সেনানিবাসে সোলজার রিক্রুটমেন্ট ক্যান্টনমেন্টেই হবে এই সার্কুলারে আমাকে ইউনিট থেকে ১৫ ফিল্ডের সাথে এটাচমেন্ট করা হলো। মনে মনে শান্তি পেলাম যে, এখন ইউনিটের অধিনায়কের বিরম্বনা থেকে রেহাই পাবো। কিন্তু ইতিমধ্যে অধিনায়কের পোস্টিং আদেশ চলে এসেছে। তার বদলি হয়েছে ডিজিএফআইএ। নতুন অধিনায়ক এসেছেন লেঃ কর্নেল খায়রুল আলম। একই সাথে উপঅধিনায়ক খলিল স্যারেরও পোস্টিং হয়ে গেলো। নতুন উপঅধিনায়ক এসেছেন মেজর রফিকুল হাসান স্যার।
কিন্তু ইউনিটে এই বদলীর কারনে খুব একটা শান্তি ফিরে এলো বলে মনে হলো না। আগেরবার ছিলো যে, অধিনায়ক আর উপ অধিনায়কের মধ্যে ছিলো সাপে নেউলের মতো সম্প্ররক, আর এখনকার অধিনায়ক আর উপঅধিনায়কের মধ্যে খুব মিল যেনো স্বামী স্ত্রী। তবী বেলায় স্বামী হচ্ছেন উপ-অধিন্যক আর স্ত্রীর ভুমিকায় আছেন অধিনায়ক সাহেব। কিন্তু তারা সৈনিক কিংবা অফিসারদের বেলায় সেই কঠোর কমান্ডই বহাল রাখলেন। আমার সাথে অবশ্য উপঅধিনায়কের সাথে একটু ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলো। আমি ১৫ ফিল্ডের অধীনে সৈনিক নির্বাচন করার কাজে ব্যস্ত আছি। কিন্তু পাবলিকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। মেজর মজিদ আমাকে জানালেন, দেখো তোমাদের আশেপাশের গ্রামগুলি থেকে ছেলেদের রিক্রুট করা যায় কিনা। আমি স্যারের কাছ থেকে ২ দিনের ছুটি নিয়ে আমাদের গ্রামে বাক্তার চর চলে এলাম।