বিপুল সংখ্যক আধুনিক জেন-জি যারা সামগ্রিক আন্দোলনে শামিল হয়ে কোনো এক ক্ষনে রাষ্টের আবর্তন স্থির করেছিলো, সেই আবর্তন সময়ের আবর্তনে ধীরে ধীরে বুর্জোয়া পরিবেশে স্টেপ-ইন হয়ে আন্দোলনটা যেনো বিতর্কে এবং সমালোচনার পরিধীতে পতিত হয়ে যাচ্ছে। অধিকারের চেতনায় ধর্মোন্মদনা এবং আত্নোতসর্গের প্রেরনা যেনো এই আন্দোলন থেকে ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে উঠছে। সেই আগের জায়গায় যেনো এর সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে যা এমন যে, দেশে যা কিছু হচ্ছে এটাকেই মেনে নেয়া এবং কঠিন সমস্যাগুলিকে এক কোনে ঠেলে দেয়া। এটা তো হবার ছিলো না।
এই আন্দোলনের জন্য যারা স্টেক হোল্ডার ছিলো বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে, সেখানে একটা পেরেগ গাথার দরকার ছিল। কেননা এটা গুটিকতক স্টেক হোল্ডার এর মালিকানায় আন্দোলনকে ভুল পথে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা কখনোই এমন ছিলো না। বরং তারা ছিলো ব্রিজ-হেড। যারাই এ আন্দলনের অগ্রভাগে ব্রিজ-হেড হিসাবে ছিল, তাদের উচিত ছিলো তাদের এই আন্দোলন সাফল্যের কারনে অনুগামির দল বিশাল জনগোষ্ঠী বা জনসাধারনের মধ্য থেকে অদম্য ও অজেয় সাহসের এবং আত্নোতসর্গের প্রেরনা সমৃদ্ধ কিছু নতুন প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসা। এসব ক্ষেত্রে ষাড়কে শিং ধরে জোর করে বলপুর্বক বশ মানাতে হয়। ক্রূদ্ধশক্তি হয়তো বা আক্রমনকারীকে বারবার মাটিতে আছড়ে ফেলতে চাইবে, তবু বলিষ্ঠ মনের জোরে তাকে বারবারই উঠে দাড়াতে হবে। এটা না করার কারনে পুরু আন্দোলনটা অনেকটা বুর্জোয়া তথাকথিত ব্যক্তিবর্গ এবং বন্দোবস্তীদের হাতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে। একবার ফলাফলে নেতিবাচক হয়ে উঠলে শারীরিক শক্তির সাথে সাথে মানসিক শক্তির লোপ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দারায়। তখন যা দরকার তা হলো জনসাধারনের মধ্যে মহৎ সন্তান। তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও পিছপা হবে না।
সময় লাগবে, মাথা ঠাণ্ডা রেখে চোখ খোলা রেখে সামনে এগুতে হবে। নতুবা, সেটাই হবে যেটা বারবার ইতিপুর্বে ঘটেছে।