রাজনীতিতে যার যার সার্থ তাঁরতাঁর। এখানে সার্থ ভাগাভাগির কোনো গল্প থাকে না। শেষ অবধি প্রেডিকশনটাই ঠিক হলো। প্রেডিকশন করেছিলাম যে, একোয়াসের সামরীক বাহিনী যদি নিজারে ইন্টারভেনশন করে, তাহলে শুধুমাত্র নাইজেরিয়াই থাকবে সেই ফোর্সের মধ্যে, অন্য কেউ থাকার কথা না আর থাকলেও খুবই কম সদস্য দিয়ে একটা টোকেন পার্টিসিপেশন হবে। ২য় প্রেডিকশন ছিলো, আমেরিকা এবং ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক ফাটল দেখা যাবে। ৩য় প্রেডিকশন ছিলো-নিজারে একোয়াসের মিলিটারী ইন্টারভেনশন এর পরিবর্তে ডিপ্লোম্যাটিক সমাধান হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট বাজোমের ক্ষমতায় ফিরে আসা আর কখনোই হবে না।
এবার সর্বশেষ খবরগুলি দেখিঃ
(১) একোয়াসের স্ট্যান্ড বাই ফোর্সের মধ্যে ২৫ হাজার সামরিক সদস্যের মধ্যে নাইজেরিয়ার সাড়ে ২৪ হাজার প্লাস, আর সেনেগালের মাত্র কয়েকজন টোকেন পার্টিসিপেশন। অর্থাৎ নাইজেরিয়া একাই একোয়াস সম্মিলিত বাহিনীর হিসাবে রিপ্রেজেন্ট করে প্রয়োজনে নিজারে ইন্টারভেনশনের জন্য প্রস্তুত। যা নাইজেরিয়ার সাধারন জনগন এর বিপক্ষে। ফলে একোয়াস এখনই ইন্টারভেনশন নয়, আগে ডিপ্লোম্যাটিক সমাধান, তারপর ইন্টারভেনশন (যদি লাগে)
(২) আফ্রিকান ইউনিয়নের দেশগুলিতে খাদ্য, সার এবং অন্যান্য কমোডিটি সবচেয়ে বেশী সাহাজ্য হিসাবে দেয় রাশিয়া। রাশিয়া নিজারে কোনো সামরীক ইন্টারভেনশনের বিপক্ষে। ফলে আফ্রিকান ইউনিয়ন নিজারে যে কোনো সামরীক ইন্টারভেনশনের বিপক্ষে। আফ্রিকান ইউনিয়ন একোয়াস থেকে ডিসোসিয়েট করেছে।
(৩) আমেরিকার মিলিটারী বেজগুলি নিজারে বহাল রাখার নিমিত্তে নিজারের সামরীক ক্যু কে আমেরিকা এখনো ক্যু হিসাবে আখ্যায়িত করে নাই। প্রয়োজনে তারা মিলিটারী সরকারের সাথে কাজ করতে এবং বেজগুলি রি-লোকেশন করতে ইচ্ছুক।
(৪) ফ্রান্সের মিলিটারী বেজগুলি গুটিয়ে নেয়ার নির্দেশ নিজারের সামরিক সরকার আগেই দিয়েছে। তাই ফ্রান্স চায় একোয়াস নিজারে ইন্টারভেনশন করুক। কিন্তু আমেরিকার এহেনো এক তরফা নিজারের সামরিক সরকরকে সাপোর্ট করার মাধ্যমে ফ্রান্সের সাথে পশ্চিমাদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল বা নাখোস। তাতে ইউক্রেন যুদ্ধে একটা বিরোপ প্রভাব ফেলবে যেহেতু ফ্রান্স ন্যাটো/ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে যুক্ত থেকে আমেরিকার প্রক্সি ওয়ারে ফ্রান্স যথেষ্ট সাপোর্ট দিচ্ছিলো।