অনেকদিন পর আজ ডায়েরী লিখতে বসলাম। বছরের প্রায় শেষ দিন। তাঁরমধ্যে আজ দেশে সাধারন নির্বাচন হচ্ছে। আজকের লিখাটি সাধারন নির্বাচন নিয়ে। আমি কোনো প্রকারের রাজনীতির সাথে জড়িত নই। আজ পর্যন্ত মাত্র একটি সাধারন নির্বাচনে (২০০৮ সালের সাধারন নির্বাচন) আমি ভোট দিয়েছিলাম। ভোট দিলাম কিন্তু একান্তই নিজের ইচ্ছায়। এটাকে ফেয়ার ইলেকশন বলে না। আমাকে কেউ জোর করেনি ভোট চুরি করার জন্য কিন্তু যা দেখছিলাম, তাতে কিছুতেই ভালো লাগেনি।
এই ইলেকশনের ফলাফল মানুষ কে বিভ্রান্ত করবে। হয়ত দেখা যাবে ৯৯% ভোট ই পড়বে শাশক দলের জন্য। এটা জনগনের রায় হবে না। তবে একটা দুশ্চিন্তার কথা মাথায় আসে। ধরুন, কোনো কারনে শাসক দল ভোটে জয়ী হলেন না। তাহলে কি কি হতে পারে?
-হতে পারে একটা রায়ট। কারন, প্রায় ১২ বছর পর যখন জামাত জোট একটা শাসক দল হটাত ক্ষমতায় আসবে, তখন চিরাচরিত নিয়মেই হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে তাদের জোট প্রচুর পরিমানে রক্তক্ষয়ী এক্তা পরিস্থিতির সৃষ্টি অমুলক নয়। যদি সেটা হয়, তাহলে বর্তমান শাসক দল একেবারেই অসংঘটিত বলা যাবে না, তারা যথেষ্ট পরিমানে সাংঘটনিক ভাবে ইতিমধ্যে শক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে গেছে। তাদেরকে সহজেই প্রতিহত করা সম্ভব নয়। ফলে পালটা একটা প্রতিঘাত অবশ্যাম্ভাবি।
প্রশাসন হচ্ছে মুলশক্তি বর্তমান শাসক দলের সমর্থক। এই অবস্থায় পুনরায় পুরু প্রশাসন নতুন করে সংঘটিত না করে, বর্তমান প্রশাসন দিয়ে কোনোভাবেই নতুন সরকারী দল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার শক্তি রাখে না।
দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ী বর্তমান শাসক গোস্টির অন্তরালে রিষ্ট পুষ্ট, ফলে তাদেরকে হটাত করে টার্গেট করে রাজনীতির মতো কোনো ফায়দা নতুন শাসক দলের পক্ষে সম্ভব না।
এইসব কারনে, আমার মনে হয় কারচুপির ভোটে দেশের শান্তি বিরাজ করবে।
কিন্তু সমস্যা হতে পারে যদি কোনো বিরোধী দল না থাকে সংসদে।