বেশ কদিন যাবত আমি প্রিগোজিনের ক্যু এর চেষ্টা নিয়ে বিস্তর খবরাখবর পড়ছিলাম। অনেকগুলি প্রশ্নের উদয় হয়েছে। উত্তরগুলি জানা নাই তবে প্রশ্নগুলির মধ্যেই যেনো উত্তরগুলি লুকিয়ে আছে এটাই বারবার মনে হয়েছে। প্রশ্নটা হচ্ছে- প্রিগোজিন যা করেছে এটা কি ক্যু নাকি একটা গভীর ক্যামোফ্লাজের অংশ? এর কিছুটা উত্তর প্রিগোজিন নিজেই দিয়েছেন যে, সে রাশিয়ার সরকারকে উতখাত করতে এটা করেনি, মানে এটা ক্যু নয়। সে ন্যায় বিচারের আশায় মস্কোতে যেতে চেয়েছিলো যেখানে সেনাপ্রধান এবং ডিপুটি সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ।
যদি ক্যু না হয়ে থাকে, তাহলে এটা ছিলো একটা পরিকল্পিত নাটক যার পক্ষে বেশ কিছু জোরালো পয়েন্ট আছেঃ
(ক) ওয়েগনার গ্রুপ কিন্তু প্রিগোজিনের দ্বারা স্রিষ্টি নয়, না সে এর মালিক। ওয়েগনার গ্রুপ রাশিয়ান সরকারের অর্থে পরিচালিত হয়। প্রিগোজিন এর ম্যানেজারের মতো।
(খ) একটা জিনিষ খেয়াল করার মতো। প্রিগোজিন কয়েক মাস যাবত রাশিয়ান মিলিটারীর উর্ধতন কমান্ডারদের বিপক্ষে অনেক আজে বাজে মন্তব্য করার পরেও পুতিন প্রিগোজিনকে কোনো প্রকার ভতর্সনা করেন নাই, না তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এমন কি কোনো উর্ধতন কমান্ডারগনও তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার মুখ খুলেনি। এর কারন কি? সম্ভবত পরিকল্পনাটা অনেক আগে থেকেই সাজানো হচ্ছিলো। আর প্রিগোজিনের এসব উলটা পালটা মন্তব্য অনেকটা সাজানো কোনো মহাপরিকল্পনারই অংশ বলে মনে হয়। তারমানে প্রিগোজিনকে এই কাজ করতে কেউ উদ্বুদ্ধ করেছে। সেটা কে? এক কথায় যদি উত্তর দেই-এটা পুতিন।
(গ) প্রিগোজিন রোস্তভ-অন-ডন মিলিটারী হেড কোয়ার্টার, এয়ারবেস, এবং বেশ কিছু মিলিটারী স্থাপনা জাষ্ট এলো আর দখল করে নিলো। এটা কি বিশ্বাস করার মতো যে, এতোগুলি মিলিটারী স্থাপনা এতোই অরক্ষিত যে, কোনো বাধা ছাড়া কেউ দখল করে নিতে পারে? তারমানে যে, তাকে দখল করতে দেয়া হয়েছে। কোনো গুলাগুলি নাই, কোনো ক্যাজুয়ালিটি নাই, কোনো বাধাও নাই। রোস্তভ-অন-ডন এর মেইন গেটে বিশাল ট্যাংক ঢোকে গেলো। ছাদের উপরে ওয়েগনারের সৈনিক, অফিসের সামনে সৈনিকেরা এমনভাবে গোল চত্তরে অস্ত্র নিয়ে বসে আছে যেনো, কোনো লম্বা সফরের মধ্যে মাঝে একটা বিরতি। কেউ ভয়ে নাই। শুধু তাইই নয়-রাশিয়া সরকার প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে প্রায় ১২ ঘন্টা কোনো প্রকার একশানেই যায়নি। আরো মজার ব্যাপার হলো, জনসাধারনের মাঝে কোনো প্রকার ভয়ের ছাপও দেখা যাচ্ছিলো না। সবাই যেনো স্বাভাবিক কাজকর্ম করছে, ওয়েগনার সদস্যদের সাথে ছবি তোলছে, হ্যান্ডসেক করছে, চা কফি পান করছে। একেবারেই সহজ ব্যাপার মনে হচ্ছিলো। অন্যদিকে প্রিগোজিন এবং তার দুই উর্ধতন কমান্ডার রোস্তভ-অন_ডন এর সামনে গাছের নীচে রিল্যাক্স ভংগিতে যেনো কোনো একটা পুরানো রম্য ঘটনা নিয়ে গল্পে মশগুল এমনভাবে একটা ভিডিও দেখা যাচ্ছে। তারমধ্যে কোনো প্রকার দুসচিন্তার ছাপ ছিলো না যে, সে এমন একটা রাষ্ট্রোদ্রোহী কাজে লিপ্ত হয়েছে। খুব সুক্ষভাবে চিন্তা করলে আরেকটা ব্যাপার চোখে পড়বে। ঘটনাটা ঘটেছে শুক্রবার, সাপ্তাহিক ছুটির জাষ্ট আগে। শনিবার, রবিবার বন্ধ। জনসাধারন হলিডে মুডে ছিলেন। অফিশিয়াল কোনো প্যারা নাই। আবার চকলেট দেয়ার মতো সরকার সোমবারকেও ছুটি ঘোষনা করেছে। কি অদ্ভুত ব্যাপার।
(ঘ) প্রিগোজিন বক্তব্য দিয়েছে যে, সে তার বাহিনীকে নিয়ে মস্কোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে যা প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার দূরে। ওয়েগনারের মোট সদস্য প্রায় ২৫০০০। এর মধ্যে মাত্র হাজারখানেক সদস্য অংশ নিয়েছে। ওয়েগনারের আর বাকী সদস্যরা কোথায় ছিলো? এই এক হাজার সৈন্যের কিছু অংশ রোস্তভ-অন-ডনে, কিছু ভোরোনেজ এলাকায়, কিছু লিপিটস্কে মোতায়েন করে বাকী হাতে গোনা কিছুসংখ্যক সৈন্য আর গুটিকতক ট্যাংক তাও আবার পুরু খোলা ময়দানের মতো রাস্তা দিয়ে ১৩০০ কিলোমিটার দূরে ২০ ঘন্টা আল্টিমেটামে মস্কো দখল করার অভিপ্রায়। মস্কোতে প্রায় ১৫ মিলিয়ন লোক বাস করে, শত শত গ্যারিশন, মিলিটারী স্থাপনা, এইসবের কোনো ক্যালকুলেশন না করেই প্রিগোজিন রওয়ানা হয়ে যাবে মস্কোতে একটা ক্যু করার জন্য? অবিশ্বাস্য মনে হয় না এটা? তারমধ্যে ট্যাংক রিফুয়েলিং দরকার, কোনো এয়ার সাপোর্ট নাই, না আছে কোনো আর্টিলারী সাপোর্ট। প্রিগোজিন কি জানে না যে, রাশিয়ার একটা এয়ার সর্টিই যথেষ্ঠ প্রিগোজিনের ট্যাংক বহরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য। প্রিগোজিন একজন সমর অভিজ্ঞ মানুষ। তার দ্বারা এমন একটা পরিকল্পনা কি বাস্তবে যায়?
(ঙ) পুটিন তার ভাষনে বললেন-তিনি মাত্র একদিন আগে সমস্ত ডিভিশনাল কমান্ডারস, ইন্টিলিজেন্স হেড কোয়ার্টারস, ফিল্ড কমান্ডার্সদের সাথে একযোগে কথা বলেছেন (কারো কারোর সাথে সরাসরি ফেস টু ফেস, কারো সাথে ভিডিও লিংককে)। এই সময় কোনো সাংবাদিক হাজির ছিলেন না। তিনি আসলে কি কথা বলেছেন? রাশিয়ার ইন্টিলিজেন্স কি এতোটাই ঘুমন্ত যে, প্রিগোজিনের এমন একটা ক্যু তাদের কারোরই নজরে আসবে না, কোনো আগাম তথ্য থাকবে না? এটা কি হতে পারে? এখন যদি প্রশ্নটা অন্যভাবে করি যে, প্রিগোজিন নাটকটা করার জন্যই পুতিনের এই সিক্রেট দরবার করেছিলো যেখানে সব কমান্ডার্স, ওয়েগনার গ্রুপ, ইন্টিলিজেন্স ডিপার্ট্মেন্ট সবাইকে অনবোর্ড করা এবং প্রিগোজিন নিজেও একটা ভূমিকার অংশ!! এখানে মনে রাখা দরকার যে, প্রিগোজিন এবং পুতিন তারা বাল্যকালের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারমানে ধরে নেয়া যায়, এখানে পুতিন থেকে শুরু করে সবাই যার যার অংশে একটা রিয়েল অভিনয় করেছে। স্টেজ মেনেজমেন্ট এন্ড গুড রিহার্সড। প্রিগোজিন সেটাই করেছে যেটা পুতিন তাকে করতে বলেছে। নাটকের স্ক্রিপ্ট অনুসারে প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে ইমিডিয়েট ট্রিজনের মামলা দেয়া হলো। কিন্তু তাকে কিছুতেই এরেষ্ট করা হলো না। অতঃপর, দিনভর লোক দেখানো পর্দার আড়ালে বসে বেলারুশ প্রেসিডেন্টের একটা অনুরোধে প্রিগোজিন এমন একটা রাষ্ট্রোদ্রোহী কাজ থেকে হুট করে ব্যাক করলো, ওয়েগনার সদস্যদের ইমিডিয়েট সব জায়গা থেকে সরিয়ে নেয়া হলো। একবার কি মনে আসে না যে, বেলারুশ যেটা কিনা রাশিয়ার ট্রাষ্টেড বন্ধু, সেখানে এসাইলাম নেয়া কি প্রিগোজিনির জন্য বোকামী নয় যদি আসলেই এটা স্টেজ মেনেজড না হয়? বেলারুশ প্রেসিডেন্ট হচ্ছে একটা মাস্ক কাম অপারেশনের বৃহৎ পরিকল্পনার আরেক চাপ্টার। একটা পয়েন্ট মনে রাখা দরকার যে, ওয়েগনার এবং প্রিগোজিন খাস রাশিয়ান এবং তাদের দেশপ্রেমিক মনোভাবে কারো কোনো মতৈক্য নাই। যাক সে কথা। একটা ক্যু হবে অথচ কোনো কিছুই ধংশ হবে না, এতে তো মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, সন্দেহ আসতে পারে। তাই এই নাটকে কয়েকটা হেলিকপ্টার এবং ট্যাংকও বিনাশ দেখানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কিন্তু কেউ কারা এই ক্রাসড হেলিকপ্টারে ছিলো সেটার নাম জানা যায় নাই। এরমানে এসব টার্গেটেড ট্যাংক এবং হেলিকপ্টার ছিলো রেডিও কন্ট্রোল্ড। এর ভিতরে কোনো পাইলট কিংবা ট্যাংকের লোকই ছিলো না। সোস্যাল মিডিয়া, কিংবা ফেক নিউজ সার্ভ করার মাধ্যমে এই নাটকটা আরো বাস্তব রুপ দেয়া হয়েছে।
(চ) এখানে আরো একটা পয়েন্ট না বললেই নয় যে, প্রিগোজিন যে কমান্ডারদের নামে অভিযোগ করতে এবং ন্যায় বিচার পেতে মস্কোতে যাচ্ছিলেন, তাদের ব্যাপারে আজো কোনো তদন্ত হচ্ছে না কেনো? অথবা তাদেরকে ইমিডিয়েট দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার তো করা উচিত। প্রিগোজিনের এমন একটা ক্যু প্লেনের কিছুই না জানার কারনে রাশিয়ার খোদ ইন্টিলিজেন্স বাহিনী প্রধানকে কোনো কৈফিয়ত চাওয়া হলো না?
(ছ) যখন প্রিগোজিন তার ভূমিকা পালন করছিলেন রোস্তভ-অন ডনে, ঠিক তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিনিষ্ট্রি অফ ডিফেন্সের ডিপুটি। কেনো? ধোয়াশা মনে হচ্ছে না? ক্যু হচ্ছে, অথচ মিনিষ্ট্রি অফ ডিফেন্সের ডেপুটি সেইখানে ক্যু লিডারের সাথে কফি পান করছেন। একেবারেই যায় না।
(জ) প্রিগোজিন এখন বেলারুশ যাবেন, তার মামলা তুলে নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হলো, কিন্তু মামলা এখনো তুলে নেয়া হয় নাই। প্রিগোজিন কেনো এতো বিশ্বাস করছেন পুতিনকে যে, প্রিগোজিনের সব পরিকল্পনা বাতিল করলে মামলা না তোলা পর্যন্ত সে স্থান ত্যাগ করবে? কারন প্রিগোজিন জানেন, এগুলি কিছুই না।
প্রিগোজিনের এবারের এসাইন্মেন্ট বেলারুশিয়ান পিএমসিকে প্রশিক্ষন দেয়া। এটা প্রিগোজিনের জন্য কোনো নির্বাসনও নয়, ভেকেশনও নয়। একটা বিশাল দায়িত্ব। আর হয়তো পুতিন এটাই প্রিগোজিনের কাছ থেকে চাচ্ছেন। তার পরবর্তী টার্গেট হয়তো পোল্যান্ড এবং সার্বিয়া। প্রিগোজিন তো আগেই একবার ওয়াদা করেছিলো যে, সে পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনের মধ্যে একটা ভাঙ্গনের রুপরেখা দিবেই। এবার হয়তো সেইটার পরিকল্পনা করা হলো তাকে বেলারুশ পাঠিয়ে। ওয়েগনার গ্রুপ পোল্যান্ডকে এমনভাবে এজিটেটেড করবে যাতে পোল্যান্ড বেলারুশকে অথবা ইউক্রেনকে আক্রমন করে। যদি বেলারুশকেই পোল্যান্ড আক্রমন করে, ইতিমধ্যে পুতিন বেলারুশে নিউক্লিয়ার ঘাটি স্থাপনা সম্পন্ন করে ফেলেছেন। পোল্যান্ডের জন্য কাজটা সহজ নয়। অংকটা মিলে যাচ্ছে প্রায়।
(ঝ) এখানে কয়েক মাস আগের রাশিয়ার একটা ক্যামোফ্লাজ মুভের উদাহরন টানা যেতে পারে। দক্ষিন ইউক্রেনে যখন ইউক্রেন অফেন্সিভ অপারেশনের পরিকল্পনা করছিলো, তখন রাশিয়া একটা ‘দাবার গুটি’ চেলেছিলো যে, রাশিয়া হটাত করে তার উত্তর সেক্টর থেকে তাদের ইউনিটসমুহ উইথড্র করে ইউক্রেনের আক্রমন ঠেকাবার জন্য রাশিয়ার দক্ষিন সেক্টরে মোতায়েনের জন্য সরে আনার ভান করে। যা কিনা ন্যাটো কিংবা ইউক্রেন ভাবতেই পারে নাই রাশিয়া এটা করবে। কিন্তু আরো বিস্ময় অপেক্ষা করছিল ন্যাটো এবং ইউক্রেনের জন্য যে, রাশিয়া তার সেই উত্তর সেক্টরের ইউনিট সমুহকে দক্ষিনে যাচ্ছে বলে একটা ফেক মুভ দেখিয়ে পুনরায় উত্তরেই গতিপথ পালটে পুরু ইউক্রেন বাহিনীকে এন্সার্কেল করে ফেল্লো। কিন্তু ততক্ষনে ইউক্রেনের হাতে আর কোনো সময় ছিলো না। ইউক্রেন চরমভাবে পরাস্ত হয়ে ভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
(ঞ) ক্যু বা ট্রিজনের আবরনের প্রতিরক্ষা হিসাবে রাশিয়া তার বিশাল সামরিক বাহিনীকে ন্যাটোর অগোচরে উত্তরে, ভোরোনেজের পশ্চিমে এবং বেলগোরোদের উত্তরে মোতায়েন করে সব বাহিনীকেকে ডিস্পার্স করে বর্ডারে নিয়ে এলো। নতুন অক্ষে ফোর্স মোতায়েন করা হলো এবং ন্যাটোকে রাশিয়া এই পরিকল্পনা বুঝতেই দিলো না। এমনিতেই এই অঞ্চলে রাশিয়ার বিশাল সামরিক মুভমেন্ট ন্যাটো কিংবা পশ্চিমারা কোনোভাবেই সহজ করে নেবার কথা না। তারমানে কি এটা বলা যায় যে, এটা Cover a redeployment of Russian Troops?
(ট) এই নাটকে আরো একটা রেফারেন্স টানা হয়েছে-১৯১৭ সালের বলসেভিক মুভমেন্টের। প্রায় হাজার বছর আগের ইতিহাস এবং সেই জিওগ্রাফির রুপরেখা টানা। কেনো? আসলে এই মেসেজটা প্রিগোজিনির ট্রিজনের বা ক্যু এর মধ্যে পড়ে কি? এটা আসলে সেই বার্তা- যা ওডেসা রিজিয়ন, সাউথ অফ আর্ক, কিয়েভ, সুমি, এবং খারকিভকে উদ্দেশ্য করেই বলা। আপাতত খারকিভ তার টার্গেট। কে জানে বেলারুশে যাওয়ার প্রাক্কালে সেই আগের ‘দাবার গুটির’ চালের মতো বেলারুশ না গিয়ে হটাত ইউ-টার্ন নিয়ে ওয়েগনারের দল খারকিভ অপারেশনে নিমগ্ন থাকবে?
(ঠ) আরেকটি কথা শোনা যাচ্ছে যে, প্রিগোজোনি এই নাটকটা এমনভাবে অভিনয় করেছে যে, সম্ভবত সে এখান থেকে পশ্চিমাদের কাছ থেকে বড় অংকের একটা লাভ বা উৎকোচ গ্রহন করেছে। এটা প্রিগোজিনের পক্ষে করা সম্ভব। হয়তো এটা পুতিন নিজেও এলাউ করেছেন। এর পিছনের ব্যাখ্যা হচ্ছে-পশ্চিমারা দাবী করছে যে, তারা প্রিগোজিনির এই ক্যু সম্পর্কে অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে জানতো। এর অর্থ, প্রিগোজিন পশ্চিমাদেরকেও ধোকা দিয়েছে হয়তো।