যাই হোক, আমি আমার সংসার ছাড়ার সাথে সাথেই বুঝলাম, আমার সবকিছু মিথ্যা হয়ে গেছে। আমি আমার অস্তিত্বকে হারিয়ে ফেলেছি। অভিমান ছিলো কানায় কানায় ঠিকই কিন্তু এখন আমার অভিমানটা আলো আধারের ছায়ার মতো কষ্ট আর বিষন্নতায় পরিনত হলো। গতকাল সকালে যে একাকীত্ততা নিজের দম বন্ধ করে ফেলেছিলো বলে মনে হয়েছিলো, আজ মনে হল, আমার শ্বাস আর চলছেই না। কারন তুমিই ছিলে আমার অক্সিজেন, আমার শ্বাস। চারিদিকে শত হাজার মানুষের পরিচিত মুখগুলি যেন আমাকে ব্যাঙ্গ করে এটাই বলছিল, 'কি হারাইয়াছো জীবনে? আলো? নাকি কান্ডারী? কি ফেলিয়া আসিয়াছো, কোথায় ফেলিয়াছো?'
বড় একা মনে হচ্ছিলো আমার।
কোথাও আমার কোন শান্তি ছিল না। অথচ শান্তির জন্য বারবার আমি একই ভুল করছিলাম। আবারো আমি সেই অজানা কুচক্রিকেই শান্তনার আধার মনে করে তারসাথে বারবার যোগাযোগ করছিলাম। আর এই কুচক্রি ষড়যন্ত্রকারিনী আমার পিছ তখনো ছাড়ে নাই। আমাকে সর্পবিষ দিয়ে যতোক্ষন না ধংশ করা হচ্ছে, তার যেন নিস্তার নাই। আমার এই কষ্টের কথা, আমার এই দিনদূর্দশার কথা আমি এই গুরুসম সর্পিনী ছাড়া আর কাউকে তো শেয়ার করতেও পারছিলাম না। অথচ তখনো আমি বুঝতে পারি নাই, কি বিষে আমাকে ধংশন করছে। এর নাম, কুচক্রির লালসার বিশ, এর নাম ষড়যন্ত্রকারিনির হিংসার বিশ। আমি সেই লালসার বিষে জর্জড়িত হিংসার ঝড়। অথচ তার সাথে আমার না ছিলো কোনো কালে পরিচয়, না ছিলো তার সাথে আমার কোনো কিছু নিয়ে হিসাবের গড়মিল।
কতবার কেদেছি তার কাছে আমার এই অসহাত্তের চিত্র বর্ননা করে, কতবার কেদেছি এই বলে যে, কোনোভাবে আবার আমি আমার সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করে পুনরায় ফিরে যেতে পারি কিনা তোমার কাছে। কিন্তু আমার কুচক্রিকারিনীর এক ফোটা মনও গলে নাই। বারবার আমাকে সে এমন কিছু তথ্য আমার কানে চোখে ঢেলে দিতেছিল যা ছিলো তোমার কষ্টের মুহুর্তের কিছু অভিযোগ। কিন্তু তোমার কষ্টের আবদারগুলি কখনো আমাকে জানিয়ে এই কথাটা বলে নাই যে, আমার বিরহে তুমিও কাতর। আমার বিচ্ছেদে তুমিও শোকাবহুল একজন মৃতলাশ। এটা কখনো সে আমাকে জানতে দেয় নাই, তুমি আকুতি করছো, মিনতি করছো, আমি যেন আবার ফিরে আসি। বরং আমার প্রতি তোমার ঘেন্নার অভিব্যক্তিগুলিই বারবার জানিয়ে এটাই প্রমান করার চেষ্টা করেছে, তোমার জীবনে আমি কিছুই না, আমার সব প্রয়োজন তোমার কাছে ফুরিয়ে গেছে।
আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমার পৃথিবী থেমে গিয়েছিল। বারবার আমার মনে হয়েছে, আমি কি তোমাকে কখনই ভালবাসি নাই? আমি কি কখনো তোমার মনের ভিতরে এতটুকু স্থানও দখল করি নাই? যদি সেটাই হয়, তাহলে ওইদিন প্রত্যুষ্যে কেনো তুমি বলেছিলে, 'আমি আছি, ভয় পেয়ো না?'।
দিন যায়, রাত আসে আবার দিন আসে। সময় ঠিকই পেরিয়ে যায় সবার কিন্তু আমার সময় একেবারে স্থবির হয়ে দিন আর রাত এক হয়ে গেছে যেখানে না আছে নাওয়া, না আছে খাওয়া, না আছে কোনো সুখ। অবিরত অশ্রুপাতই যেনো আমার এই নয়নের একমাত্র কাজ। গভীর রাত। কোনো ঘুম নাই আমার চোখে। সবাই ঘুমিয়ে গেছে। আমার বুকের পাজরগুলি যেনো ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়ে একটা দলা পাকিয়ে আছে। যেখানেই হাত দেই, সেখানেই যেনো একটা চাপা ব্যথা অনুভব করি। আশেপাশের মানুষগুলি আমার কিছু তো একটা হয়েছেই এটা বুঝতে পারছে কিন্তু আমি যতোটা পারছি যেনো কিছুই হয় নাই এমন একটা অভিব্যক্তি মুখে প্রদর্শন করে রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু তোমাকে আমি এক মুহুর্তের জন্যেও ভুলি নাই।
বারবার আমি এই কুচক্রিকারিনীর শরনাপন্ন হয়েছি, কোনো মেসেজ, কোনো আকুতি, কোনো মিনতি, কোনো সুখের খবর তোমার কাছ থেকে তার মাধ্যমে আমার জন্য এসেছে কিনা। আমি জানতাম, তুমি এই কুচক্রিকারিনীর সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছো। আমার কারনেই হয়তো রাখছো। ফলে এই সর্পসম ষড়যন্ত্রকারীনীই ছিলো আমার একমাত্র ভরষা যার থেকে কিছু হলেও আমি তোমার ব্যাপারে জানতে পারি। কিন্তু এই কুচক্রিকারিনী বারবার যা সত্য নয় সেটাই সত্য বলে আমাকে জানিয়েছে আর প্রকৃত সত্যটাকে সগোপনে লুকিয়ে আমার আর তোমার মাঝে বিস্তর একটা মরুভুমির অঞ্চল তৈরী করে ফেলেছে।
তুমি হয়তো জানো না, এর মাঝে কত কিছু ঘটে যাচ্ছিল। একদিকে আমার ফিরে যাবার প্রবল ইচ্ছা, অন্যদিকে তোমার না ফিরে আসার প্রবল অপমাননা আমাকে এক রকম দিশেহারা করে ফেলেছিলো। এরই মধ্যে আমার এই কুচক্রিচারিনী আমাকে আরেক পরিকল্পনায় সামিল করে দিলো। যেহেতু আমি তার কোনো পরিকল্পনাই প্রথম থেকে বুঝতে পারি নাই, ফলে ফিরে যাবার প্রবল মানসিকতায় আমি তার প্রতিটি পরিকল্পনাকে আমার জন্য মংগলময় এটা ভেবেই নির্বোধের মতো সায় দিয়ে যেতে থাকলাম। কিন্তু তুমি তো আর নির্বোধ ছিলে না। আমার বেলায় কুচক্রিকারিনী সফল হলেও তোমার বেলায় সে নুন্যতম হারেও সফল হতে পারে নাই। আমাকে নিয়ে তার দ্বিতীয় পর্বের পরিকল্পনা ছিল, কোনো না কোনোভাবে কুচক্রিকারিনী আমাকে তার আবাসস্থলের কাছেই রক্ষিতা সরুপ রেখে দেয়া। কিন্তু শর্ত ছিলো একটা ব্যবসার। আর সেই ব্যবসার মুলধন জোগাবে তুমি যদি তুমি তখনো আমাকে চাও। কি অদ্ভুত আমার ভাগ্য যে, এতোদিন যখন কোনোভাবেই আমি তোমার সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না, হটাত করে একদিন তুমি আমাকে আমার এই ভার্চুয়াল লাইনে মেসেজ দিয়ে কত কথাই না বললে। চোখের জল আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি আর আগের মতো তোমাকে ভরষাও করতে পারছিলাম না কারন তুমি ইতিমধ্যে আমাকে আমার অভিযোগের এমন সব প্রমানাদি উপস্থাপন করতেছিলে যা আমি আমার রাগ, অভিমান থেকে তোমার নামে যা সত্য নয় সেটাও বলেছি, আবার যা সত্য সেটাও বলেছি। আমি বুঝতে পারছিলাম না, তুমি এসব মিথ্যা অভিযোগ আর মিথ্যা কল্ কাহিনীর মতো নালিশ শুনে তুমিই বা কতটুকু আর আমার ছিলে।
তুমি আমাকে আবারো ফিরে আসার কথা জানালে আমি একদিকে উড়ে চলে আসার জন্য মানসিকভাবে যেমন প্রস্তুত ছিলাম আবার অন্যদিকে মনে একটা ভয় ছিলো, আবারো দ্বিতীয়বারের মতো এমন কোন মারাত্মক ভুল করছি নাতো যেখানে আবার আমি চিরতরে তোমার রাগের শিকার হই? আমাকে আমার এই বন্ধুস অথচ কুচক্রিকারিনী শিখিয়ে দিয়েছিলো, নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে, আবার প্রত্যাখ্যাত হবার ভয়ে আমি যেনো তোমার কাছ থেকে পুর্বেই এমন কিছু শর্ত আরোপ করি যাতে তুমি যদি আমার সাথে পুনরায় প্রতারনা করেই ফেলো, আমি যেনো পথের মধ্যে আবার পড়ে না থাকি। আর সেটা হল, দশ লক্ষ টাকার একটা ব্যবসা। যার পরিচালনায় থাকবে আমার জ্ঞান দানকারী কুচক্রিকারিনি আর আমি থাকবো তার পাশে। তোমার যখন খুশি আসবে আমার কাছে কিন্তু দেহে দেহে আনন্দ হবে আমার কুচক্রিকারিনীর সাথে। আমাকে আমার জ্ঞান দানকারী কুচক্রীর প্রয়োজন এজন্য যে, সে একা নয়, তার স্বামী আছে। তার দরকার একজন উছিলার মতো মানুষ যেখানে সে নীরবে গোপনে অভিসার করে আবার নিরাপদ্র নিজ গৃহে ফিরে আসতে পারে। আর এক্ষেত্রে আমিই ছিলাম সেই নাটকের সবচেয়ে ভাল স্টেজ। এটাই ছিল তার পরিকল্পনা। আর অন্তরমুখী পরিকল্পনা ছিলো এই কুচক্রীর যে, দশ লাখ টাকা পাওয়ার পর দেখা যাবে আমরা দুইজন মিলে তোমাকে কতটুকু রাস্তায় নামাতে পারি।
তোমাকে রাস্তায় নামানোর এই মহাপরিকল্পনায় আরো অনেক জঘন্য জঘন্য মাষ্টার প্ল্যান ছিলো যা আমি কোনোভাবেই মানতে পারছিলাম না। আর এখানে বলতেও পারছি না। তবে কোন একদিন যদি আবার দেখা হয়, বিনোদনের জন্যে হলেও আমি তোমাকে বল্বো আর মুচকি মুচকি হাসবো। আমি জানি, তুমিও হাসবে। কারন যে মানুষটি এই কুচক্রিকারিনীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে সাহাজ্য করছে, ভবিষ্যতেও করবে বলে আশা দিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কিভাবে সে এরুপ পরিকল্পনা করতে পারে এটা আমার মাথাতেই আসছিলো না। কিন্তু তুমি তোমার অবস্থান কিভাবে সামাল দিবে সেটা তোমার ব্যাপার বলে আমি আসলেই গভীরভাবে এ ব্যাপারটা নিয়ে কখনো ভাবি নাই। কিন্তু একটা জিনিষ আমি অনেক পড়ে বুঝেছিলাম যে, তুমি বুঝেই হোক আর না বুঝেই হোক, এই কুচক্রীর অবস্থানটা ঠিক ধরতে পেরেছিলে। তুমি ধরতে পেরেছিলে, কে কিভাবে কোন খেলাটা খেলে যাচ্ছে, কিন্তু তোমার কাছে দরকার ছিলো অকাট্য প্রমানের।
যাই হোক, সম্ভবত সেটাই ছিল আমার আর তোমার মধ্যে সর্বশেষ কথাবার্তা যেখানে আমি বুঝেই হোক আর না বুঝেই হোক এই প্রথম তোমার কাছ থেকে দশ লাখ টাকার একটা ব্যবসা চেয়েছিলাম আমার ফিরে আসার শর্তসরুপ। কারন এভাবেই আমার কুচক্রিকারিনি আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিল। তুমি সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করে, আমার ভালো মন্দ বিচার করে, আমাকে যুক্তির সাথে এমন করে বুঝিয়ে দিলে যে, তুমি যদি আমাকে ব্যবসার জন্য দশ লাখ টাকা দিতেও চাও, সেটা হবে একটা ভুল পরিকল্পনা। না হবে ব্যবসা, না হবে জীবন গড়া, না হবে সমাজে সুস্থভাবে বেচে থাকা, আর না থাকবে এই মুলধন অবশিষ্ট। আসলে তুমিই ঠিক ছিলে, আমি ছিলাম একটা ভুলের মধ্যে, একটা অভিশপ্ত মানুষের দ্বারা পরিচালিত। কারন সেদিন তুমি আমাকে যেসব তথ্য আর উপাত্ত দিয়েছিলে, তা আমি শত চেষ্টা করেও আমার আপাত শুভাকাংখী কুচক্রির কাছ থেকে জানতে পারি নাই যদিও সেটা আমার জানার অধিকার ছিলো। বারবার সে আমাকে সব কিছু লুকিয়ে গিয়েছিলো যা সে পাচ্ছিল আর অন্যদিকে আমাকে দিয়ে আরো কিছু বেশি পাওয়া যায় কিনা তার চেষ্টা সে সর্বাত্তকভাবে পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিলো। আমি তার কোনো কিছুই বুঝতে পারি নাই। তুমি আমাকে ব্যবসা দিতে রাজি হলে না। ব্যবসার পরিকল্পনা ভেস্তে গেলো, সম্ভবত আমিও এই প্রথমবার মনে হলো, তুমি কাজটা ঠিকই করেছো আমাকে ব্যবসাটা না দিয়ে। কারন ব্যবসার কোনো কিছুই আমি বুঝি না। তাও আবার অন্যের ঘাড়ে নির্ভর করে তোমার দেয়া আমার টাকার উপর অন্যের হাতে ব্যবসা।
দিন যায়, সপ্তাহ যায়, হটাত একদিন আমার নতুন সম্পর্কের কথা আসে। ছেলে সুদুর বিদেশের মাটিতে সেটেল্ড। আমার প্রত্যাশার বাইরে এমন একটি সম্পর্ক। ছেলেটি অনেক উচ্চমানের পজিশনে থাকা স্বশিক্ষিত এবং ভদ্র সমাজে উপস্থাপন করার মতো একটি প্রপোজাল বটে। আমার বাবা, আমার মা অতিশয় যেনো খুশি। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না, কিভাবে এই সমন্ধটা একেবারে ঘরের কাছে নিজের চৌকাঠ পার হয়ে আমার অবধি নাগাল পেলো। আর কিভাবেই বা আমার পরিবার এই খরচ সংকুলান করবে যেখানে এক লাখ টাকা একত্রে বের করতেই আমার পরিবার হিমশিম খায়।
বুঝলাম, এবারেও আমার সেই তুমি। রাগ হয়েছিলো অনেক বটে যে, আর ফিরে যাওয়া হল না আমার। কিন্তু এবার ফিরে যাচ্ছি আরেক নতুন জীবনে। চোখের অন্তরালে চলে গেলেও তুমি থাকবে আমার চোখের মনিতে। এই তো আর বেশী দিন নাই। আমার যাওয়ার সময় হয়েই এলো। মিস করবো না কারন সারাক্ষন তুমি আমার আত্তার মধ্যেই আছো।
অনেক কিছুই আর আগের মতো নাই। কিন্তু বারবার মনে পড়ে সেই দিনগুলির কথা। খুব মনে পড়ে তোমাকে। মনে পড়ে অলস দুপুরে শুয়ে শুয়ে তোমাকে ভার্চুয়াল মিডিয়ায় দেখা। মনে পড়ে বিড়ালের বাচ্চার মতো ঘুর ঘুর করে তোমার পিছন পিছন চলা। আমি জানি, আমি এখনো আছি তোমার সেই বিশাল প্রশস্থ বুকের কোনো এক গভীরে। আমি এটাও জানি, তুমি আজিবন থাকবে যেমন আমি আছি। হয়তো আমাদের শুধু জায়গাটা পরিবর্তন হয়েছে বটে কিন্তু এখন আমি আর সেই কুচক্রীর থাবানলের মধ্যে নাই যে চেয়েছিল তোমার ধংশ। আর এখন সে নিজেই ধংশ হয়েছে চিরতরে। হায়েনারা সব সময় অন্যের শিকারকেই খায়, নিজেরা কোনো শিকার করে না। এরা হায়েনা। তবে মানুষরুপী হায়েনারা আবার খাবারের তালিকায় যেমন মানুষ রাখে, তেমনি রাখে অন্যের সঞ্চয়পত্র, অন্যের গাড়ি, অন্যের টাকায় জন্মদিন পালন, অন্যের টাকায় গহনা বানানোর লোভ, অন্যের ফার্নিচার বিক্রির টাকায় লোভ, ছলেবলে কৌশলে অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে ব্যবসা নেয়া কিংবা দশ বিশ ত্রিশ লাখ টাকার চাহিদা, আবার কখনো কখন আধুনিক কালের ডিজিটাল ব্যবসার মালিকানা থেকে শুরু করে পশু ছাগল ভেরার খামারেও এদের লোভ কম নয়। কিন্তু যতটুকু জানি, শেষ অবধি এদের ভাগ্যে কিছুই জোটে না, না স্বামী সুখ, না সংসারের সুখ, না মা হবার সুখ না সমাজে বাহাদুরী করার সুখ। এরা যুগে যুগে ঠকবেই কিন্তু কখনো বুঝবে না যে, এরা ঠকাতে গিয়েই ঠকে। এরা জীবনেও সুখি হয় না।
তবে এখনো হায়েনাটা মাঝে মাঝে কাছে ঘেষার চেষ্টা করে। আমি এবার তার সব বানানোর কথার অর্থ বুঝি। আমি এটাও বুঝি কোনটা সে সত্য বলছে আর কোনটা মিথ্যা। যে কথাটি সে বলছে, আসলে সেটাই মিথ্যা। আর যেটা বলছে না, সেতাই সত্য কিন্তু গোপন করছে। কিন্তু আমি এবার সাবধান।