Categories
বড্ড মন খারাপ হচ্ছে আজ। আমি সব সময় মানুষ চিনতে শুধু ভুলই করি। যাকেই আপন মনে করি, সেইই আমাকে ঠকিয়ে গেছে। সেটা মোহসিন থেকে শুরু করে তারিক, রানা, মুবীন, রউফ কিংবা আমার বর্তমান পার্টনার অবধি। আমি যদি একটু সতর্ক হতাম, তাহলে আমি যে টাকা পয়সা আয় করেছিলাম, সেটা ভুল পথে কিংবা অতি উদাশিন না হতাম, তাহলে আজ আমার হাতে কম করেও হলে কয়েক কোটি টাকা ক্যাশ থেকে যেতো। যাই হোক, এবার আর নয়, ব্যবসা যেটুকু আছে, এখন আমাকে সেখানেই থামা দরকার। কাউকেই আর বিসসাস করা মানে আমার হাত শুন্য হয়ে যাওয়া। এটা আর করা যাবে না। মা ইন্ডাস্ট্রিজ বিক্রি করে দিচ্ছি। এই সম্পদ থেকে যেটুকু পাবো, সেটা এবার হবে ক্যাশ ডিপোজিট। আর কোনো ব্যবসা নয়। আজ আমার আরেক প্রকারের অভিজ্ঞতার জন্ম হলো। মুর্তজা ভাই আমাকে বললেন যে, রিভার সাইডের সেকেন্ড ইউনিট করতে চান কিন্তু একা। অথচ আমি লোনের ভাগিদার অথচ শেয়ারের ভাগিদার নই। একটু অবাক হয়েছি। আমি অবশ্য ঊনাকে বলেছি যে, এটা কি যুক্তিযুক্ত কিনা। আমি বুঝতেছি যে, ঊনি আর আমার সাথে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন না। আমিই হয়ত একটু ব্যতিক্রম। দেখি, আমি যদি মা ইন্ডাস্ট্রিজ বিক্রি করার পর যদি দেখি যে, হাবীব ভাইয়ের লোন, সোনালি ব্যাংকের লোন, রানাদের টাকা এবং অন্যান্য লোন সেস হয়ে যায়, তাহলে আমি ধীরে ধীরে রিভারসাইড থেকেও আস্তে আস্তে সরে যাবো। আমি জানি যে, যে মুহুরতে আমি রিভারসাইড থেকে সরে যাবো, ঠিক সেই মুহুরত থেকে এই হাস্নাবাদে অন্তত খুব ঠান্ডা পরিবেশে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। হতে পারে এই ব্যাপারটা আন্দাজ করতে পারছেন না। বেশি কিছু না, জাস্ট ব্যালেন্স এক কোটি টাকা আমার হাতে থাকলেই আমি একেবারে ঠান্ডা মাথায় সরে যাবো। ব্যাপারটা বুঝানো দরকার। ইজি নয় কারো জন্য। আমার নামের যে ইমেজটা আছে, এই ইমেজেই অনেকে ফায়দা লুটে নিচ্ছে। এবার যুদ্ধ আমার সাথে আমার। অন্তত আমি চাই আমি নিজের জন্য বাচবো। ২৮/১/২০১৮