গিলাতলা, খুলনা।
খুলনায় এলাম ওএমটি কোর্স করতে। এটা বেসিক্যালি গাড়ির কোর্স। ড্রাইভিং, রক্ষনাবেক্ষন, ইত্যাদি। সবই গাড়ি রিলেটেড। এ এস সি সেন্ট্রা এন্ড স্কুলে হয় এটা। অনেকগুলু কোর্সম্যাট। লেঃ আলমাস (আর্টিলারী), লেঃ সাকির, লেঃ আসফাক (ইষ্ট বেঙ্গল), লেঃ এনাম (সিগন্যাল), লেঃ সাইফ (ইষ্ট বেঙ্গল), আমি, লেঃ তোহা (১২ লং ইষ্ট বেঙ্গল), ৯ লং কোর্সের লেঃ জাহিদ স্যার এবং আরও অনেকে। কখনো খুলনায় এর আগে আসিনি। প্রায় মাস তিনেক থাকব। মেজর মোশাররফ স্যার আমাদের কোর্স ওআইসি। ক্যা; রেজা কোর্স কোর্ডিনেটর। এখানে সেনানীবাসটি খুব সুন্দর। খুলনা শহর থেকে বেশ দূরে। পাশ দিয়ে হাইওয়ে চলে গেছে। একদিকে একাডেমিক ভবনসমুহ, অফিসার মেস, আর রাস্তার উত্তর দিকে বিশাল ট্রেনিং গ্রাউন্ড। একটা জু আছে। ঘোড়া আছে আস্তাবলে অনেকগুলি। এখানকার কমান্ডেন্ট ব্রিগেডিয়ার আব্দুর রব। শুনেছি ওনার বাড়ি নাকি আমাদের কেরানিগঞ্জে। খুলনায় ওএমটি (অফিসার্স মেকানিক্যাল এন্ড ট্রান্সপোর্ট কোর্স) কোর্সে আসার একটা মজার কাহিনি আছে। কাহিনীটা আর যাই হোক, আমার কাছে বেশ হাস্যকর মনে হয়েছে। তবে ঘটনাটা একটু খুলেই বলি।
আমার সিও হচ্ছেন কর্নেল খাইরল আলম (৪১ তম পাকিস্থানি ব্যাচ), অনেক সিনিওর মানুষ কিন্তু সোজা সাপটা এবং বেশী জ্ঞ্যান রাখেন বলে আমার কাছে মনে হয় নাই। আমাদের যে টুআইসি (মেজর রফিকুল হাসান), সে সিও সাহেবকে কাবু করতে বেশিক্ষন সময় নেয় না। যেহেতু সিও সাহেবের জ্ঞ্যানের একটু আধটু ঘাটতি আছে, সেহেতু টুআইসিকে সিও সাহেব জমা দিয়েই চলেন। আর সেই সুবাধে, টুআইসি সাহেব মাঝে মধ্যে সিও সাহেবের থেকে এক্ত বেশী স্মার্ট ভাব নিয়ে অন্যান্য অফিসারদের উপর খরগ চালাতে দ্বিধাবোধ করেন না। আমার আবার এই একটা জায়গায় মানতে অসুবিধা। ইউনিটে অনেকগুলু গুড়া গাড়া অফিসার আছি (আমি, ৮ লং কোর্সের সাহাব স্যার, অনেক সিনিওর মেজর সওকাত স্যার, খলিল স্যার, সালেহ স্যার, এহসান, মুনির, ওমর আর অনেকে)। শওকাত স্যার আর খলিল স্যার আবার কোর্স ম্যাট। সালেহ স্যার আবার অনেক ভাল জায়গা থেকে পোস্টিং এসেছেন, সুতারং এদেরকে স্পর্শ করা আমাদের সিও অথবা টু আই সি সাহেবের মুরুধ কম। সব পাঠার বলি আমরা যারা জুনিয়র। ঠেলা সামলাও।