ইন্সটিটিউট অফ লিভার এন্ড বিলিয়ারী সায়েন্স (আইএলবিএস) দিল্লী তথা এশিয়ার মধ্যে লিভার সংক্রান্ত চিকিৎসায় একটি নামকরা হসপিটাল। S.K. Shirin হচ্ছেন একজন আন্তর্জাতীক এবং ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ পদকপ্রাপ্ত একজন বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক। তার কাছেই আমার ওয়াইফের এপয়েন্টমেন্ট করা ছিল। এর আগে বেশ কিছু স্বাভাবিক টাইপের কিছু টেষ্ট করানোর জন্য ইতিমধ্যে হসপিটালে রক্ত দেয়া হয়েছে। আজ ২৪/৫/২০১৯ তারিখে এস কে সারিনের সাথে সরাসরি বৈঠক হবে আমাদের বিষয়ে। তাঁকে আমরা কখনো দেখি নাই। আমরা হাসপাতালের করিডোরে অন্যান্য রোগীদের মতোই ওয়েটিং এ ছিলাম। আমাদের সিরিয়াল দেয়া ছিলো। একটা রোগা পাতলা লোক হটাত করে আমাদের সামনে দিয়েই যেনো কোথায় যাচ্ছিলেন। তার পিছনে বেশ একটা দল তাঁকে ফলো করছিলো। আমরা তাঁকে চিনি নাই বটে কিন্তু আশেপাশের রোগীদের কাছে জানলাম, তিনিই এস কে সারিন। বেশ লম্বা এবং ফর্সা। আমাদের টার্ন এলো প্রায় আধা ঘন্টার পরে। বিদেশী রোগীদের আলাদা সিরিয়াল, তাই তাড়াতাড়িই হলো। অত্যান্ত সল্পভাষী কিন্তু অধিক সময় দেন তিনি। মিটুলকে বেশ কিছুক্ষন পর্যবেক্ষন করার পর কোনো প্রকারের রিস্ক নিলেন না তিনি। যা যা করনীয় সেটাই করলেন এবং একজন ডাক্তার (তার একান্ত বিশেষ ডাক্তার ডাঃ আদিত্যকে বলে দিলেন যেনো কেসটা নিজেই হ্যান্ডেল করেন। ছবিতে পাশেই অমায়িক ভংগিতে দাঁড়িয়ে আছে ডাঃ আদিত্য। আদিত্য ভালো বাঙলা বলে এবং বুঝে। জিজ্ঞেস করেছিলাম কিভাবে সে এত ভালো বাঙলা বুঝে এবং বলে। পরে জানালো যে, তার মা কলিকাতার আর বাবা দিল্লীর। তাহলে বাঙলা না বুঝার কোনো কারন নাই। ভাল লেগেছে এস কে শিরিনের প্রোফেশনালিজম। A real good doctor in his field. পরে সার্চ করে দেখলাম S. K Shirin কে নিয়ে ওয়াইকিপিডিয়া, গুগল কিংবা বিভিন্ন ওয়েব সাইট গুলিঅনেক কাভারেজ করেছে।
ডাঃ এস কে শিরিন আদিত্যকে আরেকটা ইন্সট্রাকশন দিলেন যে, মিটুলের যেনো ইমিডিয়েটলি লিভার বায়োপ্সি করানো হয় এবং সেই রিপোর্টটা আগামীকাল সকালে যখন তিনি আবার বসবেন, তখনি দেয়া হয়। দেখলাম, ডাঃ এস কে শিরিনের ব্যক্তিগত একটি ইন্সট্রাকশন পুরু হসপিটাল এমনভাবে পালন করে যেনো একটি বেদবাক্য। তিনি যা করলেন আমাদের জন্য, সেটা ধন্যবাদ দেওয়ার মতো না, আরো অনেক বড় কিছু। কোনো প্রকারের ডিলে যেনো না হয় সেটাই তিনি করলেন। আমার কাছে ব্যাপারটা একটু খটকা লাগছিলো। এমন নয় যে, এস কে সারিন এর চেয়ে আর কোনো ভালো ডাক্তার ওখানে নাই। কিন্তু এস কে সারিনকেই কেনো এতো সমীহ? পরে আরো জানলাম যে, আসলে তিনি এই আইএলবিএস হাসপাতালের মালিকদের মধ্যে তিনিও একজন।
মিটুলের বায়োপ্সি করানোর জন্য অনেক গুলি ফর্মালিটিজ করতে হলো। কোথাও টাকা জমার ফর্মালিটিজ, কোথাও আবার ওর কিছু ব্যক্তিগত ফর্ম ফিল আপ, আবার কোথাও এমন হয়েছে যে, ইন্টার ন্যাশনাল রোগি হ ওয়াতে বাড়তি কিছু ঝামেলা। এসব করতে করতে প্রায় অনেক বেলা হয়ে গিয়েছিলো। আমি অনে ডিপার্ট্মেন্টই চিনি না। ওখানে ক্লিনারের কাজ করে এমন এক লোকের সাথে পরিচয় হয়ে গেলো। ভালো বাঙলা সেও বলে। নাম তার মিষ্টিলাল। সেইই আমাদেরকে সবখানে নিয়ে গেলো। বেশী বেগ পেতে হয় নাই। প্রায় ৩ টার দিকে মিটুলের বায়োপ্সি করানো হবে, তাই আমরা এর মধ্যেই কাফেটেরিয়া থেকে যা পেলাম খেয়ে নিলাম। সাবিহা আপার জন্য এ ধরনের কোনো ঈন্সট্রাক্সন ডাক্তার দেন নাই বিধায় তিনি হোটেলে চলে গেলেন। ওনার মেয়ে আর ওনার মেয়ের জামাই (নাম নাঈম) সেও চলে গেলো। আমি আই এল বি এস হাসপাতালে রয়ে গেলাম। মিটুল খুব ভয় পাচ্ছিলো। আমার হাত ধরেছিলো যখন তাঁকে ওটিতে নেয়া হয়। যেখানে বায়োপ্সি করানো হবে, আমি সেই ইন চার্জ ডাক্তারকে আমার পরিচয় দিয়ে বললাম, আমি থাকতে চাই আমার স্ত্রীর অপারেশনের সময়। তিনি বললেন, খুব ছোট একটা অপারেশন, হয়তো ১০ মিনিটেই শেষ হয়ে যাবে, আর ভয়ের কিছু নাই। যে ডাক্তার মিটুলের বায়োপ্সি করাবেন, তিনিই আমাকে তার রুমে বসিয়ে বললেন, আপনি এখানে রেষ্ট করুন, পাশের রুমেই মিটুলকে তারা অপারেশন করাবেন। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানানো হবে।
প্রায় ৩০ মিনিট পর মিটুল বের হলো, খাটে করে। তাঁকে নেয়া হবে পোষ্ট অপারেটিভ রুমে। সেটা আবার অন্য আরেক জায়গায়। মিষ্টিলাল সাথেই ছিলো। আমরা মিটুলকে পোষ্ট অপারেটিভ রুমে রেখে আসলাম। আমাকে বলা হলো যে, বায়োপ্সি রিপোর্ট টা নিজে গিয়ে তদারকী না করলে এস কে শিরিন বল্লেও সিরিয়ালে থাকার কারনে আগামীকাল হয়তো রিপোর্ট টা পাওয়া নাও যেতে পারে। এর মানে তদবির লাগবে। আমি মিষ্টিলালকে নিয়ে একেবারে পরীক্ষাগারে চলে গেলাম। সেখানে সবার যাওয়া নিষেধ ছিলো। কিন্তু মিষ্টিলাল থাকায় আর আমি বিদেশী হ ওয়ায় একটু সুবিধা হলো। পরীক্ষাগারে যিনি রিপোর্ট টা দিবেন, তাঁকে বললাম, যে, আমাদের খুব তাড়া আছে, যদি আমাদের বায়োপ্সি রিপোর্ট টা একটু প্রাইয়োরিটি দিয়ে দেয়া যায়, তাহলে খুব ভালো হয়। তিনি এটাকে টপ প্রাইয়োরিটি দিয়ে লিখে দিলেন আর বললেন, আগামীকাল সকাল ১০ টার মধ্যে হাতে পেয়ে যাবেন।
আমি এবার আবার মিটুলের পোষ্ট অপারেটিভ রুমে এলাম। দেখলাম অন্যান্য রোগীদের অনেক অভিযোগ। পানি নাই, ডাক্তার ও নাই, কিছু কিছু রোগীর এখুনী ডাক্তারের দরকার কিন্তু কোনো এটেন্ডেন্ট ডাক্তার না থাকায় অনেক রোগী চিল্লা পাল্লা করছে। বুঝলাম, যতোটা না এর সুনাম, এর দূর্নামও আছে। কিন্তু এটা এমন কেনো হবে? মানুষেরা অনেক টাকা পয়সা খরচ করে এ রকম নামীদামি হসপিটালে আসে, তাদের জন্য অবশ্যই এক্সট্রা কেয়ার থাকা উচিত। তা না হলে সরকারী আর প্রাইভেট হস্পিটালের মধ্যে তফাতটা কি? মিটুলের বেশ ব্যথা হচ্ছিলো। ব্যথার মেডিসিন অপারেশনের সময় দেয়া ছিলো কিন্তু সেটা ধীরে ধীরে কার্য ক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ায় মিটুলের এখন বেশ ব্যথা হচ্ছে বলে আমাকে জানালো। আমি এ কথা কোনো ডাক্তারকে জানানোর জন্য কোনো ডাক্তারকে খুজে পেলাম না। একজন মহিলা নার্স ছিলো। সে একদিকে ডিসচার্জ লেটার লিখছেন, একদিকে নতুন রোগীর ভর্তির ফর্মালিটিজ করছেন, আবার অন্যদিকে সিরিয়াস রোগীদের কাছে যাচ্ছেন, আবার ফোন ধরছেন। আমি তার অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি একা কেনো? আর লোক কই?
উনি বুঝলেন যে, আমি রাগ করিনি কিন্তু তার অসহায়ত্তের ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করছি। নার্স খুব আক্ষেপ করে আমাকে বললেন, দেখেন স্যার, আমি একা কি করবো? স্যারদেরকে ফোন দিচ্ছি, তারা কেউ ফোন ও ধরছে না। আমি এখন কি নতুন রোগীর কাগজ লিখবো, নাকি পুরান রোগীর ডিসচার্জ লেটার লিখবো নাকি রোগীকে এটেন্ডেন্ট করবো। আমরা পেটের দায়ে কাজ করি, কেউ আমাদের অবস্থাটা বুঝে না। রোগীদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে গেছে। তখন রাত প্রায় ৯ টা। আমি আর হোটেলে ফিরে যাই নাই। সারারাত আমি মিটুলের পাশেই ছিলাম। মাঝে মাঝে সিগারেট খাওয়ার জন্য বেরিয়েছি বটে কিন্তু মিটুলের কাছেই ছিলাম, কারন কখন ওর কি লাগে বুঝা যায় না। রাতে মিটুলের ভীষন ক্ষুধা লেগেছিলো। হাসপাতালের খাবার ওর কিছুতেই সহ্য হচ্ছিলো না। খাওয়া মতো ছিলো না আসলে। আমি বাইরে গিয়ে ক্যাফেটেরিয়াতে গিয়ে দেখি ক্যাফেওটেরিয়া বন্ধ হচ্ছে প্রায়। জিজ্ঞেস করলাম, এটা সারারাত খোলা থাকে না? তারা বল্লো, এটা বারোটার পর বন্ধ হয়ে যায়। কি তাজ্জব ব্যাপার!! আশেপাশে কোনো খাবারের দোকান ও নাই, তাহলে রোগীরা খাবার পাবে কই কেউ যদি খাবার কিনে আনতে চায়? অত্যান্ত নাজুক একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা। যাই হোক, বিদেশি বলে ওরা আমাকে কিছু খাবার দিলো বন্ধ করার আগে। অন্তত মিটুলকে দিতে পারবো।
পরেরদিন, মিটুলের রিপোর্ট পেতে পেতে প্রায় বিকেল হয়ে গেলো। ফলে পরেরদিন এস কে শিরিনকে রিপোর্ট টা দেখাতে পারলাম না। শুনতে পাচ্ছি যে, এস কে শিরিন নাকি ৬ দিনের জন্য আবার আসবেন না। তাহলে মিটুলের রিপোর্ট চেক করবে কে? আমরা তো এস কে শিরিনের কারনেই এই হাসপাতালে আসা। অন্য কোনো ডাক্তারের জন্য তো এখানে আসি নি। বেশ কয়েক জায়গায় ব্যাপারটা চেক করে জানলাম, এস কে শিরিনের বাইরে যাওয়ার সিডিউল চেঞ্জ হয়েছে, অসুবিধা নাই, আমরা ওনার কাছেই মিটুলকে দেখাতে পারবো।
২৬/৫/২০১৯ তারিখে আমরা এস কে শিরিনের সাথে আবার দেখা করলাম। এর মধ্যে মিটুল পোষ্ট অপারেটিভ থেকে রিলিজ নিয়েছে। এখন ভালো আছে। এস কে শিরিনি মিটুলকে বললেন যে, মিটুলের যে লিভারের সমস্যাটা হচ্ছে এটার ব্যাপারে আজো কোনো মেডিসিন আসলে বের হয় নাই। তবে ফাইজার একটা মেডিসিন প্রায় ৭৫% টেষ্ট করে বের করে ফেলছে যেটা আগামী বছরে বাজারে আসবে। এর জন্য বর্তমানে ঐ মেডিসিনটা প্রায় ১০০ জন হিউম্যান বডিতে এপ্লাই করা হচ্ছে। এখন হয়তো আরো ৩/৪ জন বাকী আছে। এস কে শিরিন সবাইকে এই সুযোগ দেন না। কিন্তু তিনি মিটুলকে এই সুযোগ দিতে চান যে, ঐ মেডিসিনটা এপ্লাই করে দেখা কাজ করছে কিনা।
আমরা আসলে ব্যাপারটা বুঝতে পারছিলাম না। তিনি বললেন যে, ফাইজার সিংগাপুর হেড অফিসে মিটুলের সমস্ত বায়োপ্সি রিপোর্ট আলাদা করে টেষ্ট করবে, ওনারা ঐ মেডিসিন টা এপ্লাই করবে এবং মাসে একবার করে ইন্ডিয়ায় ফলো আপ করাতে আসতে হবে। এর জন্য ফাইজার সমস্ত খরচ বহন করবে, আসা যাওয়ার এবং যদি কোনো কারনে কোনো পার্শ প্রতিক্রিয়া হয়, তাহলে ফাইজার বাংলাদেশে এসেও মিটুলের চিকিৎসার ভার নিবে। শুধু তাইই নয়, যদি তাদের এই মেডিসিন এপ্লাই করার কারনে মিটুলের শারীরিক কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে প্রায় ৪ কোটি সম পরিমান ক্ষতিপুরন দিতেও বাধ্য থাকবে। মিটুল এস কে সারিনকে জিজ্ঞেস করেছিলো, কেনো তিনি মিটুলকে এই সুযোগটা দিচ্ছেন। তিনি জানালেন, তারা সবাইকে এই সুযোগ দেন না তবে যারা শিক্ষিত এবং প্রাথমিক স্টেজে আছেন রোগের, আর যারা একচুয়াল ফিডব্যাক দিতে পারবেন, তাদেরকেই তিনি এই সুযোগ দিচ্ছেন। এস কে সিরিন ফাইজারের একজন উচ্চমানের কন্সাল্টেন্ট ও বটে।
তিনি এটাও বললেন যে, যদি মিটুল রাজী থাকে, তাহলে আগামীকাল এস কে সিরিনের সাথে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফাইজার কোম্পানীর টপ লেবেল মালিকদের সাথে এবং ডাক্তারদের সাথে কথা বলবেন। আমরা আসলে ব্যাপারটাকে ভালোমতো বুঝিই নি। তারপরেও রাজী হয়ে গেলাম। পরদিন মিটুলের সাথে এস কে শিরিনের ভিডিও এর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে কথা বলবেন। অর্থাৎ মিটুল এবং এস কে শিরিন একদিকে, ফাইজারের অন্যান্য দাক্তার প্লাস মালিক বৃন্দ অন্য প্রান্তে। পরদিন আমরা সেটাও করে ফেললাম। অনেক কাগজ পত্র মিটুল সাইন ও করলো। কিন্তু একটা অপ্সন খোলা ছিলো যে, মিটুল চাইলে যে কোনো সময়ে এটা বাতিল করতে পারে।
আমরা আমাদের হোটেলে চলে এলাম। ব্যাপারটা নিয়ে দুজনে ভাবলাম। কারন প্রতিমাসে ঢাকা থেকে এই আই এল বি এস এ এসে চেক কারানো সহজ কথা নয় যদিও ফাইজার কোম্পানী সমস্ত খরচ বহন করবে। আবার আরেকটা ব্যাপার মাথায় এলো যে, মেডিসিনটা এখনো এপ্রোভড না, কেনো আমরা মিটুলকে গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহার করতে দেবো? আমার মীতুলের যদি কোনো কিছু হয়ে যায়, তাহলে? এবার আমরা একজন ডাক্তার বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম। হতাত মনে পড়লো যে, মিটুলের এক বান্ধবী আছে কলিকাতায় থাকে-পরীর জামাই। সে মানিকগঞ্জের মেয়ে। ওনার স্বামী আর বড় মেয়ে দুজনেই দাক্তার। তাঁকে ফোন করলাম, ব্যাপারটা বললাম, তিনি শুনেই কয়েকতা কথা বললেন যে- আখতার ভাই, এস কে শিরিনের চেয়ে ইন্ডিয়ায় হাজার গুনের ভালো ডাক্তার এই লিভার বিষ্যকই আছেন যাদের সমকক্ষ নন এই এস কে শিরিন। আর কেনো মিটুলকে একটা রিস্কের মধ্যে গফেলবেন। তারা আসলে হিউম্যান বডিতে এপ্লাই করার জন্য লোক খুজে পাচ্ছেন না, আর আপ্নাদেরকে শিক্ষিত, সহজ পেয়ে এমন একটা অফার দিয়েছে। কোনো অবস্থাতেই রাজী হবেন না। মনে হলো একটা বোঝা নেমে গেলো। আমরা ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে, আমরা এস কে শিরিনের এই সিদ্ধান্তে রাজী নই। তাঁকে আমরা কিছু বল্বো না কিন্তু রাজীও হবো না। কারন যদি এই মুহুর্তে আমরা এস কে শিরিনের কোনো কথায় রাজী না হই, এম্নো হতে পারে মিটুলের চিকিৎসাটা হয়তো ভালো করে করবেই না।
আমরা আমাদের মতো করে ইন্ডিয়াতে যে কয়দিন লাগে এই এল বি এস থেকে চিকিৎসা টা করিয়েই যাই। এতে প্রায় ৭/৮ দিন কেটে গেলো। বেশ অনেক গুলি মেডিসিন দিলেন এস কে শিরিন। আমরা ৬ মাসের মেডিসিন কিনে ফেললাম যাতে দেশে এসে যদি এই মেডিসিন গুলি না পাই, তাই।