৩/০৩/২০২০-মাধুরী-আকাশের ভালোবাসা

সম্পর্ক বিচার করলে মাধুরীর সাথে আকাশের ভালোবাসা কিংবা প্রেমের কাহিনী রচিত হতে পারে না। তাদের মধ্যে না আছে ধর্মের সাথে মিল, না আছে বয়সের কোনো মিল অথবা না আছে সামাজিকভাবে কোনো আত্মীয়তার কাছাকাছি বন্ধন। কিন্তু প্রকৃতি অনেক সময় এমন কিছু কাজ করিয়া বসে যাহার মাঝে না আছে কোনো বইজ্ঞানিক সুত্রতা, না আছে ফিলোসোফির কোনো ফর্মুলা। মানব আর মানবীর চরিত্র ধরিয়াই একেকতা সম্পর্ক গোপনে, কিংবা অজান্তে এমন কিছুর মধ্যে আটকে যায়, যাহা কোনো না মানে আইন, না মানে সুত্র বা ফর্মুলা। মাধুরী আর আকাশ সমস্ত কিছু নিয়ম ভাঙ্গিয়া একে অপরের এতো কাছাকাছি চলিয়া আসিয়াছিলো যে, তাহারা আর দুইটি প্রানির একটি আত্তায় রুপান্তরীত হইয়া পড়িল।

আকাশে প্রচন্ড বৃষ্টি, দমকা হাওয়ায় চারিদিকে আকাশের মেঘমালা অস্থির হইয়া দিক বিদিক ভাবে হন্যে হইয়া যে যেখানে খুশী উড়িয়া যাইতেছে, পথে ঘাটে মানুষেরা ভয়ে সন্তস্ত্র হইয়া যাহারা ঘরের বাহির হইয়া ছিলো তাহার ঘরে কিংবা নিরাপদ আশ্রয়ে যাইবার পায়তারা করিতেছে, আর যাহারা ঘরে বসিয়া বাহিরে যাইবার পায়তারা করিতেছিলো তাহারা নুরুপায় হইয়া নিজের মনে অশান্ত চিত্তে কখন আকাশ স্থির হইবে তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছে। গাড়ি ঘোরা নিরাপদ স্থানে পার্ক খুজিতেছে, এর মাঝেই চঞ্চল আকাশ ক্ষনে ক্ষনে বিদ্যুৎ চমকাইয়া পৃথিবীর সকল প্রানি কুল এবং জন্তু জানোয়ারদেরকে চোখ রাংগাইয়া আরো তান্ডব চলিতে পারে বলিয়া সংকেত দিয়াই যাইতেছে। অথচ ইহারই মধ্যে আমাদের এই দুই প্রানি মাধুরী আর আকাশের মধ্যে আকাশ সমস্ত বিপদ সংকুল সংকেত অমান্য করিয়া দূর্যোগ পূর্ন রাস্তায় একে অপরের সাথে দেখা করিবার অস্থির নেশায় বাহির হইয়া গেলো।

কোথাও কোনো যান বাহনের লেশ দেখা যাইতেছে না। যখনই কোনো যান বাহন হতাত করিয়া আসিয়া পরে, ততক্ষনাত হুড়মুড় করিয়া একের অধিক যাত্রী 'ইহা আমাকে পাইতেই হইবে" এই সংকল্পে উহার চারিদিকে জড়ো হইয়া দাম হাকাইতে থাকে। দূর্যোগ পূর্ন সময়ে এইসব যানবাহনের চালক গন, সুযোগ বুঝিয়া মধ্য প্রাচ্যের তেলের মতো তাহাদের ভারা এমন করিয়া বারাইতেই থাকে যেনো, উহা একটি দায়মন্দের খনি। তাহারা যেনো হীরার মুকুট লইয়া কোনো এক ভগবানের মুখ দর্সন করিয়া পথে বাহির হইয়াছেন। আর ভাবিতে থাকেন, যেভাবেই হোক, আজ তাহার কটিপতি হইয়া যাইবেন। কিন্তু সাধারন মানুষ গনের পকেটের অবস্থার কথাও তো ভাবিতে হইবে!! ফলে যাহারা এতোক্ষন এই উচ্চ মুল্যের যানবাহনের চারিধারে জড়ো হইয়াছিলেন, তাহারা তাহাদের পকেটের দুর্দশার কথা ভাবিয়া আরো একটি যানবাহনের আশায় অপেক্ষা করিতে থাকেন। এই সুযোগতাই আমাদের আকাশ বাবু কাজে লাগাইয়া বিনা বাক্যে চালকের কথায় উঠিয়া গেলেন। তাহার যেনো তর সইতেছিলো না। আকাশ যতোই বিপদ সংকেত দিক, তাহাতে তাহার কিছুই যায় আসে বলিয়া মনে হইতেছে না। তাহার গন্তব্য মাধুরীর আস্তানায়।

গাড়িতে উঠতে না উঠতেই চারিদিকে যেনো আকাশ ভাংগা জল কলসি ভর্তি করিয়া যেমন গংগায় পানি ধালিবার মতো জল পড়িতে লাগিলো। বাতাস ছিলো, পথ ঘাট ছিলো প্রায় মানুষ শুন্য। হুড় হুড় করিয়া চালক আকাশকে লইয়া ছুটিতে লাগিলো। সবে মাত্র সকাল হইয়াছে কিন্তু আকাশ দেখিয়া কিছুতেই বুঝিবার উপায় নাই, ইহা কি সন্ধ্যা নাকি সকাল। চারিদিকে কালো করিয়া আসিতেছে।

প্রায় ঘন্তা খানেক পর আকাশ তাহার গন্তব্যে আসিয়া পায়ে পায়ে সিড়ি পারাইয়া ঘরের অতি কাছে দাড়াইয়া একটি মাত্র টোকা দিতেই যেনো যিনি ঘরে কাতর হইয়া অপেক্ষা করিতেছিলেন, সাথে সাথে কপাট দরজা খুলিয়া দিয়া আকাশকে বরন করিয়া লইলেন। তিনি, মাধুরী। দারাইয়াই ছিল ঘরের কপাটে মাথা লাগাইয়া।

আকাশ ঘরে ঢোকিলো। তাহার মাথায় ব্রিষ্টির পানিতে ভেজা চুল, জামার অনেকাংশেই ছোপ ছোপ পানির হালকা ভেজা বস্ত্র। পরনের জুতা পাটি আর শুশক তো নাইই। কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ না করিয়াই আকাশ মাধুরীকে জরাইয়া ধরিলো। যেনো কোন এক মহা সমুদ্র পার হইয়া যুদ্ধা আকাশ মাধুরীকে গহীন জংগল হইতে উদ্ধার করা গিয়াছে। বুকের পাজরে তাহারা এমন করিয়া আবদ্ধ হইয়া রইলেন যেনো তাহারা কতদিন একে অপরের জন্য উদাসীন হইয়া বিরহ জীবন পালন করিতেছিলেন।

গেড়য়া রংগের শাড়ি, হাতে সোনার চুড়ি, পায়ে আলতা আর নাকে নাকফুল সাথে কানের দুল পড়িয়া মাধুরী বউ সাজিয়া বসিয়া ছিলেন। বাহিরের এই রুপ প্রাকৃতিক দূর্যোগের বিরম্বনার মধ্যে এই দুই প্রানীর মনের সুখের সাথে কোনো মিল খুজিয়া পাওয়া যাইতেছে না। তাহারা একে অপরের সাথে বুকে বুক মিলাইয়া অধিক ক্ষন শুধু অন্তরের ধুকধুকানী শান্ত করিতেই ব্যস্ত।

আকাশ মাধুরীকে বুক থেকে সরাইয়া তাহার দুই হাত দিয়া মাধুরীর মুখাবয়ব এমন করিয়া ধরিলেন, যেনো একটি ভরা দুধের বাটি তাহার হাতে, যে কোন সময় একটু অসতর্ক ভাবে নাড়িলেই দুধ সব মাটিতে পড়িয়া যাইবার সম্ভাবনা। এমনি করিয়াই আকাশ সব সময় মাধুরীকে অপলক চোখে দেখিতে থাকে, আজো তাহার কোনো ব্যতিক্রম হইলো না। মাধুরী তাহার চোখ বন্ধ করিয়া শান্ত বিরালের মতো নির্বিকার দারাইয়াই থাকে আর আকাশের চোখের বেষ্টনীতে আবেশিত হইয়া জড় পদার্থের মতো ভালবাসার সাধ গ্রহন করে।

আকাশ মাধুরীর চোখে, নাকে, মুখে, গ্রিবায় অবিরত চুম্বন আর আলিংগনে আবদ্ধ করিয়া একে একে মাধুরীর শহরনে ব্যতিব্যস্ত করিয়া ন্তোলে।

সময় যেনো স্তম্বিত সমুদ্রের মতো একেবারে থামিয়া গেছে মাধুরী কটে। শুন্যতায় ভরা মাধুরী কটে এখন যেনো পরিপুর্ন ভালোবাসায় ঘরের চারিদিক চিক চিক করিতেছে। সামনের আয়নায় আকাশ মাধুরীকে দেখে আর ভাবে, আহা, বিধাতা কতই না মনোযোগ দিয়া তাহার মাধুরীকে সৃষ্টি করিয়াছেন। তাহার রুপ আর যৌবনের মধ্যে বিধাতা এমন একটি সরল্রেখা টানিয়া দিয়াছেন যে, একতাকে বাদ দিয়া আরেকতা অসম্পুর্ন।

আকাশ মাধুরীর দুই হাত ধরিয়া দুই দিকে প্রসারিত করিয়া বুকের মাঝ খানে মুখ লুকাইয়া তাহার যৌবনের উচ্ছৃঙ্খল স্তনের ভাজে নাক ঘশিতে ঘষিতে মাধুরীকে মেয়েলী অনুভুতিতে নাড়িয়া দিলেন। আকাশের হার মাধুরীর বুকের উপর, তাহার মুখ মাধুরীর ঘাড়ের ভাজে আর মুখের জিব্বার সব টুকু অংশ মাধুরীর কানের পাতায় লেহনে লেহনে মাধুরীর শরীর অবশ করিয়া তুলিলো।

গেড়োয়া রঙের যে শাড়িটি এতোক্ষন মাধুরীর রুপ আবৃত করিয়া রাখিয়াছিল, আকাশের তপ্ত হাতের তান্ডবে উহা আর মাধুরী গোপন রুপ লুকাইয়া রাখিবার কোনো উপায় না পাইয়া নিজেই মাধুরীর শরীর হইতে মাটিতে লুতাইয়া পরিলো। মাধুরীর প্রতিটি চামড়ার ভাজ অদ্ভুত। কোথাও কোন দাগ নাই, কোথাও কোন খুত নাই। যেখানেই হাত দিক, উহার মধ্যেই যেনো প্রান লুকাইয়া আছে। আকাশ মাধুরীর দুধের কালো বোতায় বিজ্ঞানিক কিছু আবিশকার না করিতে পারিলেও ঊহাতে যে যৌবনের অনেক রস রহিয়াছে তাহা আবিশকার করিতে একটু ও সময় ক্ষেপন করলো না। চুমুতে চুমুতে মাধুরীর সারা শরীর বাহিরের প্রক্রিতির মতো অস্থির করিয়া তুলিলো।

আকাশ মাধুরীর কপাল থেকে শুরু করিয়া নাক, ঠোট, গ্রিবা, আর তাহার সরল রেখা ধরিয়া স্তনের বোতা আর নাভীর নীচ দিয়া মাধুরীর ত্রিভজাক্রিতির কেশ সমৃদ্ধ যৌবনের সবচেয়ে কোমল অমৃত কে বারবার নিজের সবটুকু অনুভুতি দিয়া লেহন করিতে লাগিলেন। যেনো কোন এক দুষ্প্রাপ্য খনিতে ঢোকিয়া আকাশ এমন কিছু খুজিতেছে কিন্তু তাহার আরো হয়তো মগভীরে যাওয়ার পায়তারা করার অস্থির চেষতা। মাধুরীর চোখ বন্ধ করিয়া দুই পা ফাক করিয়া মাধুরী নিজেও আকাশকে সর্বাত্তক সাহায্য করিতে ব্যস্ত যাহাতে আকাশ মাধুরীর যতো গোপন কিছু আছে, তাহা খুজিয়া বাইহির করুক মাধুরী তাহাই চায়। ইহাই আকাশের মাধুরীর শরীর আবিষ্কারের প্রথম নয়। ইহার আগেও বহুবার আকাশ মাধুরীর এই রুপের নেশায়, মায়ার বাধনে জরাইয়া কতই না জল্কেলীর মতো খেলা করিয়াছে। প্রতিবারই মনে হইয়াছে, আজই প্রথম।

মাধুরীর শরীর যেনো একতি খেলনা, জীবন্ত খেলার পুতুল। আকাশ উহাকে কখন হাতে লইয়া, কখনো পাজরে নিয়া, কখনো দুই পায়ের মাঝখানে রাখিয়া, আবার কখন চারপায়ী বেড়ালের মতো নিজের বুকের নীচে রাখিয়া এমনভাবে সংগম করেন যেনো দেখিয়া মনে হইবে আকাস্ক যেন কোন এক চারুকলার শিল্প তৈরী করিতেছে আর মাধুরী সব ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া চুড়িয়া আবার নতুন মাধুরী হইতেছে।

মাধুরিও কখনো কখনো বজ্র মুষ্টি করিয়া আকাশের সব কলা কৌশল আয়ত্তে আনিয়া নিজেও আম্র কাননের কলির মতো নিমিষেই ফুটিয়া ফুটিয়া আকাশের চারিদিকে এমন করিয়া বিচরন ক্ষেত্র তৈরী করিতেছে যেনো তাহার রুপের কোনো শেষ নাই, তাহার আক্রিতির কোনো সিমা নাই, তাহার স্ত্রী অংগ কাপিয়া কাপিয়া সব কিছু উজার করিয়া বইশখের ঝরের মতো অকালেই সব ছাড়িয়া দিতেছে। কখনো তাহার যোনিপথ ভিজিয়া একাকার, কখনো তাহার বুকের দুধ ফুলিয়া ফাপিয়া উঠিতেছে, কখনো ঘন ঘন নিঃশ্বাসে সদ্য উপড়ে উঠা কেচোর মতো আকাবাকা হইয়া যাইতেছে।

রমনী মন্থন, যোনী মন্থন, পুরুষাঙ্গ মন্তনের মতো নেশা আর কিছু নাই। তান্দব ঝরের গতির থেকে এর তীব্রতা আরো বেশী। সমস্ত শরীর তার দেহের সাথে মিশিয়া একাকার হইয়া একে একে সংগমের সাধ গ্রহন বড়ই নেশা। মাধুরী আর আকাশ আজ সেই নেশায় মগ্ন।

অবশেষে, ঘর্মাক্ত শড়ির দিয়া দুইটি মানুষ নিস্তব্ধ হইয়া একে অপরের উপর এমনভাবে শাত্নত হইয়া রইল যেনো তাহারা বুঝিতে পারে নাই, এই একটি ঘন্তায় বাহিরের প্রিথিবীতে কি কি ঘটিয়া গিয়াছে।

মাধুরী, আকাশ তোমাকে সব কিছুর বিনিময়ে স্নেহ করে, আদর করে, ভালবাসে। কে তোমাকে কিভাবে এই প্রিথিবীতে আনিয়াছিলো সেই প্রশ্নে কোন কৈফিয়ত নাই, নাই কোনো জিজ্ঞাসা। আকাশ শুধু এইতুকুই জানিতে চাহিয়াছিল, মাধুরী আকাশের। এই আকাশে কোনো ধর্ম নাই, কোনো বর্ন নাই, কনো জাত নাই, নাই কোন প্রকারের অভিযোগ কিংবা হতাশা। যদি কোনোদিন এই মাধুরী অন্য কোথাও হারিয়ে যায়, কিংবা আর মাধুরীকে কথাও খুজিয়া পাওয়া না যায়, তখন আকাশ এই রকমের দূর্যোগ মোকাবেলা করিয়াও মাধুরীকে খজুইয়া বাহির করিবে, কারন মাধুরীর জন্ম শুধু আকাশের জন্যই। মাধুরীর পরিচয় শুধু আকাশ। যাহারা তোমাকে এই আকাসের ধরনিতলে বর করিয়াছে, তাহারা শুধু এই টুকুর ধন্যবাদ প্রাপ্য যে, তাহারা এতোদিন আকাশের মাধুরীকে নিঃশ্বাস টুকু নিতে সাহায্য করিয়াছে। আকাশ তাকাহে জীবন দান করিয়া আবার নিজের করিয়াই গড়িয়া তুলিয়াছে। আর বাকি জীবনের সব টুকু আদর আর ভালবাসা দিয়া মাধুরীকে এই সমাজে এমন এক স্তরে তুলিয়া লইবে যেখানে মাধুরীর কাছে গগন বড্ড নীচু।

তুমি ভালো থাক মাধুরী।