রাজনীতি আর মিডিয়া, এরা একে অপরের খুব কাছাকাছি বন্ধুসুলভ শত্রু। যখন প্রয়োজন হয় তখন মিডিয়া আর পলিটিশিয়ান একে অপরের বন্ধু হয়ে যায়। ফলে পুর্নসত্য অনেক সময় বেরিয়ে আসে না। বেরিয়ে আসে মিক্সড এবং অর্ধসত্য। অর্ধেক সত্যি কোনো কাজে আসে না। আর এই অর্ধসত্য যখন কেউ খুজে বের করার চেষ্টা চালায়, তখন তাদের ব্যাপারে ফিডব্যাক ফর্মের মতো অনেক প্রতিবেদন চারিদিক থেকে জড়ো হতে থাকে। এই অর্ধসত্য আর অর্ধমিথ্যা ফিডব্যাক ফর্মের ভারে যেখানেই যা কিছু বলা হোক না কেনো, মনে হয় তখন যে, ক্ষমতাশীল রাজত্তে দেওয়ালের শুধু কানই থাকে না, অবিবেচক চোখও থাকে। তখন নীরবতা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকে না। অথচ, এই নীরবতা সমাজে অনেক বড় ভয়ংকর অপরাধের জন্ম দেয়। এই অপরাধ থেকে মৃত্যু হয় বিশ্বাসের। বিশ্বাসের খুন যখন হয়, তখন শারীরিক খুনের আর কোনো প্রয়োজন পড়ে না। জিবন্ত লাশের মতো এই পরিস্থিতিতে বসদের শুনতে হয় অনেক অধিনস্থদের কষ্টের কথা। কিন্তু একটা কথা তো ঠিক যে, সাধারনত বসেরা কোনো স্টাফের কথা শুনতে পারে, কিন্তু তার কষ্টতো বসেরা মাথায় নিয়ে ঘুরতে পারে না। বসেরা শুধু এই কষ্টটা আবারো সেই মিডিয়া আর রাজনীতির কর্নধাদের কাছেই প্রতিস্থাপিত করা ছাড়া আর কোনো উপায়ও দেখেন না। আবারো সেই চক্রকার গোলকধাধা। বসেরা কি জানে না যে, রাজনীতিতে যদি মানবিকতা আর সচ্চতা থাকতো তাহলে কেহই এই রাজনীতি করতে আসতো না!! গুটিকতক রাজনীতিবিদেরা হয়তো এই চক্রাকার গন্ডির ভাইরে থাকে যাদের জন্য এখনো দেশ তথা জাতী ক্রিতজ্ঞ।