৩০/০৯/২০২০-জীপগাড়ি-হাইলাক্স সার্ফ

                 

আমাদের বাসায় দুটু গাড়ি আছে। একটা এলিওন, আরেকটা নোহা। মানুষ আমরা মোট চারজন। বড় মেয়ে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নী করছে ফলে ঢাকার বাসায় আমি, আমার স্ত্রী এবং ছোট মেয়ে কনিকাই থাকি। দুটু গাড়িতে আমাদের খুব ভালোভাবেই চলে যায়। কিন্তু খুব শীঘ্রই আমার বড় মেয়ে যখন ইন্টার্নী করে ঢাকায় চলে আসবে, নির্ঘাত আমাকে আরো একটা গাড়ি কিনতেই হবে ওর জন্য। আমার ব্যবসায়ীক পার্টনার তার হাইলাক্স সার্ফ গাড়িটা বিক্রি করে তিনি আরো একটা গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করেছেন। ব্যবসায়ীক পার্টনারের এই গাড়িটা আমরা ৭৩ লক্ষ টাকা দিয়ে ২০১০ সালে কিনেছিলাম আমাদের প্রয়াত আরেক বিদেশী পার্টনার প্রিয়ান্থার জন্য। প্রয়ান্থা মারা যাওয়ার পরে আমিই বলেছিলাম মুর্তজা ভাইকে যেনো উনিই এই গাড়িটা কিস্তিতে কিনে নেন। গাড়িটা সেকেন্ড হ্যান্ড ছিলো না। ফার্ষ্ট হ্যান্ড গাড়ি ছিলো।

গাড়িটা আমার কাছে খারাপ লাগে নাই। তাই রেখে দিলাম। এই রেখে দেওয়ার পিছনে দুটু কারন ছিলো। এক, আমাকে এখুনী কোনো টাকা পয়সা দিতে হবে না। দুই, কয়েকদিন পর আমাকে আরেকটা গাড়ি কিনতেই হবে। তাহলে এখন এটা রেখে দেয়াই ভালো। ড্রাইভার নিতে হবে না কারন মিটুল এলিওন গাড়িটা নিজেই ড্রাইভ করবে, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের জন্য নোহা গাড়িটা থাকবে আর আমার জন্য এই হাইলাক্স সার্ফ গাড়িটা রইলো। গ্যারেজের সল্পতা আছে। আমাদের বাসায় সর্বোচ্চ দুটু গাড়ি পার্ক করা যায়। তাই পাশের বাসার সাত্তার সাহেবের বাড়িতে একটা গ্যারেজ ভাড়া নিতে হলো। পাশাপাশি বাসা। কোনো অসুবিধা নাই।

আপডেটঃ (২১/০৬/২০২১) 

শেষ পর্যন্ত আমি মূর্তজা ভাইকে গাড়িরটার দাম এক কালীন পরিশোধ করে দিলাম। অংকটা বলছি না তবে যা দিয়েছি সেটার বিপরীতে মূর্তজা ভাই কোনো কথা বলেন নাই। গাড়িতা মধ্যে কোনো প্রকার সমস্যা নাই। মাত্র তিনটা ছোট ছোট সমস্যা যা যে কোনো গ্যারেজে নিলেই ঠিক করে দেয়ার কথা। মূর্তজা ভাই আসলে কখনোই নাভানা ছাড়া গাড়িটা অন্য কোনো গ্যারেজে দেখাতেন না এবং দেশীয় কোনো পার্টস ও ব্যবহার করতেন না যদি লাগতো। সরাসরি জাপান থেকে পার্টস আমদানী করতেন। ফলে গাড়িটা এতো বছর পরেও কোনো প্রকার খুত ছিলো না। ছোট সমস্যা গুলি ছিলো যে, একটা অয়াইপার ভাংগা, আরেকটা রিয়ার ভিউ মিরর ফাটা। আমি আমার পরিচিত গ্যারেজে গিয়ে এটা দেখাতেই তিনি অরিজিনাল সেম গাড়ির ওয়াইপার আর রিয়ার ভিউ মিরর এনে লাগিয়ে দিলেন। আরেকটা সমস্যা কয়েকদিন পর বুঝতে পারলাম যে, পিছনের ব্যাক ডালার ওজন প্রায় এক টন, কি আছে সেখানে আমি জানি না, ওটার যে সাপোর্টার, সেটা ধরে রাখতে পারছে না। ওটা প্রায় ১০ হাজার টাকায় অরিজিনাল পাওয়া গেলো। লাগিয়ে দেখলাম দারুন কাজ করছে।  আরো একটা জিনিষ চেঞ্জ করলাম, সেটা হলো টায়ার। পুরু ৪ টা টায়ারই এক সাথে পরিবর্তন করলাম। গাড়িটা ভীষন রকমের ভালো।