ইন্টেরিম সরকারের প্রধান ডঃ ইউনুস স্যার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, নির্বাচনী ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, অর্থনীতি এবং গনমাধ্যম এই কয়েকটি সেক্টরে আমুল সংস্কার করবেন। এটাই আপাতত প্রধান লক্ষ্য। উনি ঠিক সেক্টরের কথাই বলেছেন।
নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে আমার কিছু মতামত ছিলো যেমনঃ
(১) পার্লামেন্টে যারা প্রতিনিধি হয়ে আসবেন, তাদের কমপক্ষে মাস্টার্স লেবেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা উচিত। মাস্টার্স লেবেল না হলেও কমপক্ষে গ্রাজুয়েশন লেবেল অবশ্যই থাকা উচিত। কারন এই এমপিদের থেকেই কেউ না কেউ মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ইত্যাদি হবেন। এরা যেমন দেশের পলিসি মেকার তেমনি দেশ বিদেশের তাদের কাউন্টার পার্টদের সাথেও তাদেরকে ডিপ্লোমেটিক আলাপ-আলোচনায় বসতে হয়। প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ডিপ্লোমেটিক জ্ঞান ছাড়া দেশের জন্য খুব ভালো পজিটিভ ফলাফল আনা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।
(২) নির্বাচনের সময় ক্যান্ডিডেটদের নির্বাচনের পাশাপাশি যদি সাধারন জনগন সঠিক ক্যান্ডিডেট দেয়া হয় নাই বলে মনে করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে শতভাগ জনগনের রায় প্রতিফলিত হবার নিমিত্তে একটা অপশন থাকা উচিত যাকে আমরা “না ভোট” বলি। না ভোটের মাধ্যমে জনগন তাদের রায় দেয়ার একটা অপশন থাকলে অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রত্যাখান করার জন্য রায় দিতে পারে। যদি “না ভোট্র” পরিমান বেশী হয় তাহলে দলগুলি বুঝতে পারবেন যে, তাদের ক্যান্ডিডেটকে জনসাধারন পছন্দ করেন নাই।
(৩) প্রতিটি ক্যান্ডিডেটের এবং তাদের পরিবারের বিশেষ করে স্ত্রী, সন্তানের দৃশ্যমান আয়ব্যায়ের সঠিক তথ্য জনসম্মুখে (মিডিয়ার মাধ্যমে খোলাখুলি প্রচার) প্রকাশ করা।
(৩) নির্বাচনে কমপক্ষে ৬০% থেকে ৬৫% ভোট কাস্টিং না হলে সেখানে পুনরায় ভোটের ব্যবস্থা করা উচিত।
(৪) এক নাগাড়ে কেউ দুইবারের বেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধান হতে পারবেন না। সংখাগরিষ্ট দলের মধ্য থেকেই রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান করতে হবে এমন নয়। সব দল তাদের দল সংখাগরিষ্ঠ হতে পারেন ভেবে তারা রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য দলগুলি থেকে সাধারন নির্বাচনের সময়ের আগেই তারা প্রোবাব্যাল ক্যান্ডিডেটের নাম নির্বাচন করে দেবেন এবং তিনিও জনসাধারনের গনভোটে সরকার প্রধান নির্বাচিত হতে পারেন।
(৪) আরেকটা অপশন এমন হতে পারে যেঁ, রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার হলে দল নির্বিশেশে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির জন্য আলাদা নির্বাচন এর আয়োজন করা যেখানে সাধারন জনগন অংশ নিতে পারেন।