৪/৯/১৯৮৬-ছবি

আজ পুরান একটা খাতা উল্টাতেই অনেক মজার মজার লেখা চোখে পড়ল। কোন অসতর্ক অবস্থায় কখন যে কি লিখেছিলাম নিজেরই মনে নেই। এক পাতায় লিখেছিলাম, “ছবি আমার জীবনে এক বিরাট অধ্যায় ফেলে যাচ্ছে বারবার। এক ছবি দেখে পাগল হয়েছিল কার্লা, আর টিভিতে বাংলা ছবি দেখে হয়ত পাগল হচ্ছে আরেকজন। কিন্তু ঐ দ্বিতীয় মানুষটির সম্পর্কে আমি কতোটুক জানি?”  আসমা মেয়েটি মাঝে মাঝে উদিত হয় আমার মনে, বিশেষ করে রাত এলে, অথবা বেদনায় বুক ভরে গেলে, মাঝে মাঝে মনে পড়ে ওর সুচিস্নাত মুখমণ্ডল ফজরের পরে। আচ্ছা, আমি কেন আসমা মেয়েটিকে নিয়ে ভাবছি?

মানুষ যখন একা থাকে, তার যখন আর কেউ থাকে না তার কথা বল্বার, বা তার কথা শুনবার, তখন সে কথা বলে রাস্তার ধারের বড় বড় গাছের সাথে। এটা দেখে হয়তো কেউ তাকে মানসিক ভারসাম্য হারানো কোনো ব্যক্তি বলে ভুল করতে পারেন বলে হয়তো অনেকে সে কাজটাও করতে পারেন না। তাই, তারা প্রায়শই ডায়েরী লিখেন, তাদের কথাগুলি কোনো এক কাল্পনিক মানুষকে বলেন, অথবা নিজে নিজেই কথা বলেন। যখন সময় পেরিয়ে যায়, যখন আরো একা একা হয়ে যায়, তখন আগের সেই লেখাগুলি হয়তো কোনো এক অফুরন্ত অবসরে উল্টাতে উল্টাতে এটাই তুলনা করেন, যে সময় গুলি পেরিয়ে গেলো তা কি বর্তমান সময়ের চেয়ে আরো নিঃসঙ্গ ছিলো? সেই নিঃসঙ্গতা মানুষকে দোলায়িত করে, হয়তো কখনো কখনো বিচলিতও করে। আমি আমাকে নিয়ে সব সময়ই বিচলিত ছিলাম, আর এখন সেই বিচলিত অবস্থার কোনো পপ্রিবর্তন হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।

যখন সবাই থাকা সত্তেও কেউ আসলে নেই বলে মনে হয়, তখন নিজের সাহসের উপর আর নিজের কনফিডেন্সের উপর ভরষা করার নাম আত্ম বিশ্বাস। আমিও সেই আত্ম বিশ্বাসের উপর ভর করেই সকাল দেখি, সন্ধ্যা পার করি আর পরবর্তী দিনের জন্য সাহস সঞ্চয় করে ঘুমাতে যাই। কিন্তু আমাকে দেখে কি বাইরে দেখে এটা বুঝার কোনো উপায় আছে যে, আমি নিঃসঙ্গ? মোটেও না। কারন আমার এই নিঃসঙ্গতা একান্তই আমার।

মিটুলের ব্যাপারটাও আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে মাঝে মাঝে বুঝবার চেষ্টা করছি। আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আমাদের মানুষ গুলি এখনো অবধি ওই পর্যায়ে পৌছায় নাই যেখানে, পরনির্ভর কোনো পরিবার সদস্য তার মতামতকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে পরিবারের বাইরে পা রাখতে পারে বা এমন পর্যায়ে পৌছায় নাই যেখানে কারো উপরে হতাত করে নির্ভর করে তার নিশ্চিন্ত আশ্রয়স্থল নিমিষেই জলাঞ্জলি দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। সাহস আর সামর্থ এক জিনিষ নয়। কোনো কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সামর্থ লাগে আবার কোনো কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে লাগে সাহস। কিন্তু বেশীর ভাগ সময়েই কোনো পরিস্থিতি সামালের জন্য লাগে দুটুই। আমার সাহস আছে, সামর্থ কতটুকু সেটা যাচাই করার সুযোগ নাই। আবার সামর্থের মধ্যে যতটুকু আছে, সেখানে অধিক রিস্ক নেয়াটা কতটা সাহসের ব্যাপার সেটাও আমি জানি না। সব কিছু নির্ভর করে আবারো সেই ‘সময়’।

আজ পুরান একটা খাতা উল্টাতেই অনেক মজার মজার লেখা চোখে পড়ল। কোন অসতর্ক অবস্থায় কখন যে কি লিখেছিলাম নিজেরই মনে নেই। এক পাতায় লিখেছিলাম, “ছবি আমার জীবনে এক বিরাট অধ্যায় ফেলে যাচ্ছে বারবার। এক ছবি দেখে পাগল হয়েছিল কার্লা, আর টিভিতে বাংলা ছবি দেখে হয়ত পাগল হচ্ছে আরেকজন। কিন্তু ঐ দ্বিতীয় মানুষটির সম্পর্কে আমি কতোটুক জানি?”  আসমা মেয়েটি মাঝে মাঝে উদিত হয় আমার মনে, বিশেষ করে রাত এলে, অথবা বেদনায় বুক ভরে গেলে, মাঝে মাঝে মনে পড়ে ওর সুচিস্নাত মুখমণ্ডল ফজরের পরে। আচ্ছা, আমি কেন আসমা মেয়েটিকে নিয়ে ভাবছি?

মানুষ যখন একা থাকে, তার যখন আর কেউ থাকে না তার কথা বল্বার, বা তার কথা শুনবার, তখন সে কথা বলে রাস্তার ধারের বড় বড় গাছের সাথে। এটা দেখে হয়তো কেউ তাকে মানসিক ভারসান্য হারানো কোনো ব্যক্তি বলে ভুল করতে পারেন বলে হয়তো অনেকে সে কাজটাও করতে পারেন না। তাই, তারা প্রায়শই ডায়েরী লিখেন, তাদের কথাগুলি কোনো এক কাল্পনিক মানুষকে বলেন, অথবা নিজে নিজেই কথা বলেন। যখন সময় পেরিয়ে যায়, যখন আরো একা একা হয়ে যায়, তখন আগের সেই লেখাগুলি হয়তো কোনো এক অফুরন্ত অবসরে উল্টাতে উল্টাতে এটাই তুলনা করেন, যে সময় গুলি পেরিয়ে গেলো তা কি বর্তমান সময়ের চেয়ে আরো নিঃসঙ্গ ছিলো? সেই নিঃসঙ্গতা মানুষকে দোলায়িত করে, হয়তো কখনো কখনো বিচলিতও করে। আমি আমাকে নিয়ে সব সময়ই বিচলিত ছিলাম, আর এখন সেই বিচলিত অবস্থার কোনো পপ্রিবর্তন হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।

যখন সবাই থাকা সত্তেও কেউ আসলে নেই বলে মনে হয়, তখন নিজের সাহসের উপর আর নিজের কনফিডেন্সের উপর ভরষা করার নাম আত্ম বিশ্বাস। আমিও সেই আত্ম বিশ্বাসের উপর ভর করেই সকাল দেখি, সন্ধ্যা পার করি আর পরবর্তী দিনের জন্য সাহস সঞ্চয় করে ঘুমাতে যাই। কিন্তু আমাকে দেখে কি বাইরে দেখে এটা বুঝার কোনো উপায় আছে যে, আমি নিঃসঙ্গ? মোটেও না। কারন আমার এই নিঃসঙ্গতা একান্তই আমার।

মিটুলের ব্যাপারটাও আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে মাঝে মাঝে বুঝবার চেষ্টা করছি। আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আমাদের মানুষ গুলি এখনো অবধি ওই পর্যায়ে পৌছায় নাই যেখানে, পরনির্ভর কোনো পরিবার সদস্য তার মতামতকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে পরিবারের বাইরে পা রাখতে পারে বা এমন পর্যায়ে পৌছায় নাই যেখানে কারো উপরে হতাত করে নির্ভর করে তার নিশ্চিন্ত আশ্রয়স্থল নিমিষেই জলাঞ্জলি দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। সাহস আর সামর্থ এক জিনিষ নয়। কোনো কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সামর্থ লাগে আবার কোনো কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে লাগে সাহস। কিন্তু বেশীর ভাগ সময়েই কোনো পরিস্থিতি সামালের জন্য লাগে দুটুই। আমার সাহস আছে, সামর্থ কতটুকু সেটা যাচাই করার সুযোগ নাই। আবার সামর্থের মধ্যে যতটুকু আছে, সেখানে অধিক রিস্ক নেয়াটা কতটা সাহসের ব্যাপার সেটাও আমি জানি না। সব কিছু নির্ভর করে আবারো সেই ‘সময়’।