শনিবার, আটিলারি সেন্টার এবং স্কুল, হালিশহর,
চট্টগ্রাম।
অনেকদিন পর ডায়েরি লিখতে বসলাম ।
আশ্চর্য হওয়ার মতো বেশী আশ্চর্য যদি কিছু থাকে এ পৃথ্বীতে- সেটা হল সৃষ্টিকর্তার হৃদয় সৃষ্টি। অদৃশ্য অস্পর্শ, এক কাল্পনিক অস্তিত্ব যার কোন আকৃতি নেই, প্রকৃতি নেই, যাকে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, এবং নিজের কোন কন্ট্রোলেও নেই। বৃষ্টিরদিনে এ একরকম, চৈত্রে আরেক, বসন্তে বা শীতে এ আরেক রকম। কখনো এটা কারন ছাড়াই হাসে, কখনো কাদে, কখনো আবার কিছুই করে না। মানুষ এটাকে দিতে চায়, কিন্ত কেন জানি এটাকে কেও যেন নিতেও পারে না। একই ঘটনায় এই হৃদয় কখনো অভিভুত, কখনো বিচলিত, কখনো আবার নির্বাক। এই আশ্চর্য ”হৃদয়” বস্তুটা কল্পনাপ্রিয়, কল্পনার জগতে সে অতি মহারাজা। আমার এই আশ্চর্য ”হৃদয়” বস্তুটাও মাঝে মাঝে ভীষণ অন্যরকম ভাবে life টাকে চিন্তা করে। আমি এর কারন খুজে পাই না। যেমন সেদিন ভাবছিলাম যে, আমি আর সে একা একা হাটতে হাটতে বহুদূর চলে গিয়েছি, বাড়ি ফেরার পথ ভুলে গিয়েছি, বাড়ির সবাই আমাদের জন্য হয়ত খুব চিন্তা করছে। চারদিক সন্ধ্যা হয়ে আসছে, একটু একটু ঠাণ্ডা বোধ করছি আর ভাবছি কখন বাড়ী ফিরে যাব। মনে হচ্ছে বাড়ী ফিরলে দেখতে পাব যে, বাবা অস্থির, মা অস্থির, ভাই বোনেরা অস্থির। সন্ধার বাতি দিতেও ভুলে গেছে সবাই। এমন সময় আমরা বাড়িতে গিয়ে হাযির। আমাদের পেয়ে সবাই কি না আনন্দ…
অথচ আমি জানি আমার জন্য কেউ অপেক্ষা করে নেই, আমি কয়েক দিন বাড়ি না ফিরলেও কেউ আমার খোজ নেবে না। কারন আমার বাবা নেই, আমার মা আমাকে নিয়ে ভাবেন কিন্তু ওনার কিছুই করার নেই, আমার বোনেরা এগুলু নিয়ে ভাবে না, আর আমার ভাই থাকেন আমেরিকা। থাকলেও ভাবতেন কিনা আমার জানা নেই। কারন আমার আর্মিতে আসা নিয়ে তিনি অত্তন্ত্য বেজার।
পরিবার একটা কনসেপ্ট, পরিবার একটা আইডেন্টিটি। পরিবার নামক বস্তুটি অনেক সময় কোনোকাজে নালাগলেও, এর সুনাম, এর দূর্নাম, এর বাহ্যিক পরিচয় কনো না কোনোভাবে সাহাজ্য করে। আমি তার থেকে যোজন যোজন দূরে।