২০/২/২০২৪-আজ আমার মৃত্যু বার্ষিকী

আজ আমার মৃত্যু বার্ষিকী। কথাটা কেমন অদ্ভুত না? আমি এখনো জীবিত কিন্তু আমি আমার মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে কথা বলছি। কথাটা বলার একটা বিশাল কারন রয়েছে।

দাদার অথবা দাদার বাবার কিংবা তাদেরও দাদাদের মৃত্যু বার্ষিকী এখন আর আমরা কেউ ঘটা করে পালন করিনা। বাবার অথবা খুব বেশী হলে দাদার মৃত্যু বার্ষিকী হয়তো এখনো এই জেনারেশন কিছুটা হলেও পালন করে কিন্তু তাদের পূর্বসূরীদের বেলায় এটা প্রায় ঘটেই না। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত একটা জেনারেশন কিছুটা অতীতের হারানো প্রিয় মানুষগুলির জন্য কিছুটা মনে করার তাগিদেই হয়তো সমাগম হয় কিন্তু সেটাও একদিন ফেকাশে হয়ে যায়। আমিও একদিন আমার উত্তরসুরীদের কাছে জেনারেশন থেকে জেনারেশনের পর পুরুই ফেকাসে হয়ে যাবো, এটাই চিরন্তত সত্য। এটা কাউকে দোষারুপ করার মতো কোন কারন নাই। সেদিন হয়তো আর কেউ এটাও বলবে না যে, আজ আমার দাদার দাদার বাবার অর্থাৎ আমার মৃত্যু বার্ষিকী। হয়তো তখনো কারো না কারো দোয়ার মাধ্যমে কোনো না কোনো সাহাজ্য আমার দরকার। কিন্তু তখন কেউ আমাকে মনেই রাখে নাই, দোয়া করবেই বা কে? যেমন মনে রাখি নাই আমিও আমার সেই দাদার দাদার বাবাকে।

আমার মৃত্যুর আগে আমি কত ব্যস্ত ছিলাম, আমাকে ছাড়া হয়তো অনেকের চলতোই না। হয়তোবা এমন হয়েছে, আমি না থাকলে কার কি হবে এই চিন্তাতেই অনেকে অসুস্থ্য হয়ে যেতো, কেউ হতাশ হয়ে যেতো, কেউবা ‘কি যে হবে ভাবতেই পারছিনা’ এমন বাক্যও উচ্চারন করত। অথচ দেখুন, আজ আমি সত্যিই নাই, কিন্তু কারো অফিসে যাওয়া বন্ধ হয় নাই, কারো হাত-বাজার করা বন্ধ হয় নাই, কার ঘুম নষত হয় নাই, সুর্য ঠিকই পুর্ব দিকে যথাসময়ে উদিত হয় ঠিক আগের সময়েই পশ্চিমে অস্ত চলে যাচ্ছে। আকাশের রঙ পালটায় নাই, পাহাড়ের কোনো একতা গাছঅ তার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধিতে ক্ষান্ত হয় নাই, কন ঋতুর পরিবর্তন হয় নাই। শুধু পরিবর্তনটা হয়েছে আমার। আমি শুধু সেখানে নাই।

অনেক বছর বাচতে ইচ্ছে করে।

মৃত্যুকে আমি ভয় পাই।

মৃত্যু থেকে একা থাকা ভাল।