিজের বাড়ির মতো করে আনন্দ করে। সারা বাড়িতে গটা কয়েকটা দলে ভাগ হয়ে যায়। ছোটরা হৈচৈ, বড়রা চিল্লাচিল্লী, মাঝারী গুলা তাস, কিংবা সেলফী, আর বুড়ারা গাল গল্পে।
উম্মিকার ডাক্তারী পরীক্ষার ফলাফলের পর পরই একটা অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বিভিন্ন ঝামেলায় করা হচ্ছিলো না। উম্মিকার আম্মু আবার এসব বিষয়ে পিছিয়ে থাকার লোক না। সব বাড়ি থেকেই লোকজন এসেছিলো। উম্মিকা আঞ্জুমানদেরকে আসতে বলেছিলো। আঞ্জুমানরা এক সময় আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতো, এখন সে ৪ সন্তানের মা। খুব ভালো একতা মেয়ে। মান্নারা, বাসাবো থেকে বুটী আপারা, মূটামুটি সবাই এসেছিলো। খুব সুন্দর একটা গেট টুগেদার হলো আজ।
বিকালে সবাই ছাদে গেলো, সন্ধ্যার পর আবার আরেকতা ভুড়িভোজ হলো। সব মিলিয়ে এক কথায় উপভোগ্য একটা দিন ছিলো। প্রায় ৫ বছর আগে যখন উম্মিকা ডাক্তারী পড়তে যায়, আমি কখনো ভাবি নাই যে, উম্মিকা একা একা সেই আরেকটা দূরের শহরে থাকতে পারবে। মেস লাইফ, কঠিন লাইফ। কিন্তু তারপরেও উম্মিকা এক চাঞ্চসেই আল্লাহর রহমতে ডাক্তারী পরীক্ষায় পাশ করে ফেলেছে, এটা ওর জন্যে একটা চ্যালেঞ্জ ছিলো। অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে এবং মানষিক যন্ত্রনায় ওকে পরীক্ষা গুলি দিতে হয়েছে। উম্মিকা বরাবরই ভালো ছাত্রী ছিলো, ফাকীবাজ ছিলো না, ফলে সব গুলি টার্মেই উম্মিকা ভালো করায় একটা ডিস্টিঙ্কট নিয়ে পাশ করেছে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম উম্মিকা ডাক্তার হোক, আজ সেটা উম্মিকা পুরন করেছে, মাশ আল্লাহ।
শেষ পর্বটি ইমনের আতশবাজী পোড়ানো ছিল এলাকায় একটি উৎসব মূখর পর্ব। আশেপাশের সব বাড়িগুলি থেকে অনেক মানুষ ইমনের এই আতশবাজী দেখার জন্য বাসার বাইরে দাড়িয়েছিলো। আমাদের সাথে সাথে পাড়াপ্রতিবেশীও ব্যাপারটা আনন্দ করেছে। ধন্যবাদ ইমন