২৯/১০/১৯৮৬-হালকা হওয়া

১১ কার্তিক ১৩৯৩

সারাদিনের পরিস্রমের পর সন্ধা হলেই গোসল করার পর একটু “হালকা” হয়ে যাবার ইচছে করে। আর এই “হালকা” Period এ ইদানিং মিতুলকে নিয়ে বেশ চিন্তা করছি। এই মুহূর্তে আমি একটু “হালকা” র মধ্যে আছি এবং মিতুলের সাথে কথা বলতে ইচছে করছে। কিন্তু দেখা হলে কি কথা বলব? এটাকে বলে সঙ্গদোষ। মানুষের সাধারন প্রবৃত্তি হচ্ছে, সে সহজেই এমন কিছু সঙ্গ দোষের কারনে নিয়মিত হয়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে এটা ব্যক্তিগত, সামাজিক জীবনে চরম অবক্ষয় ডেকে আনে। আমার উচিত হচ্ছে না এই অফিসারদের সাথে সঙ্গ দোশের কারনে এমন কিছু করা যা আমার দ্বারা শোভা পায় না। নষ্ট হয়ে যাওয়া খুব সহজ কিন্তু ভালো হতেও পয়সা লাগে না। আমাদের উচিত ভালো কিছু করা। বিখ্যাত কোনো মিনিষির উক্তিকে ভুল্ভাবে ব্যাখ্যা করে তাকে নিজের জন্য কাজে লাগানো কোনোভাবেই উচিত নয়। তাতে লাভ হয় না। বরং ক্ষতিটাই বেশি। 

মিতুল তোঁমাকে বলছি, তুমি ইদানিং কেমন করে দিন গুলো কাটাচ্ছ?  নিশ্চয়ই তুমি আমার চিঠি পাবার আশায় আছ, নিশ্চয়ই টিভি দেখে অথবা মাঝে মাঝে গান শুনে। আর হয়তো মাঝে মাঝে আমার নাম লিখে শতবার মুছেমুছে।  আমি আসলে আমার অবস্থাটা কল্পনা করেই এই মন্তব্যটা করছি। আমি কি মেয়েটার প্রেমে পড়েছি? না দেখে তো একবার কার্লার প্রেমে পড়েছিলাম। সেই প্রেমের শেষটা জানি কি হয়েছিল? আমি আসলে মেয়েদেরকে বুঝতে পারি না। আকাশে চাঁদ উঠলে ওরা কবিতা আর শুনতে চায় না, ব্রিষ্টির দিনে সারা শরীর ভিজিয়ে গোছল করতে চায় না, অর্থওয়ালা ছেলে ওদের বেশ পছন্দ, আমি ধনী নই, আমার বাবা নাই, আমি একজন নিতান্তই সাধারণ ঘরের ছেলে। আমাকে পাবার জন্য অনেক সাধনার প্রয়োজন নেই, আমাকে পাবার জন্য শুধু হৃদয়টাই দরকার। আছে কি তোমার সেই হৃদয়?