অনেকেই প্রশ্ন করে আসলেই কি রাশিয়া বা সোভিয়েট ইউনিয়ন কখনো ন্যাটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলো? আর যদি তাইই হয়, তাহলে রাশিয়াকে ন্যাটোর সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হলো না কেনো? রাশিয়া যদি ন্যাটোর সদস্য হতো, তাহলে কিন্তু এরুপ কোল্ডওয়ার, ইউক্রেন যুদ্ধ কিংবা পশ্চিমাদের সাথে রাশিয়ার এমন বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করতো না। রাশিয়া ন্যাটোতে যোগ দিলে সারা বিশ্বের কাছে ব্যাপারটা কিভাবে দেখা হতো, আমার আজকের লেখাটি এসব প্রশ্ন নিয়েই।
হ্যা, রাশিয়া একবার নয়, পরপর কয়েকবার ন্যাটোতে যোগ দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলো।
প্রথমবার রাশিয়া এপ্লাই করেছিলো ১৯৫৩ সালে স্ট্যালিন মারা যাওয়ার এক বছর পর এবং ১৯৫৫ সালে ওয়ার্শো প্যাক্ট তৈরী হবার পূর্বে। সেই প্রোপোজালের নাম ছিলো “Molotov’s Proposal and Memorundum-1954”। উক্ত প্রোপোজাল ন্যাটোতে পাঠানো হয় মার্চ ১৯৫৪ সালে। কিন্তু তখন আমেরিকা ক্রেমলিনের এই ইচ্ছাকে অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়ে এই ব্যাপারে কোনো আলাপ আলোচনাই করা চলে না বলে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলো। মলোটোভ ম্যামোরান্ডামের ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলো যে, ইউরোপের কালেক্টিভ নিরাপত্তা কিভাবে রক্ষা করা যায় সেটা। আর এই প্রস্তাবে রাশিয়া যেটা প্রস্তাব করেছিলো তা হলোঃ
(ক) ওয়েষ্টার্নদের বিকল্প হিসাবে শুধুমাত্র ইউরোপের সবদেশ মিলে কিভাবে ইউরোপের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করা যায় সেটা। আর সেটা মলোটোভা প্রস্তাবে নামকরন করা হয় “ইউরোপিয়ান ডিফেন্স কমিউনিটি”। ন্যাটো হয় বিলুপ্ত হবে অথবা তাদের কাজ হবে শুধুমাত্র ডিফেন্সীভ মানে টেররিজমের বিরুদ্ধে, কিংবা লোকাল পুলিশের ভূমিকায়।
(খ) পশ্চিম জার্মানকে পুনরায় পুর্ব জার্মানীর সাথে কিভাবে একত্রিত করা যায় এবং জার্মানীকে আবারো রি-আর্মড করে তাকে ইউরোপের মধ্যে একটা শক্তিশালী দেশ হিসাবে গন্য করা যায়।
(গ) কোল্ড ওয়ার কিভাবে নিউট্রেলাইজ করা যায়।
(ঘ) এই মলোটভা প্রোপোজালে রাশিয়া আমেরিকাকে ইউরোপের অংশ নয় বিধায় তাকে বাদ দিয়েছিলো এবং শুধুমাত্র ইউরোপের দেশ সমুহ মিলে “ইউরোপিয়ান ডিফেন্স কমিউনিটি” করার প্রস্তাব ছিলো এবং অন্যদিকে চীনকে রাখা হয়েছিলো অবজার্ভার স্ট্যাটাসে।
এই প্রস্তাবে আমেরিকা মনে করেছিলো যে, তারা ইউরোপ থেকে বহিষ্কার হয়ে যাচ্ছে এবং অন্যদিকে ন্যাটোকে খর্ব করা হচ্ছে যেখানে ন্যাটোর সমস্ত ক্ষমতার চাবিকাঠি আমেরিকার কাছে। ফলে আমেরিকা চায় নাই, মলোটভা প্রোপজাল কিংবা ইউরোপিয়ান ডিফেন্স কমিউনিটি বাস্তব হোক এবং ন্যাটোর খবরদারী খর্ব হোক।
পরবর্তীতে মলোটোভা ম্যামোরান্ডামে সংশোধন আনা হয় এবং বলা হয় যে, ন্যাটোরর বিলুপ্তির দরকার নাই তবে ন্যাটো থাকবে ডিফেন্সীভ কাজের জন্য। কোনো মিলিটারী বা এগ্রেসিভ ভূমিকায় ন্যাটোকে ব্যবহার করা যাবে না। উপরন্ত, আগে আমেরিকাকে বাদ দেয়া হয়েছিলো, সংশোধিত ডকুমেন্টে এবার আমেরিকাকে রাখা হলো। সাথে রাশিয়াও পুর্নাজ্ঞ সদস্য পদে যোগ দেয়ার কথা বলা হলো।
On 10 March Gromyko presented Molotov a draft note for the Presidium proposing that the Soviet position on European collective security should be amended (a) to allow full US participation in the system and (b) the possibility of the USSR joining NATO.[1]
এই নতুন ড্রাফট পুনরায় ২০ এবং ২৪ মার্চ ১০৫৪ সালে উত্থাপন করা হয়। অতঃপর উক্ত ড্রাফট অবিকল সেভাবেই ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং আমেরিকার কাছে পাঠানো হয় ৩১ মার্চ ১৯৫৪ তে। কিন্তু এবারো মে ১৯৫৪ তে পশ্চিমারা উক্ত প্রস্তাবকে রাশিয়াকে অগনতান্ত্রিক একটা দেশ হিসাবে চিহ্নিত করে ন্যাটোতে গ্রহন করা যাবে না এবং পশ্চিমাদের ডিফেন্সিভ মতবাদের সাথে রাশিয়ার ডিফেন্সিভ মতবাদ এক হবেনা বিধায় তারা মলোটোভা মেমোরান্ডাম রিজেক্ট করে এবং রাশিয়াকেও ন্যাটোতে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকে। এর বিরুদ্ধে ভেটো দেয় আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং কিছু পশ্চিম ইউরোপের দেশসমুহ। এর আসল ব্যাখ্যাটা অন্যরকমের।
আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের ধারনা ছিলো যে, রাশিয়াকে ন্যাটোতে নিলে রাশিয়া তাদেরকে কোনঠাসা করে ফেলতে পারে বিধায় তারা পশ্চিম ইউরোপের দেশসমুহগুলিকে ক্রমাগত আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড চাপ তথা প্রভাব খাটিয়ে রাশিয়ার সব প্রস্তাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করায়। শুধু তাইই নয়, যেহেতু রাশিয়া ইউরোপের মধ্যেই অবস্থান এবং রাশিয়া মানে ইউরোপ, এবং আমেরিকা বা ইংল্যান্ড ইউরোপের কোনো অবস্থানেই পড়ে না, ফলে একট সময় আসবে যখন আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড ইউরোপ থেকে রাশিয়ার কারনেই বিচ্যুত হয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া মলোটভা মেমোরান্ডাম বা ইউরোপিয়ান ডিফেন্সিভ কমিউনিটির সৃষ্টি হলে যৌথ জার্মানীর পুনসংযোগে জার্মানিতে আমেরিকার মিলিটারী বেসগুলি ভবিষ্যতে আর না থাকার সম্ভাবনাও বেশী যা আমেরিকা কখনোই এই অঞ্চল ছাড়তে নারাজ।
আরেকটি কারন হলো-ন্যাটোকে ডিফেন্সীভ মুডে রাখা বা কোনো এক সময় ন্যাটোকে বিলুপ্ত করে ফেলা হতে পারে এই চিন্তায় পশ্চিমারা ইউডিসি (ইউরোপিয়ান ডিফেন্সীভ কমিউনিটি) কে ফর্ম করতে দিতে চায়নি। উপরন্ত চীনকে সরাসরি অব্জার্ভার হিসাবে চুক্তিতে রাখাও পশ্চিমারা পছন্দ করে নাই।
দ্বিতীয়বার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়েলতসিনের আমলে ন্যাটোকে যোগ দেবার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল কিন্তু সেবারেও ন্যাটোতে রাশিয়াকে নেয়া যাবে না বলে রিজেক্ট করা হয়।
তৃতীয়বার পুতিন ২০০০ সালে ক্লিটনের আমলে পুনরায় ন্যাটোতে যোগ দেয়ার প্রস্তাব করে। ব্লুম্বার্গের এ ব্যাপারে ক্লিন্টনের একটা বক্তব্য তুলে ধরা যায়- "Berger suddenly found a fly on the window to be extremely intriguing. Albright looked straight ahead. Clinton glanced at his advisers and finally responded with a diplomatically phrased brush-off. It was something on the order of, If it were up to me, I would welcome that."
চতুর্থবার পুতিন আবারো ২০০৩ সালে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে রিজেক্ট করা হয়।
পঞ্চমবার ২০০৮ সালে পুনরায় মেদ্ভেদেভ (যিনি ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল অবধি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ছিলেন), তিনিও ন্যাটোতে যোগ দেয়ার প্রস্তাব করেন। সেখানে মেদভেদেভ এটা উল্লেখ করেন যে, ন্যাটোতে রাশিয়াকে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিলে ন্যাটোর ইষ্টার্ন এক্সপানশনের আর কোনো প্রয়োজন নাই, এবং ইউরোপের নিরাপত্তা বলয়কে সুরক্ষা দিতে নতুন ইউরোপিয়ান সিউকিউরীটি আর্কিটেকচার’ নামে একটি চুক্তিও হতে পারে, পাশাপাশি ন্যাটো তো ডিফেন্সীভ মুডে থাকলোই। কিন্তু এতেও কোনোভাবেই রাশিয়াকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্তিতে পশ্চিমারা রাজী হলো না।
প্রকৃত সত্যটা হলো- ন্যাটোর জন্মই হয়েছে রাশিয়াকে কন্টেইন করার জন্য, রাশিয়াকে মার্জিনালাইজড এবং আইসোলেট করার জন্য। ন্যাটো হচ্ছে আমেরিকার জিও পলিটিক্যাল একটা প্রোজেক্ট। রাশিয়া যদি ন্যাটোতেই যোগ দেয়, সেক্ষেত্রে ন্যাটোর থাকার তো অর্থ নাই। ন্যাটোর জন্মই হচ্ছে রাশিয়াকে থামিয়ে দেয়া। যদি শত্রুই না থাকে তাহলে ন্যাটোর আর থাকার দরকার কি? টেরোরিজমের বিরুদ্ধে ফাইট করা ন্যাটোর মতো অরগেনাইজেশনের কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। তাছাড়া রাশিয়ার মতো এতো বড় একটা শক্তিশালী জায়ান্টকে ন্যাটোতে নেয়া মানে একক ক্ষমতা খর্ব হবার সম্ভাবনা। যদি সেটাই হতো, তাহলে ওয়ার্শো প্যাক্ট বিলুপ্ত হবার পরেই তো ন্যাটোর পরিসমাপ্তি ঘটতে পারতো। কিন্তু সেটা হয় নাই। আর ঠিক এ কারনেই রাশিয়া যতোবারই ন্যাটোতে যোগ দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করুক না কেনো, তাতে কখনোই রাশিয়া সফল হবে না। এটাই বাস্তবতা।
রাশিয়া কেনো ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়?
রাশিয়ার উদ্দেশ্য-ন্যাটোতে জয়েন করতে পারলে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের মধ্যে একটা যোগবন্ধন তৈরী হবে, ইউরোপের সাথে আরো সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হবে, তাতে তার অর্থনীতিসহ অন্যান্য সেক্টরে আরো লাভবান হবে। এছাড়া ন্যাটোর সদস্য হলে রাশিয়া সদস্য হিসাবে ন্যাটোর অনেক রিফর্ম করা তার পক্ষে সম্ভব হবে। তাতে কোল্ড ওয়ার সিচুয়েশনটাও বন্ধ হবে ইত্যাদি।
কি হতে পারে যদি রাশিয়া ন্যাটোতে জয়েন করে?
- কোনো কারনে যদি রাশিয়া ন্যাটোতে জয়েন করে, এর সবচেয়ে বেশী ইফেক্ট করবে চীনকে। কারন বর্তমানে পশ্চিমারা যাকে প্রধান শত্রু মনে করে সেটা চীন, রাশিয়া নয়। রাশিয়ার সাথে শত্রুতা করে পশ্চিমারা ইউরোপে টিকে থাকা সম্ভব না। কারন রাশিয়া নিজেও ইউরোপের একটা বিশাল অংশ। কোনো না কোনো সময় ইউরোপ রাশিয়াকেই চাইবে, রাশিয়া ইউরোপকে না চাইলেও ইউরোপের বেশী প্রয়োজন রাশিয়াকে।
- সেন্ট্রাল এশিয়ার পুরানো সোভিয়েট দেশগুলি তখন হয়ত তারাও ন্যাটোতে জয়েন করবে, অথবা চীনের সাথে মার্জ করবে।
- দক্ষিন আমেরিকার দেশগুলি খুব সম্ভবত রাশিয়া ন্যাটোতে জয়েন করলে খুব একটা খুশী হবে না। কারন তারা আমেরিকার বিপক্ষে রাশিয়াকে একটা শক্তি মনে করে। যদি রাশিয়াই ন্যাটোতে জয়েন করে তাহলে তো আর কিছু থাকলো না।
- নর্থ কোরিয়া একেবারেই এটা পছন্দ করবে না। কারন তাতে নর্থ কোরীয়া একটা পার্টনার হারালো বলে মনে করবে।
- মধ্যপ্রাচ্য মিক্সড একটা রিসপন্স করবে। সৌদি, জর্দান, ইরাক এরা হয়তো নিরপেক্ষ ভুমিকায় থাকবে, অথবা তারা রাশিয়ার ন্যাটোতে জয়েন করাকে স্বাগত জানাতে পারে। অন্যদিকে ইজরায়েলকে প্রেডিক্ট করা মুষ্কিল, কিন্তু সিরিয়ায়, ইরান, ইয়েমেন অবশ্যই অখুশী হবে।
- এশিয়া প্যাসিফিকের দেশসমুহ যেমন ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া, কিংবা নিউজিল্যান্ড এরা হয়তো খুশী মনে রাশিয়াকে বরন করবে। তারা চীনের শক্তি কমে যাবে ভেবেই খুশী হবে। জাপান, তাইওয়ান কিংবা দক্ষিন কোরিয়াও খুশী হবে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েত্নাম ভ্র্য কুচকাবে এই ভেবে- এটা রাশিয়া কি করলো?
- ইন্ডিয়ার সাথে রাশিয়ার এবং পশ্চিমাদের উভয়ের সাথেই সম্পর্ক বেশ গ্রহনযোগ্যতায় আছে। তারা হয়তো খুশী হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।
- আফ্রিকান এবং নর্থ আফ্রিকান দেশসমুহের মধ্যে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। লিবিয়া, আলজেরিয়া, মিশর, রাশিয়ার এহেনো ন্যাটোতে যোগ দিলে সন্দেহের চোখে দেখারই কথা যদিও তিউনেশিয়া অবশ্যই এটাকে সাধুবাদ জানাবে কোনো সন্দেহ নাই।
তবে এটা ঠিক যে, রাশিয়া ন্যাটোতে জয়েন করলে পৃথিবীতে ন্যাটোর আগ্রাসন ভুমিকা, পশ্চিমাদের রুল বেজড অর্ডার, একক হেজিমনি, যুদ্ধ, হানাহানি, কাটাকাটি অনেক কমে যাবে। রিসোর্সের সদব্যবহার হবে, ওয়ার্ল্ড অরগেনাইজেশনগুলির অনেক রিফর্ম হবার সম্ভাবনা থাকবে, ইচ্ছে করলেই কেউ যা খুশী করতে পারবে না।
তাহলে কি রাশিয়া কখনোই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না?
এই প্রশ্নটা একটা আপেক্ষিকতা আছে। এই মুহুর্তে রাশিয়ার পক্ষে শতবার চেষ্টা করলেও রাশিয়া ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে বলে মনে হয় না। কিন্তু একটা সময় আসবে যখন ইউরোপ বা পশ্চিমারা রাশিয়াকে নিজের থেকেই ন্যাটোতে যোগ দেয়ার প্রস্তাব পেশ করবে। আর সেটা তাহলে কিভাবে?
চীন এখনো ন্যাটোর বিরুদ্ধে কোনো হুমকীসরুপ বলে মনে হচ্ছে না ঠিকই কিন্তু এক বা দুই দশকের মধ্যে চীন ঠিক ন্যাটো বা পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে একটা কঠিন হুমকী হয়ে দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার জন্য পক্ষ দুটু (ক) ন্যাটো ভার্সাস পশ্চিমা (খ) চীন। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ঠিক এই মুহুর্তে রাশিয়া চীনের সাথে অনেক বেশী কাছে চলে এসছে। আর ন্যাটো বা পশ্চিমারাও চাইছে রাশিয়া যেনো কোনো অবস্থাতেই চীনের সাথে এতো ঘনিষ্ঠ না হয়। অন্যদিকে পশ্চিমারা চীনের সাথে এমন একটা সম্পর্ক তৈরী করে ফেলেছে যে, আগামীতে চীনের সাথে পশ্চিমাদের আর কোনো সদ্ভাব থাকবে কিনা সন্দেহ আছে। তারমধ্যে তাঈওয়ান উত্তেজনা তাদের এই সম্পর্ককে আরো তলানীতে নিয়ে গেছে। কিন্তু সময়টা খুব বেশী দূরে না যখন চীনকে মোকাবেলা করতেই ন্যাটো তথা পশ্চিমাদেরকে করতে রাশিয়াকে টানতে হবে।