মোহসীন সাহেব আমার গার্মেন্টস এর পার্টনার। আমার এই লেখাটা লিখার আগে মোহসীন শাহীন সাহেব সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয়। তিনি অত্যান্ত ধার্মিক একজন মানুষ। সারাদিন পবিত্র কোরআন শরীফ তার সাথে থাকে, তার হাতে তসবিহ থাকে, মাথায় টুপী আর গায়ে আলখেল্লা। মুখভর্তি দাড়ি। খুব ভালো ইংরেজী বলতে পারেন। দেখতে বেশ সুদর্শন। আমি যখন প্রথম রিভার সাইড সুয়েটার্স ফ্যাক্টরিটা জনাব নাজিম উদ্দিন সাহেবের কাছ থেকে নেই, তখন পর্যন্ত আমার জানা ছিলো না কিভাবে একটা ইন্ডাস্ট্রি চালাতে হয়, তাও আবার গার্মেন্টস এর মতো একটা ঝুকিপুর্ন ইন্ডাস্ট্র। যেহেতু আর্মির মতো এমন একটা প্রেস্টিজিয়াস চাকুরী নিজ ইচ্ছায় ছেড়ে চলে এসেছি, ফলে আমার জিদ ছিল, আর কোনো চাকুরী নয়, এবার নিজের জন্য নিজে কিছু করবো। আল্লাহ আমার সহায় ছিলেন সব সময়। যখন চাকুরী ছেড়ে দেবার কথা ভাবছিলাম, তখন এই জনাব নিজাম উদ্দিন কোনো একটা উছিলায় আমার মীরপুর সেনানীবাসে নিজের থেকেই এলেন দেখা করতে। আমি তাকে জীবনেও দেখি নাই। কিন্তু উনি আমাদের এলাকার একজন নামী মানুষ, যদি তার ট্র্যাক রেকর্ড যথেষথ পরিমান খারাপ। কোনো এক কালে তিনি নাইজ্যা ডাকাত নামে নাকি পরিচিত ছিলেন। এখন তিনি কোটিপতি, লেখাপড়ার কোনো বালাই নাই। একটা নিরক্ষর টাইপের মানুষ।
যাই হোক কিভাবে নাজিম সাহেবের সাথে আমার ব্যবসায়ীক লেনদেন শুরু হয় সেটা আরেক পাতায় লেখা আছে। এখন মোহশীন সাহিনের ব্যাপারেই যখন বলছি, সেটাতেই থাকি। আমি যেহেতু গার্মেন্টস বুঝি না, তাই ফ্যাক্টরী নেয়ার আগে মনে মনে ভাবলাম যে, এই ফ্যাক্টরিতে সফল্ভাবে কাজ করেছে এমন একজন লোক খুজে বের করা। আর সে সুবাদে আমি মোহসীন শাহিনের খবর পাই। আমি মোহসীন শাহীন সাহেবকে খবর দেই যে, উনি গার্মেন্টস করতে চান কিনা। কালের এবং সময়ের বিবর্তনে মোহসীন শাহীন ও বড্ড অসহায় হয়ে সব কিছু হারিয়ে এখন সমাজ সংসার, পরিবার বর্গ ছেড়ে একা একা তাবলিগ করে বেড়ান। ফলে আমার এই সংবাদে তিনি অনেক খুশি হয়েই যতো দ্রুত পারেন চলে এলেন আমার সাথে কথা বলার জন্য। আর এ কাজে সবচেয়ে বেশী সাহাজ্য করেছে হাসনাবাদ এলাকার একটি ভদ্র ছেলে তৌহিদ। ছেলেটা ভালো পরিবারের ছেলে এবং তখন পর্যন্ত তৌহিদ রিভার সাইড সুয়েটার্সেই কাজ করে, বলা যায় কোনো রকমে সে ফ্যাক্টরিটা ধরে রেখেছে।
মোহসীন সাহেব, তৌহিদ এবং আমি এক নাগাড়ে কয়েকদিন এই ফ্যাক্টরীর ভুত-ভবিষ্যত নিয়ে বিস্তর আলাপ করলাম। ফ্যাক্টরিতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার একটা লোন আছে। এই লোনটা ব্যাংকের মাধ্যমে রি-সিডিউলিং করেই চালানো যায়। আমি তখনো রি-সিডিউল কি, গার্মেন্টস কি, অর্ডার কি, এল সি কি, ব্যাক টু ব্যাক কি, নিটিং কি ইত্যাদির কিছুই জানি না। আমি শুধু মোহসিণ শাহীন সাহেবকে বললাম যে, যদি আমি অর্থ এখানে ইনভেষ্ট করি, তাহলে এর ভবিষ্যত কি। মোহসীন সাহেব কিছুক্ষন খাতা কলমে কি কি ক্যাল কুলেশন করলেন, সাথে তৌহিদ নিজেও হ্যা হু করলো, এরপর তারা উভয়েই আমাকে জানান দিলো যে, ছয় মাসের মধ্যে এই ফ্যাক্টরী থেকে প্রতি মাসে যা আয় হবে সেতা এতো বেশী যে, আর কোনো চিন্তা নাই। কিন্তু এর জন্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ইনভেষ্ট প্রয়োজন।
আমি যেভাবেই হোক এই টাকার একটা দায়িত্ত নিলাম। মোহসিন সাহেবকে আমি নিঃশর্তভাবে বিনা টাকায় ৩০% শেয়ার হোল্ডার হিসাবে মালিকানার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়ে নিলাম। শর্ত ছিলো, গার্মেন্টস তিনিই চালাবেন, আমি প্রশাসনিক দিকটা দেখবো। কোথা থেকে অর্ডার আনা হবে, কিভাবে অর্ডার নেগশিয়েট করা হবে সব করবেন মোহসিন সাহেব। ফ্যাক্টরী শুরু হল। আমি ধীরে ধীরে ব্যবসাটা বুঝার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু আমি একটা ব্যাপার বুঝি নাই যে, মোহসীন সাহেব সব কিছু আমাকে শেয়ার করেন না। আর করতেও চান না সম্ভবত। কিন্তু বছর খানেকের মধ্যে আমি আমার সমস্ত পুজি খালি করেও এটাকে টেনে তুলতে পারছিলাম না। বিভিন্ন জায়গায় এতো লোন হয়ে যাচ্ছিলো যে, আমার একসময় মনে হলো যে, আমার এ যাবত সব সিদ্ধান্ত ভুল। আমার এটা করা ঠিক হয় নাই। মোহসিন সাহেবের মধ্যে একটা উদাসীন ভাব সব সময়ই ছিলো, যেনো কনো কিছুই তাকে স্পর্শ করে না, না ওয়ার্কারদের বেতনের চিন্তা, না অর্ডারের সুরুতহাল, কোনো কিছুই না। এতার একতা কারন অ ছিলো। আর সেটা হচ্ছে, তিনি তো কোনো ইনভেষত মেন্ট করেন নাই। লস যদি হয়, তাতে ওনার কি? কিন্তু আমি তো ওনার মতো উদাসিন হয়ে শান্ত হয়ে থাকতে পারি না।
এরই মধ্যে মোহসীন সাহেব আবার ঘন ঘন তাবলিগ, ইস্তেমা ইত্যাদির সাথে এমনভাবে জড়িয়ে গেলেন যেনো ওটাই আসল কাজ, গার্মেন্টস কোনো কাজই না। ঠিক এই সময় মোহসিন সাহেব ৪০ দিনের বৈদেশিক একটা দলের সাথে চাঁদ (Chad) নামক একটি দেশে পাড়ি জমালেন। আর আমাকে একটা নোট দিয়ে গেলেন যে, জিএমসি নামক একটা বায়িং হাউজ থেকে আমরা স্কিভা নামের বায়ারদের কাছ থেকে বেশ অর্ডার পেয়েছি, সেগুলি টাইম মতো শিপমেন্ট করতে হবে। সবকিছু তিনি এরেঞ্জ করে দিয়ে গেলেন। কোনো কিছুই বাদ রেখে যান নাই। যেহেতু আমি ব্যাপারটা আগে কখনো হ্যান্ডেল করিনি, তাই ব্যাপারটা বুঝিও নাই। আমিও তাকে এলাউ করলাম। অথচ এখন গার্মেন্টের পিক আওয়ার চলছে। এ সময় যতো জরুরীই থাকুক, কোনো গার্মেন্টসের মালিক অর্ডার না কমপ্লিট করে বাসায়ও যেতে চান না, আর তিনি চলে গেলেন সুদুর চাদে। আমি যখন ব্যাপারটা একা হাতে হ্যান্ডেল করতে গেলাম তখন যা বুঝলাম যে, আমি শুধু নদীতে না, সাগরের মাঝখানে হাবুডুবু খাচ্ছি। কোনো কিছুই ঠিক নাই। ইন্টারনেট খোলা, তাই আমি মোহসীন সাহেবকে একটা মেইল পাঠালাম। মেইলটা ছিল এই রকমেরঃ
মোহসিন ভাই,
এ কয়দিন সমস্ত ব্যাপার, ডাটা এনালাইসিস করে আমি যেটা বুঝতে পারছি যে, আমি খুব একটা ভাল পরিস্থিতিতে নাই। আপনি আমার এই মেইল পাওয়ার পর অবশ্যই অবশ্যই জরুরী ভিত্তিতে সবগুলি পয়েন্টের উপর একে একে ব্যাখ্যা করবেন। ব্যাপারটা অতীব জরুরী।
ক। আপনি জিএমসির মোজাম্মেল সাহেবের বায়িং হাউজ এর মাধ্যমে যে অর্ডারগুলি নিয়েছেন, সেটার ব্রেক-ইভেন-পয়েন্টের অনেক নীচে। এফওবি প্রাইস মাত্র ২২ ডলার যেখানে আমার ফ্যাক্টরীর ওভারহেড কস্ট প্রায় ২৩ ডলার। এই অর্ডারগুলি থেকে সিএম টিকে মাত্র ৯ ডলার। বর্তমানে গার্মেন্টসে পিক আওয়ার চলছে, এবং এটা অফ সিজন নয়। সেক্ষেত্রে কি দেখে আপনি মাত্র ৯ ডলারে কাজগুলি নিলেন? যদি আপনি বলেন যে, জিএমসি এই অর্ডারগুলির মাধ্যমে আমাদেরকে সারাবছর কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেই প্রতিশ্রুতির এগ্রিমেন্ট কই? আর যদি প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর তারা যে তাদের প্রতিশ্রুতি ভেংগে আবার অন্য কোথাও অর্ডার প্লেস করবে না তার কি গ্যারান্টি আছে? আর এই সময়ে আমিই বা কিভাবে ২৩ ডলার ওভারহেড নিয়ে মাত্র ৯ ডলারের কাজ করে শ্রমিকদের বেতন ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি সামাল দেবো?
খ। আপনি তাবলিগে যাওয়ার সময় আমাকে যে নোটটা দিয়ে গেছেন, সেখানে আপনি ক্লিয়ারলি লিখেছেন যে, গার্মেন্টস রিলেটেড সমস্ত ব্যাক টু ব্যাক, এক্সেসরিজ, এপ্রোভাল, স্যাম্পল সবকিছু ওকে করেই আপনি তাবলিগে গেলেন, কিন্তু এখন আমি দেখতে পাচ্ছি যে, না কোনো স্যাম্পল এপ্রোভাল করা আছে, না কোনো এক্সেসরিজের ফয়সালা দেয়া আছে। এলসি মোতাবেক আমাদের শিপমেন্ট তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০০৭, আর এখন ২০ মে ২০০৭, তারপরেও কোনো কিছুই আমি সমাধান করতে পারছি না। সেক্ষেত্রে আপনি আমাকে এই ধরনের একটা মিথ্যা ঝুকির মধ্যে রেখে তাবলিগে গেলেন কেনো? আর এর মধ্যে আমিই বা আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে ওয়ার্কারদের বেতন দেবো কিভাবে? আপনি কি জানেন না, এখন গার্মেন্টস সেক্টরে ওয়ার্কারদের কি তান্ডব চলছে?
গ। জিএমসির মোজাম্মেল আমাকে জানালো যে, এই অর্ডারের তাদের কমিশন ৪৯৫০০০ টাকা। আর সেটা অর্ডার শিপমেন্ট হোক বা না হোক, আগেই তাদের পে করতে হবে। এটা কোন ধরনের সিস্টেম? যেখানে আমি শিপমেন্টই করতে পারছি না, সেখানে মোজাম্মেল সাহেব প্রতিনিয়ত তাদের কমিশনের জন্য গন্ডোগোল করছে? আমি কি শিপমেন্ট করেছি মাল? যদি বায়ারদের কাছ থেকে টাকাই না পাই, আমি মোজাম্মেলকে কমিশনের টাকা দেবো কোথা থেকে?
ঘ। মোহসীন ভাই, আমি ব্যাংকে গিয়েছিলাম গতকাল। ওখানে গিয়ে দেখলাম যে, আপনি কোনো একটা এক্সেসরিজ কোম্পানির নামে ২০ হাজার ডলারের এক্সেসরিজের ব্যাক টু ব্যাক দিয়েছেন। আমি যখন তাদেরকে ফোন দিলাম, কেউ কোন রিস্পন্স করলো না। পরবর্তীতে আরো অনুসন্ধান করে দেখলাম যে, জিএমসির এমডি মোজাম্মেলকে আপনি ইতিমধ্যে ৪৯৫০০০ টাকা কমিশন দিয়েই দিয়েছেন (?), তাহলে আর বাকী টাকাগুলি কই? যাদের নামে আপনি ব্যাক টু ব্যাক করেছেন, ওই নামের কোনো সংস্থার অস্তিতই নাই। এটা কিভাবে সম্ভব? আপনি যখনই আমাকে কোনো ব্ল্যাঙ্ক চেক সাইন করতে বলেছেন, আমি সেটা অতি বিশ্বাসের উপর কোনোদিন সন্দেহ অনুভব করি নাই কেনো ব্ল্যাঙ্ক চেক সাইন করবো। অথচ আজ দেখলাম যে, তারা আমার এই চেকগুলি দিয়ে এখন সবাই টাকার জন্যে হন্যে হয়ে আমার অফিসে ছুটছে। কি করে এ কাজটা আপনি আমার পার্টনার হয়ে করতে পারলেন? আমি তো আপনাকে আপনার লস্ট ইমেজ আবার পাওয়ার জন্য একটা চেয়ারম্যানের স্ট্যাটাস পর্যন্ত দিয়েছি যেটা আপনার আপন ভাইও করবে না। তাহলে আপনি এগুলি করতে গেলেন কেনো?
চ। এসবের বাইরেও আমার আরো অনেক কিছু জানার আছে। প্লিজ, আপনি আমার সবগুলি প্রশ্নের উত্তর যতো দ্রুত পারেন, জানান। আর সেগুলি হচ্ছে- আমি আপনাকে টেন্ডেম বায়ারের সাথে এয়ার শিপমেন্ট এর ব্যাপারে সবকিছু সেটেল করে যাবেন বলে বলেছিলাম। আপনি আমাকে বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে, এ ব্যাপারে তারা আমাকে নক করবে না। এতা তো পুরুতাই মিথ্যা কথা। আজ আমি আমার অফিসে ওদের এয়ারওয়ে বিল না পাওয়ার কারনে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। টেন্ডেম বলেছে, এ ব্যাপারে আপ্নার সাথে ওদের কোনো কথাই হয় নাই। কেনো এসব মিথ্যা কথা বলেছেন আমাকে?
ছ। আরএমএম এর মতো ভালো একটা কোম্পানির সাথেই বা আমরা এমন ব্যবহার কেনো দেখালাম যেখানে ওরা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে সাহাজ্য করে যাচ্ছে? রায় ভাই আর মাহিন ভাই তো আমাদের বন্ধুর মতো। তো তাদের সাথে এ রকম একটা ফলস কন্ট্যাক্ট শো করে ব্যাংক থেকে তাকা নেয়ার কি দরকার ছিল? কি মনে করছে তারা এখন? আপনি না ইসলামের নীতিকথা বলেন, তাহলে এখন আবার এসব কেনো? কাকে খুসি করার জন্য সুদুর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ইসলাম প্রচার করতে গেলেন চাদে? কি প্রচার করবেন ওখানে গিয়ে? নীতি নাকি দূর্নীতি? পোল্যান্ডের বায়ার লিঞ্জেন গার্ল এর মালিক টম এতো খারাপভাবে কেনো আমাদের ফ্যাক্টরী সম্পর্কে কথা বলবে? টম তো ভালো মানুষ। সেতো আমাদেরকে ভালো দামেই অর্ডার প্লেস করেছে, আর প্লেস করেই কিন্তু টিটি দিয়েছে। তাহলে ওর সাথে আমরা এভাবে আচরন করলাম কেনো? ও তো একতা মাল ও নিতে পারছে না সুতার সমস্যার কারনে আর বুতাম লাগে না এর কারনে। এই গার্বেজ কে কিনবে এখন?
জ। আপনি তাবলিগে যাওয়ার প্রাক্কালে আগের ইয়ার্ন কন্ট্রোলার মান্নানকে বাদ দিলেন, আমাকে জানালেন না। তার পরিবর্তে ইউসুফ নামে একজনকে ইয়ার্ন কন্ট্রোলার বানালেন। কে এই ইউসুফ? তার কি কোনো জ্ঞান আছে সুতার ব্যাপারে? না সে জানে লট কি, না জানে ইনভেন্টরী কি। ইয়ার্ন কন্ট্রোলার মান্নান ব্যাংকের ওয়ালি সাহেবের আত্তীয় বলেই কি আপনি তাকে তার পোষ্ট থেকে সরিয়ে দিলেন? আর আপনি কি জানেন যে, এই ইউসুফ বর্তমানে সুতার লট এবং ইস্যু নিয়ে কি তালগোলটা পাকিয়েছে? একতা গার্মেন্টসও ঠিক লট দিয়ে করা হয় নাই। এতো গুলি পিস এখন আমি কি করবো?
ঝ। মিজান হুজুর তো আপনাকে দেবতার মতো ভক্তি করে। মিজান হুজুর তার সমস্ত তল্পিতল্পা নিয়ে একটা হালাল কাজের উদ্দেশ্যে আপনার কাছে এসেছে। তাহলে কেনো তার কাছ থেকে এরুপ লাখ লাখ টাকা নিয়ে তাকেই কাজতা দিলেন না? তিনি তো কাজের জন্যই আপনাকে টাকাগুলি দিয়েছে। কি ইসলামীক নিদর্শন দেখালেন আরেকতা হুজুরের কাছে?
ট। উলসীর আরেক মোহসিন ভাই কি আমাদের জন্য এতোটাই জরুরী যে, যেখানে আমাদের ওয়ার্কাররা কাজ পায় না, অথচ আপনি আমাদের ৩ গেজ মেশিন দিয়ে দিলেন, আবার কাজও দিলেন। কেনো? উলসির মোহসিন ভাই আপনার আত্তিয় আমি জানি, তাই বলে কি নিজের ফ্যাকটরীর ওয়ার্কারদের বাদ দিয়ে অন্য আরেকজনকে এভাবে সাহাজ্য করতে হবে? এটা আপনার ফ্যাক্টরী না? আমি অবাক হচ্ছি মোহসিন ভাই।
মনে রাখবেন, আপনার এই ছলচাতুড়ির জন্য কোনো এক সময় আপনি আপানার কপাল থাপরাবেন। এভাবে ব্যবসা হয় না। সম্ভবত আমার অনেক ভুল ছিলো। আপনি যদি পারেন, তাবলিগ বাদ দিয়ে দেশে চলে আসেন। অনেক ব্যাপার স্যাপার আছে। এমনো হতে পারে, আমি আর ব্যবসাটা চালাবো না। যা লস হবার তো হয়েছেই। কোনো না কোনোভাবে হয়ত আমি উতড়ে যাবো। কিন্তু আপনি কি এই ব্যবসায় আর দাড়াতে পারবেন?