১৮/০৪/২০২০-Every Action has an Equal

Categories

লুকানো এক জিনিষ আর বিভ্রান্ত করা আরেক জিনিষ। আমার কাছে মনে হচ্ছে, সব সময়ই গার্মেন্টস সেকটর নিয়ে বিভিন্ন স্তরে সর্বদা শুধু সত্যকে লুকিয়েই রাখা হয় না, বিভিন্ন মনগড়া তথ্য দিয়ে একে বিভ্রান্তও করা হয়। কিছু কিছু জিনিষ সামনে আসতে অনেক সময় লাগে আবার কিছু জিনিষ সামনে আসতেই দাবিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু মজার আর সত্য ব্যাপার হলো, কিভাবে কখন জল মাথার উপর উঠে যায়, কেউ জানে না। আর জল যখন মাথার উপর উঠে যায়, তখন যা প্রয়োজন তা হচ্ছে বাইরের থেকে আচমকা সাহাজ্য। আর যদি সেই বাইরের থেকে আচমকা সাহাজ্য না আসে তখন যিনি ডুবে আছেন, তার সাথে আরো অনেকেই জ্লে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আরএমজি সেক্টর এখন সেই অতল জলের ঠিক বিপদ সীমার‍ লাইন বরাবর চলছে। এর প্রতিফলন আমরা দেখবো জানালা দিয়ে নয়, সরাসরি সদর দরজা দিয়ে। দুর্ভিক্ষের বীজ ইতিমধ্যে বুনা হয়ে গেছে, এখন বাকী শুধু মৃত্যুর ফাদে আটকে পরার সময় গুনা। কেনো বললাম জানেন?

বললাম এ কারনে যে, যেভাবে সাইন্স প্রমানের উপর ভিত্তি করে এগিয়ে যায়, ঠিক সেভাবেই অর্থিনীতির সুচকের মাপকাঠির তথ্য প্রমানের উপর ভিত্তি করেই বিশ্ববানিজ্য এগিয়ে বা পিছিয়ে যায়। আর এই প্রমান কি করে পাওয়া যায়? পাওয়া যায় যখন সেটা নির্দিষ্ট পথে খোজা হয়। আর এইপথ কোথা থেকে খোজা হয়? অতীতের সুত্র বা ডাটা অথবা আগামি দিনের সুচক ধরে। যেটাকে বলা হয় ইম্পেরিক্যাল ডাটা। আর তদন্ত গবেষনা ডিপার্টমেন্টে একে বলে কেস হিষ্ট্রি।

কোথায় যেনো একটা ভুল থিউরী কাজ করছে, যা সবাই আন্দাজ করতে পারলেও দেখতে পাচ্ছে না। যে কোনো আলোড়ন প্রথমে মৃদুকম্পন দিয়েই শুরু হয়। একটা সময় আসবে, হয়তোবা সময়টা খুব কাছেই চলে আসছে যখন এই মৃদুকম্পন একটা বড় আলোড়ন হয়ে দেখা দেবে, তখন কেউ আতংকিত থাকবে, আবার কেউ আফসোস করবে। কিছু জিনিষ সময়েই ঠিক করতে হয়, তা না হলে পড়ে অনেক বেশী মুল্য দিতে হয়।

মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ৫ বিলিয়ন উধাও হয়ে যাচ্ছে আমাদের সুচক থেকে। অর্থাৎ বছর শেষে ২০ বিলিয়ন। কারো কলশীতেই যখন পানি থাকবে না, কারাকারি করেও কেউ পানি পাবে না। পানি থাকলেই তো তখন তা পাবার সুযোগ থাকে, কলসীটা যারই হোক। এটা সায়েন্স, কোনো স্লোগান না।