আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে-হাসিনার রিজিম শেষ হবার পর এদেশে কয়েকটা শ্রেনী, গোত্র এবং সার্থানেসী দলের সৃষ্টি হয়েছে। এখন কে যেঁ দেশ চালাচ্ছে, কার কথায় যেঁ আইন কানুন চলছে, কিছুই বুঝা যাচ্ছে না। ছাত্ররা একদিকে বাজার মনিটরিং করতে গিয়ে এর আদিয়ান্ত দেখার (বিক্রেতা কত করে কিনলো, কত তার খরচ হলো আর কততে সে বিক্রি করলে সে ব্যবসাটা তিকিয়ে রাখতে পারবে ইত্যাদি) কোনো প্রয়োজন মনে না করে প্রান্তিক বিক্রেতার উপর খরগ চালাচ্ছে। ফলে সেই প্রান্তিক ব্যবসায়ী তার পুজি হারানোর আগেই তার ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে যেঁ কনো সমন্নয়ক যখন যা খুশি সেতাই দাবী করে আল্টিমেটাম দিয়ে আবারো পথে নামছে। উপদেষতা নিয়োগ করে তাকেই আবার পদিত্যাগে বাধ্য করছেন। প্রশাসনে সিনিয়ার সিনিয়ার সচীব গন (হোক সে দুর্নিতি গ্রস্থ) তাকে যার পর নাই অশভন ব্যাবহার করে তার পদত্যাগ করিয়ে অবসর প্রাপ্ত মানুষদেরকেও সেই পদবীতে বসিয়ে দিচ্ছেন। আরেকদল যারে খুশী তারেই রাস্তায় ধরে কান ধরিয়ে দাড় করিয়ে উঠবস করাচ্ছে। পুলিস থানায় নাই, আবার যারাই আছেন তারা হয়তো আর্মির প্রোটেকশনে কোন রকম্ভাবে নিরাপত্তার ব্যাপারটা সামলানর চেষ্টা করছেন, সেখানে গিয়ে কিছু বিপথগামী ছাত্র অকথ্যভাষায় আঋমকেও গালাগালি করছেন কেনো তারা থানায় আছেন। আরেকদিকে আরেকটি দল এই সুযুগে যা পারে তাইই দখলে মত্ত। দোকান ভাংচুর, জায়গা দখল, হানাহানিতে লিপ্ত। শিক্ষা কলেজ গুলিতে প্রিন্সিপ্যাল, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল্গনের এক যুগে অন্যত্র বদলীর আন্দোলনে স্কুল কলেজ গুলি অভিভাবক ছাড়া চলছে। ব্যাংকগুলিতে কেউ ২ লাখ টাকার উপরে তাকা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা। আইন বিভাগেও কোনো কাজ সুষ্টুভাবে চলছে না। অন্যদিকে সাপ্লাই চেইনে যারা স্বাভাবিক সাপ্লাই সরবরাহ করবেন তারাও নাই, পাশের দেশ ভারত এই ফাকে তাদের পন্য এদেশে রপ্তানীতে অনীহা, ইত্যাদির কারনে আমার কাছে এখন একটা বিভীষিকাময় দিন ঘনিয়ে আসছে বলে মনে হচ্ছে।
কেউ বুঝতেছে না যেঁ, খুব দ্রুত সব কিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে। নিত্যদিনের প্রয়োজনিয় কমোডিটি কমে যাচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ফার্নেস তেলের অভাব হতে যাচ্ছে, কয়লা উত্তোলনের হার কমে গেছে, ভোজ্য তেলের আমদানি বন্দ হয়ে যাচ্ছে, দেশের মজুদ চালের পরিমান কমে যাচ্ছে প্রতিদিন, বড় বড় কোম্পানিগুলি যারা এসব আমদানি করতো তারা পর্দার অন্তরালে চলে গেছেন, গার্মেন্তের র ম্যাটেরিয়ালের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে ফলে অচীরেই গার্মেন্টস শিল্পেও একটা ধাক্কা আসবে। এই সব মিলিয়ে দেশে একটা দুর্ভিক্ষের জন্ম নিতে পারে।
মানুষের যখন নেসেসারী কমোডিটি আর হাতের কাছে পাবে না, জন রোষ তৈরিতে বেশি সময় লাগবে না। কথায় আছে, একজন ক্ষুদার্থ মানুষ রাগান্নিত থাকে। একালের ছাত্র সমাজ বাস্তবতা বিবর্জিত মনে হচ্ছে এখন। প্রথম আন্দোলনটা সাপোর্ত করতে আমার কোনো দ্বিধা ছিলো না কিন্তু এই মুহুর্তে তারা যা করছে সেটা বাড়াবাড়ি। তাদের এই বাড়াবাড়িতে প্রশাসন, ব্যবসায়ী, আমলা, এবং সুশীল সমাজ এখন নিসচুপ। তাদের এই নিসচুপতা আমাদের দেশকে একটা কঠিন ভয়াবহ অবস্থার দিকে সম্ভবত নিয়ে যাচ্ছে যা এই জেনারেশন বুঝতেছে না। তারা দেশটাকে নিয়ে আমার মনে হচ্ছে খেলা খেলছে। তাদের থামানোর কেউ নাই। ৩ মাসের মধ্যে সিংগাপুর বানিয়ে ফেলবো, ৯০ দিনের মধ্যে পৃথিবীর বেষ্ট হাসপাতালের সার্ভিস দিতে হবে, সরকারের তহবিল থেকে সবাইকে বিনা মুল্যে চিকিৎসা দিতে হবে, বেতন দিতে হবে সে পরিমান যেঁ পরিমানে সবাই আরাম আয়েশে চলতে পারে, একটা ম্যাজিক। হয়তো সম্ভব, কিন্তু ব্যাপারটা এতো সহজ না।
যদি সেটাই হয়, আমার মতে তাদেরকে দিয়ে দেন সব সরকারী প্রতিষ্ঠান, তারা দেখি কিভাবে ম্যানেজ করে। আমরা খেলাটা দেখি। ওরা কাকে আদেশ করছে আসলে? আমি ফ্যাক্টরী চালাবো না, মানুষ পন্য বিক্রি করবে না। লোকেরা ডাক্তারী পেশা করবে না, কি হবে? দেখি ওরা কি করে?
ইউনুস সাহেব ছাত্রদেরকে শিক্ষকের মতো ক্লাশ নিয়ে তার মতবাদ বুঝাতে চাচ্ছেন এবং তাদেরকে এতোটা মাথায় তুলে নিচ্ছেন যেঁ, একদিন এরা তার হাত থেকেই ফসকে যাবেন বলে আমার ধারনা। তাছারা আমার কাছে আরেকটা কথা মনে হচ্ছে যেঁ, ইউনুস সাহেব কনো না কোনো একটা এজেন্ডা নিয়েই এদেশে এসেছেন। তিনি ইসরায়েল এবং পশ্চিমা পন্থী একজন মানুষ। আমেরিকা একবার যাকে আদর করে বুকে টেনে নেয় বলে মনে হয় বটে কিন্তু সেই দেশের ছাড়খাড় না করে তারা ফেরত যায় না। আমরা যতোটা না হাসিনার দুর্নীতি আর ফ্যাসিজিমের করাঘাতে পিষত হয়েছিলাম, আমার কাছে এখন মনে হচ্ছে তার থেকে অনেক বেশি সাফার করবো এবার এই ইন্টেরিম সরকারের আমলে।
তাহলে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের মতো সাধারন মানুষের কি করনিয়?
কোথাও কোনো নতুন ইনভেস্টমেন্ট থেকে বিরত থাকা।
যদি তাকা থাকে তাহলে সব ব্যাংকে রেখে দেয়া এবং সেই টাকা থেকে যা লাভ পাওয়া যায় সেটাই আয় বলে ধরে নেয়া।
যদি কৃষিজ (যেমন মাছ, ধান চাষ, বাগান করা ইত্যাদি) তেমন থাকে সেটা চালিয়ে নেয়া।
নিজে যেঁ কোন মন্তব্য থেকে বিরত থাকা কারন সিচুয়েশন কোনদিকে যায় এটা এখনই বুঝার কনো উপায় নাই।
ফেসবুক, সোস্যাল মিডিয়ায় কনরুপ লেখালেখি থেকে বিরত থাকা।
কারো সাথেই কোনোরূপ রাজনৈতিক বা বর্তমান সিচুয়েশন নিয়ে আলাপ না করা।
আমরা আসলে একটা গ্রিহযুদ্ধের দিকে আগাচ্ছি বলে আমার ধারনা। আমার এ কথার ব্যাখ্যা কি?
চীন আমাদের বন্ধু এক সময় ছিলো বটে কিন্তু হাসিনার ভারত প্রেম চীনকে আমাদের থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়েছে।
আমেরিকার একান্ত আপনজন ইউনুস বর্তমানে এদেশের শাসনভার তুলে নেয়া চীন এবং ভারত কনোভাবেই আমাদের পাশে তো থাকবেই না বরং এখানে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তইরিতে সাহাজ্য করবে।
মায়ানমারে জনরোষ চলছে, কে জানে এই মায়ানমার রোহিংগা ইস্যুতে যদি মারমুখী হয়ে দেশের ভিতরে আক্রমন করে আবার ৭-সিস্তারকে রক্ষার জন্য ভারতও এক নাগাড়ে সেতাই করে, আমাদের ছত এই সেনাবাহিনির পক্ষে ভিতরের আন্দলন ঠেকাবে নাকি বহির্বিশহের আক্রমন ঠেকাবে?
সব ধরনের জালানি, আমদানি, রপ্তানি এবং খাদ্যদ্রব্য যদি ঘাটতিতে পড়ে তাহলে আরো খারাপ অবস্থার দিকে ধাবিত হবে দেশে। তখন নিসচিতভাবে একতা গ্রিহযুদ্ধের শুরু ছাড়া আর কিছুই আশা করা যাচ্ছে না।