৬/৯/২০২৩-মনুষত্য যেখানে অমানবিক (ফারুক কাহিনী)

আজকের দিনটাকে ভেবে আগামীকালের দিনগুলি কেমন যাবে, ভালো না আরো ভালো নাকি খারাপ থেকে আরো খারাপ, সেটা বিচার করার বা উপলব্ধি করার কোনো বৈজ্ঞানিক ফর্মুলা মানুষের কাছে নাই।  আজকের রবিবারে হয়তো আপনি খিল খিল করে হাসছেন, আগামী রবিবার হয়তো এমন হতে পারে আপনার চোখের পানি সংবরন করার ক্ষমতাও আপনার নাই। কিংবা আজকে শনিবার যতোটা আপনি পেরেসান হয়তো দেখা যাবে আগামী শনিবারটা আপান্র জন্য এতোই মধুর যা তাঁর আগের দিনেও ভাবেন নি। আর এ জন্য আমি একটা কথা সব সময় বিশ্বাস করি জে, ভগবান সব দিনেই আপনাকে হাসিতে যেমন রাখেন না, তেমনি সব দিনেই আপনি কষ্টেও রাখেন না। এটাই নিয়তির সাথে ভগবানের একটা অদৃশ্য খেলা।

মানুষের মাথার উপর যখন কেউ হাত রাখে, তখন সেই হাতটাকে অনেক বড় অবলম্বন মনে হয়। পাতুক বা না পারুক সমস্ত কিছুর সমাধান দিতে, তারপরেও মনে হবে কেউ তো আছে যার কাছে গিয়ে অন্তত চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষনের জন্যে হলেও কষ্টে কান্না করা যায়, অথবা মুচকী হাসা যায়। আর এই সেই ‘কেউ’ এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ‘কেউ’ হচ্ছে সন্তানের জন্য তাঁর পিতামাতা, স্ত্রীর জন্য দায়িত্বশীল তাঁর স্বামী কিংবা দায়িত্বশীল স্বামীর জন্য কোনো দায়িত্বশীল স্ত্রী কিংবা সন্তান সন্ততিরা।

আজকে এমনই একটা ঘটনার অবতারণা হলো আমার সামনে। ওর নাম ‘ফারুক’। আমারই আপন বোনের ছেলে।

ফারুকের মা আমার আপন বোন শায়েস্তা। বোনদের মধ্যে সে ছিলো দ্বিতীয়। ছোট বেলা থেকেই সে ছিলো খুব মেধাবী। গায়ের রঙ কালো আর খুব জিদ্ধি ছিলো এই শায়েস্তা। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের সংসারে বেশ টানাপোড়েন শুরু হয়। পাঁচ জন বোন, সাথে মা আর আমি এই সদস্যদের নিয়ে আমার বড় ভাই হাবীবুল্লাহ মুটামুটি হিমশিম খাচ্ছে লালন পালনে। তাঁর অবদানের কথা আমরা কেহই অস্বীকার করতে পারবো না।

যাই হোক সেই অবস্থান টা এক সময় আমাদের পরিবর্তন হয়ে আবার কিছুটা থিতু হইলেও আমার বোন শায়েস্তার জীবনে নেমে আসে এক কালো অধ্যায়।