২৯/২/২০২৪-নতুন ইউরোপ  

ইউরোপে আভ্যন্তরীন একটা অসচ্ছ এবং খুব জোরালো যুদ্ধ চলছে নিজেদের মধ্যে যেখানে পশ্চিমারা একটা নতুন ইউরোপের স্বপ্ন দেখছে এবং কাউকে সেই স্বপ্নটা দেখাচ্ছেও। ইউরোপের এই নতুন উত্থাপনে মুলত লিড দিচ্ছে প্রকাশ্যে পোল্যান্ড এবং তার সাথে আরো তিনটা বাল্টিক দেশ যারা প্রকাশ্যে রাশিয়ার বিপক্ষে নিজেদেরকে দাড় করিয়ে এটাই মুলত প্রমান করতে চাইছে যে, তারা বেশ শক্তিশালী ইউনিয়ন। পশ্চিমারাও সেই বাল্টিক দেশগুলিকে দিয়ে এটাই প্রমান করাতে চাইছে যে, তাদের মাধ্যমে রাশিয়াকে দূর্বল করা সম্ভব যা জার্মানি বা ফ্রান্স পারে না। তাতে জার্মানির কিংবা ফ্রান্সের ইনফ্লুয়েন্স বর্তমান ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে তাদের মোগলগিড়ির ভাটা পরবে। এই নতুন ইউরোপের চেহাড়া যাকে হয়তো বলা যায় ‘বাল্টিক ন্যাশনস ইউনিয়ন’  ধীরে ধীরে কিন্তু ফুটে উঠছে ইউরোপের ভিতরেই। কিন্তু এটা কি আসলেই সম্ভব? পোল্যান্ড কিংবা বাকী বাল্টিক দেশগুলি কখনোই ইউরপিয়ান ইউনিয়নকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না যেমন গাধা কখনো ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। রাশিয়াকে যেমন পশ্চিমারা আজিবন শত্রু মনে করে, তেমনি, পশ্চিমারা জার্মানি এবং ফ্রান্সকেও তাদেরকে শত্রুই মনে করে। উপরে উপরে হয়তো ইউরোপিয়ান ইউরপিয়ান ভাব ধরে সবাই একই নৌকায় বসে আছে কিন্তু এই আরহিদের মধ্যে সবাই সবার ভালো চায় না।

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে-না জার্মানী না ফ্রান্স এই নতুন ইউরপীয়ান চেহারায় কাউকে নতুন মোড়ল ভাবার অবকাশ দেবেনা। যখন নিজেদের সার্থের মধ্যে কঠিন আঘাত আসে, তখন ইউনিটি বলতে কিছু থাকে না। তখন সেই ইউনিটি ভাঙ্গতে বাধ্য। কেউ যখন একবার প্রতারিত হয়, সেটা হয়তো ‘শিক্ষা’ কিন্তু যখন কেউ দুইবার প্রতারিত হয় সেটা স্টুপিডিটি, কিন্তু কেউ যখন তিনবার প্রতারিত হয়, সেটা ‘স্টাবর্ন’ হিসাবে দেখা হয়। পুরানো ইউরোপ কখনোই ‘বাল্টিক ন্যাশন’ হিসাবে নতুন ইউরোপকে দেখতে চাইবে না কখনো। কেননা গাছ কোনদিন কুড়াল মার্কায় ভোত দিবে না, যে কূড়াল ব্যবহার হবে সেই গাছ কাটার জন্যই।

চোরদের মধ্যে কোনো “অনার” কাজ করে না।