উম্মিকার বিয়ে হয়েছে সবেমাত্র এক মাস ২২ দিন। সবাই থাইল্যান্ডে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা করেছিলাম। তো, গত পরশুদিন উম্মিকা আর আবির বাসায় আসার পর রাতে খেতে খেতে বললাম, থাইল্যান্ডে গেলেও মুটামুটি প্রায় ৪/৫ লাখ টাকা খরচ হবে। আর থাইল্যান্ডে গিয়ে হয়তো কিছু দর্শনীয় স্থান দেখা ছাড়া আর কিছুই নাই। তার থেকে যদি এমনটা হয় যে, আরো কিছু খরচ যোগ করে আমরা সপরিবারে ওমরা করতে যাই, সেটা ভালো না?
ওরা দুজনেই শীঘ্রই বেবি নেয়ার চিন্তা করছে, তাই বললাম, চল, আল্লাহর ঘরে যাই, ওখান থেকে একটা নিয়ত করে আসি এবং তোমরাও আল্লাহর ঘরটা দেখে আসো। তা ছাড়া রোজার মাস। এম্নিতেই এক রাকাত নামাজ মক্কায় পড়লে ১ লাখ গুন বেশি সওয়াব, যেহেতু রোজার শেষ ১০ দিন পরিকল্পনা করছি, ইনশাল্লাহ শবে কদর পাবই। আর সেই শবে কদরের রাত হাজার রজনীর সমান। এমন একটা বরকত্ময় প্রোফিট কেনো নিবো না?
সবাই রাজী হয়ে গেলো। আলহামদুলিল্লাহ। কনিকাকে আমেরিকা থেকে আসতে বলেছিলাম, কিন্তু ওর ক্লাস চলছে, মিস করতে পারবে না। তাই কনিকার যাওয়া হলো না। আগামীকাল শনিবার ইনশাল্লাহ ওমরার প্যাকেজটা ফাইনাল করে ফেলতে চাচ্ছি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।