২৯/১১/১৯৯৫-আমেরিকায় সেল

Categories

একটা মজার কথা না বললেই হচ্ছে না। আজ প্রায় ১৫ দিন পার হয়ে গেলো আমি ভাইয়ার বাসায় আমেরিকাতে এসেছি। এর মধ্যে অনেক জায়গায় গিয়ে অনেক পদের মার্কেটিং করছি ভাবিকে নিয়ে। বেশীরভাগ মার্কেটিং করছি কসমেটিক্স আর কিছু নিত্য ব্যবহারের জিনিষ। যখনই আমি ঐ যে এয়ারপর্ট থেকে পাওয়া কার্ডটি দিচ্ছি, সবাই খুব অবাক হচ্ছে। কারন এই কার্ডধারী খুব একজন সাধারন মানুষ হতে পারে না। যতোবারই কার্ড তা দেখিয়েছি, আমি লাইনে থাকা মানুষ গুলির মধ্যে প্রাইয়োরিটি পাচ্ছি, আর কোনো প্রকারের ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হচ্ছে না। এখানে প্রায় ৩০% ট্যাক্স দিয়ে সব কিছু কিনতে হয়। এর মানে আমি যদি ১০০ ডলারের একটা জিনিষ কিনি, আমাকে পে করতে হবে ১৩০ ডলার। কিন্তু আমার বেলায় ১০০ ডলারের জিনিষ ১০০ ডলারই। দারুন একতা ব্যাপার। এতা যখনই ভাইয়ার ক্লজ বন্ধু বান্ধবদের কাছে জানাজানি হয়ে গেলো, অনেকেই আমার এই কার্ড ব্যবহার করে অনেক মার্কেটিং করে নিলো। আমারো খুব ভালো লাগছিলো যে, আমি অন্তত একটা ব্যতিক্রমী জিনিষ উপহার দিতে পারছিলাম।

আরেকটি জিনিষ আমার কাছে খুব অবাক লাগলো যে, প্রায় সারা বছরই আমেরিকার দোকানগুলিতে "সেল" লেগেই থাকে। "সেল" মানে হচ্ছে ডিস কাউন্টে কোনো কিছু ছেড়ে দেওয়া। হিড়িক পড়ে যায় তখন। আবার এমন হয়েছে যে, গতকাল আমি একটা জিনিষ কিনেছি, কিন্তু সেল" হয়েছে আজ থেকে ঐ আইটেমটার উপর। আমি যদি গতকালের রিসিপ্ট নিয়ে ঐ দোকানে যাই, তারা আবার আজকের দিনের "সেল" এর হিসাব ধরে টাকা হিসাব করে আমাকে বাকী টাকা ফেরত দিবে। কি তাজ্জব ব্যাপার এই দেশে। শুধু তাই না। আরো একতা মজার কাহিনী চোখে পড়লো যে, প্রায় ১৫ দিন আগে কেউ একটা শার্ট বা প্যান্ট কিনে নিয়ে গেছে, ব্যবহার করেছে, ১৫ দিন পরে এসে দোকানে বল্লো যে, আমার এই শার্ড় টা আর ভালো লাগছে না, আমি ফেরত দিতে চাই, ওমা, তারা সব তাকা ফেরত দিয়ে দিচ্ছে আবার "সরি" ও  বলছে যে, জিনিষটা ক্রেতার পছন্দ হয় নাই বলে। বাংলাদেশ হলে বাঙ্গালীরা সারা বছর খালী এভাবে মাগনা মাগনা কিনতো আর বদল করে করে নতুন জিনিষ নিয়ে আবার বদল করতো। এটা আমেরিকা। কোনো যুক্তি ছাড়া এরা দুই নম্বরী করে না।