Categories
আগের বার একটা পোষ্টে বলেছিলাম যে, আমার মতো সব ভাগ্যবান স্বামীদের জন্য আমার কোনো উপদেশ নাই কিন্তু যাহারা আমার মতো এইরুপ সুপ্রশন্ন ভাগ্য লইয়া জীবন সুখে অতিবাহিত করিতে চাহেন কিন্তু এখনো সেই সোনার হরিন হাতে পাইতেছেন না বা হন্যে হইয়া খুজিতেছেন, তাহাদের জন্য আমার কিছু উপদেশ আছে বৈ কি।
যেমন ধরুন, আমি আমার স্ত্রীর কাছে আজ থেকে ২০ বছর আগে ১০ হাজার টাকা কোনো কারনে লোন নিয়েছিলেম। এই ২০ বছরে কতবার এটা শোধ করেছি সেটা আর মনে রাখার কোনোই দরকার নাই। তার পাওনা টাকা আপনি চাইবেন কেনো? তিনি কি আপনার পর মানুষ? আপন জনের বিশেষ করে স্ত্রীর কাছে পাওনা টাকা সব সময় অপরিশোধিতই থাকে। মাঝে মাঝে আবার ঐ টাকা থেকে আমার স্ত্রীও লোন হিসাবে এডভান্স নেয়, কিন্তু সেটা সব সময় অফেরতযোগ্য। যদি আপনি সুখী সমৃদ্ধ থাকতে চান, লোন নেয়াতা মনে রাখবেন, লোন পরিশোধ কইলেন সেটা মনে রাখার কোনোই দরকার নাই। আর যদি এইটা নিয়ে বারবার মনে করাইয়া দেন, তাহলে আপনার রাতের পরোটাতে একটু হলেও পোড়া গন্ধ পাইবেন। পোড়া পরাটা খাইতে গিয়া আবার কৈফিয়ত চাইয়েন না, কারন এটা চুলার দোষ মনে কইরা স্ত্রীর সহিত সহমর্মিতা প্রদর্সন করা ভালো স্বামীর গুনাবলীর মধ্যে একটা।
আর আপনি যদি মাসের সাংসারিক খরচের সব টেকা একবারে স্ত্রীর কাছে দিয়া নিজেরে সংসারের খরচের দায়িত্ত হইতে খালাস মনে করেন, আপনি নির্ঘাত ভাবিয়া নিতে পারেন, আপনার বিয়ের বয়স হয় নাই। সব সময় মানি ব্যাগে পর্যাপ্ত পরিমানে ক্যাশ টাকা মজুত রাখিবেন। স্ত্রীর সংসারের খরচ সব সময় তার হাতে থাকে না। হিসাব যদি নিতে চান, তাহলে অন্তত দুই মাসের এডভান্স টাকা দিয়া আশেপাশে আরেকটা ব্যাচলর মেসে একটা সিট বুক করিয়া রাখিবেন। যদি কোনো কারনে ঘরের দরজা বন্ধ হইয়া যায়, তাহলে অন্তত ব্যাচেলর মেসে আপনার জায়গা না হইলেও হইতে পারে। অন্তত কাটাইতে পারিবেন। যদি এহেনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, আগে থেকেই বাসাটা স্ত্রীকে চিনাইয়া রাখিয়েন। তা না হইলে পুলিশ আবার স্ত্রীদের চোখের পানিতে সামীদেরকে ধরার জন্য একটু বেশী আগ্রহ থাকে।