২১/৮/২০২০-রাগ বা অপরাধ

Categories

যদি রাগ বা অপরাধ করার মুহুর্তে মনে এই অনুভুতি জাগে যে, অন্য কারো ভুলের কারনে আমরা আমাদের জীবন নষ্ট করতে চলেছি, তাহলে হয়তো অনেক অপরাধ ঠেকানো সম্ভব। অভিমান, প্রতিশোধ, ক্রমশই ধংশের পথকে এগিয়ে নিয়ে চলে। ফলে আমরা নিজেদের রাগ আর সেই রাগের বশে যে সব অপরাধ বা পদক্ষেপ নিতে পারি তার ফলাফলের বিশয়ে সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। অপরাধের ফল সব সময় দুই রঙ এর হয়। যখন মনে মনে অপরাধ করার চক্রান্ত করা হয়, তখন অনেক কঠিন পরিস্থিতি সহজ বলে মনে হয়। কিন্তু সেটা কেবলমাত্র দেখার ভুল। সেটা একটা ছলনা। অপরাধের আসল রুপ পরে সামনে আসে, যখন চক্রান্ত অসফল হয়, যখন অপরাধ সবার সামনে প্রকাশ হয়। ক্ষোভের বশে নেয়া পদক্ষেপের ফল কখনোই বদলনো যায় না। কিন্তু পিছনে পরে থাকে শুধুই উপলব্ধি। আবারো সেই “যদি”।

এই “যদি”তে তখন এটাই মনে হতে থাকে, আহা “যদি” সমস্যার সমাধানের জন্য মূল উপড়ে ফেলার বিকল্প হিসাবে ওই অপরাধটা না করতাম, “যদি” ওই আইন বিরোধী কাজটা না করতাম, “যদি” একটু ধইর্য ধরতাম, তাহলে হয়তো আমাদের বর্তমান ইতিহাসটা কালো অক্ষরে লেখা হতো না ইত্যাদি।

কারো ইতিহাস যখন কালো অক্ষরে লেখা হয়ে যায়, তখন সেটা যতো চেষ্টা করাই হোক তাকে আর সাদা অক্ষর করা যায় না। হ্যা, হতে পারে তারপরের সব ইতিহাস হয়তো আবারো সাদা অক্ষরে লেখা করা যেতে পারে। কিন্তু এই সাদা অক্ষরের ইতিহাস এতোটাই বেশী পরিমানে হতে হয়, যতোক্ষন না পর্যন্ত অতীতের কালো অক্ষরের পুরু অধ্যায় ম্লান হয়। তখন সেটা হতে হয় আমুল পরিবর্তন। এই পরিবর্তন সবাই পারে না। যারা পারে, তারাই হয় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লিজেন্ড। কারন তখন কালো অক্ষরের ইতিহাসধারীর মৃত্যু হয়ে নতুন রুপে আবিরভুত হয়।