২৮/১০/১৯৮৭-উপধিন্যকের বাসায় যাওয়া

আমার অবস্থাটা খুব খারাপ। একদিকে মানষিক চাপ, অন্য দিকে ইউনিটের থেকেও অনেক চাপ। আমাকে ব্যস্ত রাখার সব ধরনের কৌশল সিও এবং উপ অধিনায়ক আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছেন। আমার কোনো স্বাধীনতা নাই, রেষ্ট করার সময় নাই, ডিউটি আর ডিউটি। দিন রাত অযথা ডিউটি। কোনো কাজ না থাকলেও কোনো না কোনো একটা কাজে আমাকে লাগিয়েই রাখা হচ্ছে।

আজ আমি উপ অধিনায়ক রফিক স্যারকে তার বাসায় গিয়ে দেখা করলাম। ভাবী দরজা খুললেন। বেশ স্মার্ট মহিলা। সম্ভবত মাথায় একটু কম চুল। তাই উপরে খোপা করেন। আমি স্যারের সাথে চা আর সিগারেট খেতে খেতে বললাম, স্যার আমি এপেন্ডিক্স জে দিতে চাই। এপেন্ডিক্স জে হচ্ছে সেচ্ছায় অবসর গ্রহনের একটি তরিকা। মেজর রফিক খুব চালাক লোক, তিনি মনে করেছেন, আমি হয়ত এমনিতেই ভয় দেখানো জন্য তাকে এটা বলতে এসেছি।

তিনি সাথে সাথেই বললেন, তুমি যদি এপেন্ডিক্স জে দাও, আমি ১ মাসের মধ্যে সেতা এপ্রোভ করিয়ে তোমাকে সাহাজ্য করতে পারি। আমি তার চালাকি বুঝি নাই কিন্তু আমি তো মনে মনে এতাই চেয়েছিলাম যেনো আমি এপেন্ডিক্স জে এর মাধ্যমে আর্মি থেকে বের হয়ে যাই।

খুব আনন্দের সাথে তার বাসা থেকে বের হয়ে এলাম। এসে এপেন্ডিক্স জে এর কপি একটা কোথা থেকে পাওয়া যায় সেটা খুজতে থাকলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *