৩০/০৪/২০২০-গাছতলায় বইসা সংসার হয়না

আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষের একটা প্রবনতা আছে (বদ না ভাল সেটা বলতে চাই না), আর সেটা হল, কোনো একটা ব্যাপারে কেউ যদি মিডিয়াতে, বা টকশোতে ঝড় তুলতে পারে, তাহলে এর বাইরে আশেপাশে আরো বড় বড় কোনো ইস্যু যাইই হোক না কেনো, যেটার উপর ঝড় উঠলো, তো সেটা নিয়ে এমন তুলকালাম বাধাবে যে, পৃথিবীতে বুঝি ওটা ছাড়া আর কোনো ইস্যু নাই। হোক সেটা রাজনীতি, হোক সেটা কোনো চুরি, বা কোনো রোমাঞ্চকর ব্যাপার। আর মজার ব্যাপার হলো, ওটা যে কি, এটার আগামাথা না জেনে, না বুঝে, এর ইমপ্লিকেশন কি, বা তাতপর্য কি কিছুই বুঝুক বা না বুঝুক, জ্ঞানীদের মতো বিজ্ঞ বিজ্ঞ মন্তব্য না করে ছাড়বে না। ভাবখানা এই রকমের যে, সবাই সিপিডি জাতীয় উন্নততর কোনো গবেষনা প্রতিষ্ঠানের এক মহারাজ্যে তাকে কন্সাল্টেন্ট হিসাবে যখন তখন বসাইয়া দেয়া যায়। পাওয়ার ব্যাংক আর সেন্ট্রাল ব্যাংক যে এক না, এটাই হয়তো অনেকে বুঝে না। খালি ব্যাংক হলেই বুঝি টাকার সাথে জড়িত বলে ভাবে।

আজকে আমার প্রসংগটা গার্মেন্টস নিয়ে। গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে বহুত মানুষ জানেই না এর পুরু প্রোসেসটা কি, কিভাবে এর সফলতা বা ব্যার্থতা আসে। যার ফলে দেখা যায়, এই সেক্টরে বুঝি হাজার হাজার কোটি টাকা খালি বাতাসে উইড়া বেড়ায়, এই চিন্তা করে বহুত উঠতি নাদান পাবলিক বাপের বাড়িঘর বেইচ্যা, বউ এর গহনা গাট্টি বন্ধক দিয়া, বন্ধু বান্ধবদেরকে মোটা লাভের লোভ দেখাইয়া টাকা পয়সা লোনে জোগাড় কইরা ব্যবসা শুরু করে। যেহেতু এর আগামাথা কিছুই বুঝে না, অল্পদিনেই মাইর মুইর খাইয়া নাস্তানাবুদ, আর ফলস্বরূপ দেনার ভারে মাথা নুয়াইয়া মোবাইল ফোন বন্ধ কইরা চোরের মতো এদিক সেদিক হয় ঘুইরা বেড়ায় নতুবা কোনো না কোনো ফন্দিফিকির কইরা কোনো রকমে বউ ঝি ফালাইয়া বিদেশ পাড়ি মাইরা হয় ক্যাব চালায় না হয় ৭/১১ এ কাজ শুরু করে। আর দোষ পড়ে হয় শ্রমিকের, না হয় বায়ারের, না হয় সরকারের ইত্যাদি। নিজে যে একটা চুদুর বুদুর টাইপের জ্ঞানি, সেটা স্বীকার করে না। একজনে কোটি টাকা লোন কইরা একখানা বাড়ি করলো মানেই কিন্তু সে ফাইনালি বাড়ির মালিক বইন্যা যায় না। যে বাড়ি বানাইছে লোন নিয়া, সে বুঝে মাসিক কিস্তি দিতে না পারলে তার হার্টবিট কত রেটে চলে, কয়েক মাসের মাসিক কিস্তি যদি বকেয়া পইড়া যায়, তাহলে ওই বাড়িওয়ালার রাতের ঘুম হবে হয় রাজপথে না হয় কবরে। কিন্তু আশেপাশের লোক কিন্তু দেখতাছে, বেটা তো সাততালার একখানা বাড়ির মালিক। মজার ব্যাপার হইল আরেকটা, জোগালি বা রাজমিস্ত্রী যে এতো কষ্ট কইরা বাড়ি একখান বাড়িওয়ালার পক্ষে বানাইয়া দিলো, কেউ কিন্তু কয় না, জোগালির বা রাজমিস্ত্রির ঘামের রক্তে বেটা বাড়ি বানাইছে, এখন জোগালি বা রাজমিস্ত্রিরেও আজিবন বেতন দেয়া হোক। কিন্তু গার্মেন্টসের বেলায় কিন্তু এই কথা জোর গলায় কইতাছে, শ্রমিকদের রক্তে নাকি মালিকরা বড় লোক হইতাছে। আরে ভাই, দেন না একটা ফ্যাক্টরী। আপ্নিও বড়লোক হইয়া যান!! খামাখা চাকুরীর জন্য আবার ওই গার্মেন্টেই আহেন কেন?

বাংলাদেশে যতোগুলি গার্মেন্টস আছে আমি সবাইকে এক কাতারে ফেলছি না। কিন্তু যেসব গার্মেন্টসগুলি কমপ্লায়েন্স করা (অনেকে তো আবার কমপ্লায়েন্স কি সেইটাই বুঝেন না), সেডেক্স, বিএসসিআই, ইউএল, আইএসও, একর্ড, এলায়েন্স ইত্যাদি সোস্যাল কমপ্লায়েন্সগুলিতে কোয়ালিফায়েড, তাদের কথা বলছি। এইসব ফ্যাক্টরীগুলি এইসব কমপ্লায়েন্স করতেই কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এবং এসব বাংলাদেশের কোনো অথরিটি দেয় না। দেয় আন্তর্জাতীক সংস্থাগুলি। আর ওখানে ঘুষের কোনো কারবার চলে না। সব শর্তাবলী পালন করেই এইসব সার্টিফিকেট পাইতে হয়। এরা টাইমমতো বেতন দেয়, টাইমমতো বোনাস দেয়, সময়মতো ওয়ার্কিং টাইম মেইন্টেইন করে, মাতৃত্ব ছুটি, বাৎসরিক ছুটি, মেডিক্যাল লিভ, ক্যাসুয়াল লিভ, হেলথ এন্ড হাইজিন, পরিবেশ সংক্রান্ত ব্যাপারগুলি সব মেনে ব্যবসা করে। কারন কমপ্লায়েন্সওয়ালা ফ্যাক্টরীগুলি এসব বিষয়ে প্রতিনিয়ত ব্রান্ড বায়ারদের কাছে জবাব্দিহি করতে হয়। কিন্তু এর বাইরেও হাজার হাজার গার্মেন্টস আছে, যারা না এইসব কমপ্লায়েন্সের ধার ধারে, না কোনো স্ট্যান্ডার্ড মেইন্টেইন করে। ওইসব ফ্যাক্টরিগুলি না দেয় টাইম মতো বেতন, না দেয় শ্রমিকদেরকে তাদের সঠিক পাওনাগুলি। আর এইসব ফ্যাক্টরির জন্য যারা অরিজিনালি ভালো ফ্যাক্টরী তাদের বদনাম হয়। ওই যে একটা কথা আছে না, মাছ খায় সব পাখী, নাম পড়ে মাছরাংগার। ব্যাপারটা প্রায় এই রকম যে, গুটিকতক অসৎ সদস্যের কারনে পুরা সেক্টর বা ডিপার্টমেন্টের (হোক সেটা যে কোনো ডিপার্টমেন্ট, ডাক্তার, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষক, বা সরকারী কর্মকর্তা বা ব্যবসায়ী ইত্যাদি) বদনামের ভাগীদার হতে হয়। একটা উদাহরন দেই, এই যে, ঢাকার বাইরে থেকে যারা এখন ঢাকার উদ্দেশ্যে লকডাউনের মধ্যে পুনরায় ঢাকামুখী হচ্ছেন, তারা কি সবাই গার্মেন্টস শ্রমিক? আসলেই না। এদের মধ্যে আছে অন্যান্য সেক্টরের মানুষজনও যেমন পরিবহন সেক্টর, কন্সট্রাকশন সেক্টর, চা বাগান, মৎস্য সেক্টর, সাধারন শ্রমজীবি, আর আছে লম্বা ছুটি পাওয়ার কারনে বহুত সরকারী-বেসরকারী লোকজন। কিন্তু দেখবেন, ফেসবুক সয়লাব হয়ে যাবে নতুন পুরানো পোষ্ট মিলাইয়া যে, এই যে গেলো সব। গার্মেন্টস শ্রমিকেরা এইবার সারা দেশের করোনা, ধরোনা, বা সরোনা টাইপের যতো রোগ আছে সববুঝি চারিদিকে ছরাইলো। আরে ভাই, এর মানে কি এই যে, গার্মেন্টসের সব শ্রমিকেরা করোনা লইয়া ঘুরে? পরিসংখ্যানে কয়টা ধরা পরছে যে, একশত লোকের মধ্যে ৯০ টাই গার্মেন্টস শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত?

সরকার অযথা ঘুরাঘুরি করতে না করতেছেন, তারপরেও কে কার কথা শুনছেন? ঘরে আর ভালো লাগে না, ঘরে ঘরকন্নার কাজ করতে করতে অস্থির, তাই খুশির ঠেলায় একটু খামাখাই বাইরে যাই। আর এদিকে সারাক্ষন রাস্তায় যারা নিজের জীবন বিপন্ন কইরা আর্মি, পুলিশ র্যাটব এবং অন্যান্য সেচ্ছাসেবীরা হিমশিম খাচ্ছেন, তাদেরকে মিথ্যা একখান অজুহাত দিয়া ফাকি দিয়া কখনো আজাইরা বিড়ি ফুকার জন্য বাজারে, মাঠেঘাটে, অলিতে গলিতে আড্ডা মারতেছে, তাদের কোনো দোষ নাই করোনা ভাইরাস ছড়ানোর বেলায়। তারা মনে হয় স্থায়ী প্রতিষেধক লইয়া জন্ম গ্রহন করিয়াছে, তাই তারা বুক ফুলাইয়া ঘুরিতে পারে, তাতে কোনো প্রশ্ন নাই।

আরেকখান কথা না বললেই না। দুনিয়ার বিখ্যাত বিখ্যাত অনেক কোম্পানি যেমন, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, পোষাক শিল্পের নাম করা এইচ এন্ড এম, জারা, তেল কোম্পানী, আরো অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলি এই করোনার প্রভাবে দেউলিয়া হইয়া ব্যবসা পর্যন্ত বন্ধ করে দিচ্ছে, তারাও তো হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছিলো, কিন্তু এরপরেও বন্ধ হচ্ছে কেনো? যারা ব্যবসা করেন (আজাইরা ব্যবসা না, অরিজিনাল ব্যবসা) তারা বুঝতেছে কি চলছে তাদের একাউন্ট ডিভিশনগুলিতে। এটা কোনো ফুস্কার দোকান না। কিংবা মালাইকারীর দোকান না যে, মনে হইলো ২০০ টাকার মুলধন লইয়া ব্যবসায়ী হইয়া গেলাম, আর সমস্যা হইছে তো, ঘরে গিয়া আরামছে স্টার জলসা দেখা শুরু করলাম।

মজার ব্যাপার হইলো আরেকটা। সরকারের বহুত অর্থপূর্ন সিদ্ধান্তগুলিকে কিছু কিছু নব বুদ্ধিজীবিরা এমনভাবে সমালোচনা কিংবা ফেসবুকে উপদেশ দেয়া শুরু করছেন যেনো তারাই সরকারের চেয়ে ভালো বুঝে বিশ্ব অর্থনীতি, কিংবা দেশের অর্থনইতিক অবস্থা। আরে ভাই, যে গিন্নি সংসার চালায়, সে বুঝে কয় বেলার খাবার ঘরে আছে আর কয়দিন কিভাবে চলবে। আর বিকল্প কোথা থেকে কি না আসলে সামনে তার সংসার চালানো কি বিপদ। যিনি সরকার চালান, তিনি জানেন তার মাথায় কি পরিমান বোঝা লইয়া তারা ঘুমাইতে যান। কাল যখন করোনা থাকবে না, আর আপনি যখন গাড়িখানায় নিজের বউ বাচ্চা লইয়া অনেকদিন পর একটা লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য আগে তেল ভরার জন্য পেট্রোল পাম্পে যাইবেন, গিয়া দেখবেন, অকটেন, ডিজেল নাই, আবার শুরু করবেন সরকারের চৌদ্দগোষ্টি উদ্ধারের। পরশু যখন দেখবেন ফারনেস ওয়েলের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ আর বিদ্যুৎ দিতে পারবে না, তখন আবার খুশীর ঠেলায় সরকারের আটাইশ গোষ্টি শুদ্ধা উদ্দার করবেন। বিদেশে আদরের বাচ্চাটারে পরাইতে পাঠাবেন, ডলার লাগবে, কিডনী খারাপ হইয়া গেছে, বাইরে না গেলেই নয়, পগারপার হইয়া যাইবেন, বাড়ি ঘর বেইচ্যা হইলেও বাচতে চাইবেন, তাই ডলার লাগবে, নিত্যদ্রব্য কিনতে গেলেও তো বিদেশী কারেন্সীই লাগবে। কেডা দিবো এই কারেন্সী? ফরেন রেমিট্যন্স তো এখন প্রায় শুন্যের কোটায় কিন্তু সরকারকে তো এইসব কিছুই ডলার দিয়া কিনতে হয়। তাহলে এই ডলারগুলি কি আমাদের কেউ যৌতুক দিবেন সরকারকে? সরকার খুব ভালো করেই জানেন, তার কি করা উচিত। এতো বিশেষজ্ঞ সবার না হইলেই ভালো। WHO কইলো ৫ লাখ লোক নাকি মরবো আমাদের দেশে ২ মাসের মধ্যে, আরে ভাই, ওইটাও একটা রাজনৈতিক কেরামতি। দেশের ৫ লাখ লোক মইরা যাইব আর সরকার আকাশের তারা গুববো নাকি? তার চিন্তা নাই? অবশ্যই আছে। আর তারা সেটাই করছে, যা করনীয়।

যাইই হোক, এসব ব্যাপার বেশী কথা বলতে চাই না। এই করোনা অবস্থাতে যারা ভালো ফ্যাক্টরি, তারা নিজের ঘরের সদস্যদের থেকেও তাদের শ্রমিকদের ব্যাপারে অনেক বেশী খেয়াল রাখেন এবং রাখছেন। যেসব ফ্যাক্টরীগুলি সাবস্ট্যান্ডার্ড, তারা আরো ৫০ বছরেও ওই সাব-স্ট্যান্ডার্ডই থেকে যাবে। আর এর কারন হইলো এই যে, যারা অতি লোভে ব্যবসা করতে আসেন, তাদের ব্যবসা শুরু করার আগেই ক্যালকুলেটরে লাভের অংক কষতে থাকেন। তারা তো ব্যবসায়ীই না। তাদের জন্য ভালো ফ্যাক্টরীগুলির বদনাম হবে কেনো? এই তলাবিহিন রাষ্ট্রটার এখন শক্ত তলা হয়েছে শুধুমাত্র ভালো ব্যবসায়িদের সমন্নয়ে সরকারের বুদ্ধিদীপ্ত নির্দেশনার কারনেই। তাই, আমাদের উচিত না কালো বা হলদে সাংবাদিকতার খপ্পরে পইরা দেশের সতেরোটা বাজাই আর সোনার ডিম দেয়া মুরগীটারে জবাই করি। এটাও ঠিক যে, সোনার ডিম পাড়া মুরগীরে কেউ সোনার মুকুট পড়ায় না। এটা আমরা জানি। মুকুট পড়াইয়েন না, অন্তত মুরগীটারে বাচতে দেন, আপ্নারই লাভ হবে।

আরেকটা মজার কথা বলি। যারা সত্যিকারের গার্মেন্টস শ্রমিক, তারাও এই সেক্টরের জন্য বহুত টেনসনে আছেন। তারাও দুই হাত তুইল্লা আল্লাহর কাছে তাদের নিজেদের ফ্যাক্টরির জন্য আর মালিক যেনো বাচতে পারে তার জন্য নামাজ কিংবা পুজা যে যার ধর্ম মোতাবেক দোয়া করতেছে। আর যাদের আপ্নারা রাস্তায় দেখেন, তারা আসলে কোনো শ্রমিকই না। তারা হচ্ছে শীতের পাখীর মতো হটাত কইরা কিছু অসৎ মানুষের পাল্লায় পইরা ৫০/৬০ টাকার কমিশনে ঘন্টা খানেকের জন্য রাস্তায় একটা উত্তাপ ছরাইয়া দেয়া। কিছু টায়ার পুরাইয়া একটা অরাজকতার স্রিষ্টি করা। এটাই ওদের কাজ। অথচ আসল শ্রমিকেরা এর বিরোধিতাও করতে পারে না কারন তারা সত্যিই নীরিহ। ঝগড়া ফ্যাসাদে জরাইতে চায় না। কিন্তু মনে মনে ঠিকই বলে, হালার দে না আমারে এক মাসের খাবারের টাকা? তখন কিন্তু আবার তাদের পাশে নাই। তারাও নাই, মিডিয়াও নাই, আবার যারা বুদ্ধিজীবির মতো মন্তব্য করেন, তারাও নাই। এটাও হতে পারে যে, ওইসব পোলাপান ওইসব সাব স্ট্যান্ডার্ড ফ্যাক্টরী গুলিরই শ্রমিক। ভালো এবং দক্ষ শ্রমিকেরা সাব স্ট্যান্ডার্ড ফ্যাক্তরীতে কাজও করতে যায় না। যারা অদক্ষ, তারাই ওখানে গিয়া ভীড় জমায়।

যাই হোক, আসুন আমরা দেশের এই ক্রান্তিকালে যেটা ভালো সেটাই করি। তবে, হ্যা, যেহেতু করোনা ভাইরাসটি একটি ছোয়াছে রোগের মতো, তাই সবাইকেই সচেতন হইতে হবে। এটা গার্মেন্টস শ্রমিকই হোক, মালিকই হোক আর যে শ্রেনীর লোকই হোক। এটা একটা সমন্বিত সামাজিক দায়িত্ত। কারোরুই কম দায়িত্ত নয়। জীবন চলতে হবে, জীবনের জন্য জীবিকাও চালাইতে হবে। বছরের পর বছর এই ভাইরাস নাও শেষ হইতে পারে। তাই বলে কি এতো লম্বা সময় শুধু ঘরে বসে থেকে সবকিছু কারো পক্ষে সরবরাহ করা সম্ভব? তাই, আমাদেরকে বিশ্ব বানিজ্যের সাথেও তাল মিলাইতে হবে। তানা হলে সারা দুনিয়া থেকে আরেকবার এতো দূর পিছাইয়া যামু, যে, ম্যারাথন দৌড় দিয়াও লাভ হইবো না। কারন ভেনিজুয়েলা, রাশিয়া, রোমও একসময় সারা দুনিয়া মাদবরি কইরা গেছে, কিন্তু সময় আর রিসোর্সকে সঠিকভাবে কাজে লাগাইতে পারে নাই বইল্লা, তাদেরকে টপকাইয়া তৃতীয় দেশগুলি ফরফর কইরা আগাইয়া গেছে। গাছ তলায় বইসা প্রেম করা যাইতে পারে কিন্তু গাছ তলায় বইসা সংসার চলে না।

(কাউকে উদ্দেশ্য কইরা এই লেখা না, কেউ আবার মাইন্ড খাইয়েন না, নিরপেক্ষভাবে পইড়েন, হয়তো কিছুটা হলেও সম্বিত ফিররা আইতে পারে, আজাইরা কমেন্টের দরকার নাই। বুদ্ধিজিবি চাই না, বিবেকবান চাই)