ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কিভাবে কোথায় শেষ হবে এর আসলে কোনো দিক নির্দেশনা দেয়া বা বুঝা কঠিন। কারন যুদ্ধটা একপক্ষ (রাশিয়া) করছে তাঁর নিজ শক্তিতে আর অন্যপক্ষ (ইউক্রেন) করছে অন্যের বাহুবলে। ফলে খুব ধীরে ধীরে এর অন্তর্নীহিত একটা মুখোশ বেরিয়ে আসছে কথায় এবং কাজে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এন্ড ডিফেন্স কাউন্সিলর আলেক্সি ডেনিলভ প্রকাশ্যে কিছু মন্তব্য করেছেন, আমি তাঁর কথাগুলি হুবহু তুলে ধরিঃ
তিনি বলেছেন, “কালেক্টিভ ওয়েষ্ট এবং ইউরোপিয়ান প্রতিনিধিগন বারবার একটা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন যে, যতোদিন ইউক্রেনের সাহাজ্যের প্রয়োজন, ততোদিনই তারা সেটা দিয়ে যাবেন কিন্তু কেউ এটা বলছে না যে, ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয়ী না হওয়া অবধি আমরা সাহাজ্য দিয়ে যাবো। তারা বলছেন, আমরা ইউক্রেনবাসীরা জয়-পরাজয়ের কিংবা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেবো। তাই আমি জানতে চাচ্ছি আমাদের ওয়েষ্টার্ন সাপোর্টারদের কাছ থেকে যে, আপ্নারা কি আমরা বিজয়ী হওয়া অবধি সাপোর্ট দিয়ে যাবেন নাকি এটা কিছুদিন পর নিঃশেষ হয়ে যাবে? আমার এই কথা বলার পিছনে যুক্তি হচ্ছে যে, আমাদের অর্থমন্ত্রী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন কালেক্টিভ ওয়েষ্ট এবং ইউরোপিয়ান দেশসমুহ ইতিমধ্যে তাদের ট্যাক্স-পেয়ারের টাকা আমাদের আর দিতে চান না। শুধু তাইই নয়, যেখানে প্রতিমাসে আমাদের প্রয়োজন ৫ বিলিয়ন ডলার সেখানে প্রবাহ হচ্ছে মাত্র ৩০০ মিলিয়ন ডলার। জেলেনেস্কীও মনে করছেন যে, প্রতিদিন তাদের এই সাহাজ্য কমছে এবং দেশে দেশে ইউক্রেনকে সাপোর্ট করার ব্যাপারটা নেতিয়ে পড়ছে বড় একটা জনগনের মধ্যে। শুধু তাইই নয়, আমেরিকার নির্বাচনে যদি বর্তমান সরকার না আসে, সেক্ষেত্রে ইউক্রেনের জন্য আর কোনো সাপোর্ট অবশিষ্ট থাকবে বলে মনে হয় না। যদি সেটাই হয়, তাহলে মনে রাখবেন, আমাদের যেসব রিফুজি আপনাদের দেশে দেশে অবস্থান করছে, তারা অবশ্যই আপনাদের উপর অখুশী হবে এবং এই অখুশীর একটা প্রভাব তো আছেই”।
মোরালঃ
নিজের শক্তির উপর ভিত্তি করে শত্রুকে আক্রমন করবেন। পাশে থাকা বন্ধুর বাহুবলকে পুজি করে যদি আপনি আপনার শত্রুকে আঘাত করেন তাহলে সময়মতো পাশে থাকা বন্ধুর বাহুবলকে আপনি নাও পেতে পারেন। ফলে আপনি অসুবিধায় পড়বেন।